চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকার সুনামধন্য রেস্টুরেন্ট ‘হাান্ডি’ ও ‘ধাবা’—যেখানে প্রতিদিন ভিড় করেন হাজারো স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ। বাহ্যিক চাকচিক্য, এয়ারকন্ডিশন আর দামি সাজসজ্জা দেখে ক্রেতারা ভাবেন মানসম্মত খাবার পাচ্ছেন। অথচ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে উন্মোচিত হয়েছে ভিন্ন চিত্র—যা শুনলে রীতিমতো আতঙ্কিত হবেন যে কেউ।
অভিযানে দেখা গেছে—খাবারে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও সুগন্ধি আতর মেশানো,,মটরে রং মেশানো,,রান্নাঘরে নোংরা পরিবেশ,,ফ্রিজে বাসি ভাত মেশানো খাসির মাংস সংরক্ষণ,,কয়েকদিন আগের বাসি মাছ-মাংস ও ভাত পরিবেশন করা হচ্ছিল ক্রেতাদের কাছে।
এই ভয়ঙ্কর অনিয়মের কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ‘হাান্ডি’কে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ‘ধাবা’কে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য কড়া সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহ জানান, “এই ধরনের প্রতারণা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আমরা নিয়মিতভাবে অভিযান চালাব, যাতে মানুষ নিরাপদ খাবার পায়।”
চকচকে নামি-দামি রেস্টুরেন্টের ভেতরে এমন ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ পাওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতবাক। ভোক্তারা প্রশ্ন তুলছেন—“যদি হাান্ডি-ধাবার মতো ব্র্যান্ডেড রেস্টুরেন্টে এই হাল হয়, তবে অচেনা ছোট রেস্টুরেন্টগুলোতে কী হচ্ছে?”
পুষ্টিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন—সুগন্ধি আতর ও কেমিক্যাল মেশানো খাবার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারসহ নানান জটিল রোগ ডেকে আনতে পারে।
সচেতন মহল মনে করছে, শুধু জরিমানায় নয়, এসব প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় তদারকি করা জরুরি। চট্টগ্রামের অন্যান্য অভিজাত রেস্টুরেন্টেও আকস্মিক অভিযান চালানোর জোর দাবি উঠেছে।