কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন

কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া কুমারখালীর শিল্পপতি দানবীর
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৮১ বার পঠিত

 

 

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে দি কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক পদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে নতুনদের জয়জয়কার আর পুরাতনদের ভরাডুবি হয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে ১২টি পদের বিপরীতে ২১জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন মো: ফুয়াদ রেজা ফাহিম প্রাপ্ত ভোট ১২৬৪, মো: আখতারুজ্জামান ওরফে কাজল মজমাদার প্রাপ্ত ভোট ১২৩০, হাজী মো: মেজবার রহমান প্রাপ্ত ভোট ১০৩৯, মো: মুক্তারুজ্জামান চৌধুরী মুরাদ প্রাপ্ত ভোট ৯৬৬, মো: জিহাদুজ্জামান প্রাপ্ত ভোট ৯৫৮, ইঞ্জি: মো: শাহাবুদ্দীন প্রাপ্ত ভোট ৯১২, হাজী মো: রবিউর রহমান প্রাপ্ত ভোট ৯০১, প্রকৌশলী সাইফুল আলম মারুফ প্রাপ্ত ভোট ৮৯২, উত্তম সাহা প্রাপ্ত ভোট ৮৮২, এস এম আলমগীর আলম প্রাপ্ত ভোট ৮৭৪, ইমরান হোসাইন প্রাপ্ত ভোট ৮৭৩ ও মো: হামিদুর রহমান প্রাপ্ত ভোট ৮৬৫।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মীর ছানোয়ার হোসেন ভোটার, সাংবাদিক, পুলিশ, র‌্যাব ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠা ও সহযোগিতায় শান্তিপুর্ন পরিবেশে নিার্বচন সম্পন্ন করা গেছে। তিনি সকল মহলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সেই সাথে ধন্যবাদ জানান। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কুষ্টিয়া চেম্বার ভবনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের ১৮৯৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ১৫১৪ জন। ৩৮৫জন ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন। ১২ অধিক ভোট প্রদানের কারণে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩১টি ভোট।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ট্রেড গ্রুপ থেকে ৩টি পদের বিপরীতে ৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ষোষণা করা হয়। এরা হলেন বর্তমান সভাপতি আবু জাফর মোল্লা, ইউসুফ খান ও আবু হোসেন মিলন। তারা ৩ জনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ‘বি’ গ্রুপে ৬ পদের বিপরীতে ৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৬ জনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরা হলেন বর্তমান সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ জালাল, কাজী রফিকুর রহমান রফিক, রুহুল আমিন, আবু মনি জুবায়েদ রিপন, রফিকুল ইসলাম ও পারভেজ মজমাদার। আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এই ৬ জনকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী তফসিল মোতাবেক রবিবার নির্বাচন কমিশন চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষনা করবেন। ৩ গ্রুপ হতে নির্বাচিত পরিচালকদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবেন। রবিবার ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার সময় একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও একজন সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটার তালিকা প্রকাশ, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, মনোনয়নপত্র দাখিল, মনোনয়নপত্র বাছাই, বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ, প্রার্থীতা প্রত্যাহার এবং বৈধ প্রার্থীর চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১০ টা হতে ১২টা পর্যন্ত চেম্বার ভবনে ভোট গ্রহন ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে এবং ৩ অক্টোবর চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন বোর্ডের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মীর ছানোয়ার হোসেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

 

 

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা কাঁচাবাজার এলাকা বহু বছর ধরেই কিশোর গ্যাং ও অপরাধচক্রের দৌরাত্ম্যের শিকার ছিল। সম্প্রতি এলাকাবাসীর সরাসরি সহযোগিতা ও পুলিশের কৌশলগত অভিযানে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সদস্য জিসান মির্জা (১৬) গ্রেফতার হয়েছেন।

অভিযানটি পরিচালনা করেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া। সিএমপি’র বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আমিরুল ইসলাম নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসান এবং এসআই মোঃ আরিফ হোসেন নেতৃত্বে বিশেষ ফোর্স অভিযান চালান।

জিসানের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় মামলা নং–০৫ (ধারা ৩৯৯/৪০২ দণ্ডবিধি) চলছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ—তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় ভয়ঙ্কর অপরাধচক্রকে সংগঠিত করেছিলেন; তার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল।

তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ইসাপুর/ভেন্ডারবাড়ি। পিতা মোঃ রাশেদ, মাতা সুমি বেগম—বর্তমানে পরিবারটি চট্টগ্রামের বিজয়নগরে বসবাস করেন।

তবে গ্রেফতারের পরও ভয়াবহ হুমকি থামেনি। যারা স্থানীয়ভাবে পুলিশের সাথে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন—বিশেষত কয়েকজন বাড়িওয়ালা—তারা জিসানের প্রভাবশালী নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে খোলাখুলি হুমকির মুখে পড়েছেন। গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও তার আশপাশের লোকজন ও শর্তসাপেক্ষ সহায়তাকারীর মাধ্যমে স্থানীয়দের উপর মানসিক চাপ ও আতঙ্ক সৃজিত করার চেষ্টা চলছে।

এলাকাবাসীর কণ্ঠে সংকেত “পুলিশ যদি অটল থাকে, অপরাধী চক্র ধ্বংস হবে; কিন্তু এখনো আমরা ভয়ে আছি—হুমকি থামেনি।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেফতাকৃত আসামীকে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। সিএমপি’র বন্দর বিভাগ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—অপরাধী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে এবার শাসনতান্ত্রিক ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবশেষে পুলিশের জালে কুখ্যাত জিসান—বাড়িওয়ালাদের ওপর হুমকির তাণ্ডব