চট্টগ্রাম-১১ আসনে শফিউল আলম: “দুর্নীতি-দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার অঙ্গীকার

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৮১ বার পঠিত

 

চট্টগ্রাম-১১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শফিউল আলমের নেতৃত্বে ইপিজেড থানাধীন ৩৯ নং দক্ষিণ প্রশাসনিক এমারত ওয়ার্ড ও সাংগঠনিক দারুস সালাম ওয়ার্ডের উদ্যোগে ব্যাপক গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গণসংযোগ শেষে আলিশাহ নগর বন্দরটিলা কাঁচা বাজারের পেছনের গলি আবাসিক এলাকা সার্বিক উন্নয়ন কমিটির নিজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত মহল্লা কমিটির আয়োজিত সভাটি জনতার মিলনমেলায় রূপ নেয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শফিউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৩৯ নং দক্ষিণ প্রশাসনিক এমারত ওয়ার্ডের আমীর ওসমান গনি এবং ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শাহেদ আলী। এ ছাড়া সভায় অংশ নেন দারুস সালাম ওয়ার্ড সভাপতি মিজান খান, বন্দরটিলা পূর্ব ওয়ার্ড সেক্রেটারি আবু কালাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইপিজেড থানা সেক্রেটারি আব্দুস সবুর আশিকী, বন্দরটিলা পূর্ব ওয়ার্ড সভাপতি মাস্টার শাহিন, সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান, আলিশাহ নগর সার্বিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি নূরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী।

সভায় বক্তারা বলেন, “দেশ আজ দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দুঃশাসনের করাল গ্রাসে জর্জরিত। লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, বেকারত্ব, সন্ত্রাস ও অনিয়মে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।”

প্রধান অতিথি শফিউল আলম তার বক্তব্যে দৃঢ় কণ্ঠে বলেন,“স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর পরও জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা হবে। জনগণের শক্তিই আমাদের
মূল ভরসা।”

বিশেষ অতিথি ওসমান গনি অভিযোগ করে বলেন,“আইন-শৃঙ্খলার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে, অথচ দুর্নীতিবাজ ও মাদক সিন্ডিকেট নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। এই অবিচার আর সহ্য করা হবে না।”

কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শাহেদ আলী বলেন,
“জনগণের আস্থা ও ভোটে সুযোগ পেলে আমি সেবামূলক রাজনীতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির দৃষ্টান্ত স্থাপন করব।”

সভায় বক্তারা সর্বসম্মতভাবে বলেন— দমননীতি, দুর্নীতি ও অবিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তারা। বক্তারা আরও বলেন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশের সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।

সভাস্থলে বক্তাদের আহ্বান ও বক্তব্যে স্থানীয় জনতার মধ্যে দৃশ্যমান উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত জনসমাবেশ প্রমাণ করে— জনতার ক্ষোভ আজ চরমে এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা অদম্য।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

 

 

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা কাঁচাবাজার এলাকা বহু বছর ধরেই কিশোর গ্যাং ও অপরাধচক্রের দৌরাত্ম্যের শিকার ছিল। সম্প্রতি এলাকাবাসীর সরাসরি সহযোগিতা ও পুলিশের কৌশলগত অভিযানে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সদস্য জিসান মির্জা (১৬) গ্রেফতার হয়েছেন।

অভিযানটি পরিচালনা করেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া। সিএমপি’র বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আমিরুল ইসলাম নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসান এবং এসআই মোঃ আরিফ হোসেন নেতৃত্বে বিশেষ ফোর্স অভিযান চালান।

জিসানের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় মামলা নং–০৫ (ধারা ৩৯৯/৪০২ দণ্ডবিধি) চলছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ—তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় ভয়ঙ্কর অপরাধচক্রকে সংগঠিত করেছিলেন; তার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল।

তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ইসাপুর/ভেন্ডারবাড়ি। পিতা মোঃ রাশেদ, মাতা সুমি বেগম—বর্তমানে পরিবারটি চট্টগ্রামের বিজয়নগরে বসবাস করেন।

তবে গ্রেফতারের পরও ভয়াবহ হুমকি থামেনি। যারা স্থানীয়ভাবে পুলিশের সাথে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন—বিশেষত কয়েকজন বাড়িওয়ালা—তারা জিসানের প্রভাবশালী নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে খোলাখুলি হুমকির মুখে পড়েছেন। গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও তার আশপাশের লোকজন ও শর্তসাপেক্ষ সহায়তাকারীর মাধ্যমে স্থানীয়দের উপর মানসিক চাপ ও আতঙ্ক সৃজিত করার চেষ্টা চলছে।

এলাকাবাসীর কণ্ঠে সংকেত “পুলিশ যদি অটল থাকে, অপরাধী চক্র ধ্বংস হবে; কিন্তু এখনো আমরা ভয়ে আছি—হুমকি থামেনি।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেফতাকৃত আসামীকে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। সিএমপি’র বন্দর বিভাগ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—অপরাধী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে এবার শাসনতান্ত্রিক ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবশেষে পুলিশের জালে কুখ্যাত জিসান—বাড়িওয়ালাদের ওপর হুমকির তাণ্ডব