মেহেরপুরের গাংনীতে ১৬-ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে অশ্লীল ডিজে গান বাজছে। দেশাত্নবোধক গানের সম্পূর্ণ বিপরীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন গান বাজছে। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পেছনে সেসময় রেডিও-বেতারে দেশাত্মবোধক গান মুক্তিকামী মানুষকে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়েছে।
স্বাধীনতা অর্জনের পর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সেসব দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে অশ্লীল ডিজে গানে বাজানোর মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন হচ্ছে। যেটা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
উপজেলার এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ গাংনীর চোখ’কে জানান, আমার প্রতিষ্ঠানে এমন অশ্লীল ডিজে গান কেউ বাজাচ্ছে না। এবং রাতে কোন ছাত্র স্কুলে থাকবেনা এমন নিয়ম করে দিয়েছি। তবে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে অসংখ্য জায়গায় এমন অশ্লীল গান বাজছে যেটা দুঃখজনক।
গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বায়েজিদ বোস্তামী গাংনীর চোখ’কে জানান, অপসাংস্কৃতি প্রবেশের ফলে আজ অশ্লীল ও রুচিহীন গান-বাজনা চলছে। স্বাধীনতার সময় যেসব দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে। সেসব গানের প্রচলোন নেই এখন। এগুলো বন্ধে মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসন, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সকল পর্যায়ের মানুষদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম গাংনীর চোখ’কে জানান, আমি উপজেলার ২জন শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের বাইরে কোন গান না বাজে।
নির্দেশনা থাকার পরে তবুও গান বাজছে এর ফলে আইনের কোন পদক্ষেপ রয়েছে কিনা সেবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সরকারি চিঠিতে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা নেই। থাকলে অবশ্যই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হতো।