ছবি-বার্তা বাজার
কুড়িগ্রাম জেলা আ. লীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা।
কুড়িগ্রামে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দীর্ঘ ১৬ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা চুড়ান্ত হয়েছে। ২দিন ব্যাপী দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে চুড়ান্ত তালিকায় সই করেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এডভোকেট সফুরা বেগমের উপস্থিতিতে রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে
কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে দফায় দফায় রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রস্তুত হলেও পদ পদবী চুড়ান্ত হয়নি।
উল্লেখ্য,গত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সম্মেলনে মোঃ জাফর আলী সভাপতি এবং আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হলেও ও-ই দুই নেতার মতানৈক্যের কারণে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি।ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ, দফায় দফায় বৈঠক হাওয়ার পরও করোনা ভাইরাসের কারণে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেখেনি আলোর মুখ।
সম্মেলনের পর থেকেই ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মীরা দাবি তোলেন, স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান, সরকারি চাকুরীজীবি ও দলীয় পদ পদবী ব্যবহার করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনকারী বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে নুতন কমিটি করার। যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ফলাও করে প্রচারিত হয়।
নানাবিধ সমস্যার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেন শফিক বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ২ নেতা ঐক্যমতে পৌছতে পেরেছেন এজন্য তালিকা চুড়ান্ত সম্ভব হয়েছে। তবে পদ পদবী দিয়ে অনুমোদন সাপেক্ষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হবে দ্রুত। এর আগে মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেন শফিক জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানিয়ে বলেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয কমিটির সদস্য এডভোকেট সফুরা বেগম, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপি এমএ মতিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জু, বগুড়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।