জাসদ গণ বাহিনীর মাস্টারমাইন্ড কে এই লিপ্টন! বর্তমানে ৩টি হত্যা মামলায় রিমান্ডে আছে, তিনি কুষ্টিয়া জেলার এক ছ্যাচরা চোর-ডাকাত ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থি সংগঠন জাসদ গণবাহিনী কালুর মাস্টারমাইন্ড কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার দুর্বাচারা গ্রামের জাহাঙ্গীর কবির লিপটন ও তার সহযোগি রাজুর দুই দিনের রিমান্ড মনজুর করেছে ঝিনাইদহ আদালত। তার নিজ বাড়ি থেকে গত ৬ জুন তিন সহযোগি ও ৫টি অবৈধ আগ্নেআস্ত্র ও বিপুল পরিমান গোলাবারুদ সহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক লিপটন ও একটি হত্যা মামলায় আটক রাজুকে তিন দিন আগে তিনটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কুষ্টিয়া কারাগার থেকে ঝিনাইদহ কারাগাওে প্রেরন করেন। গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই দিনের রিমান্ড মনজুর করেন। এর আগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় অস্ত্র মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। তখন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত তার ভাই আলমগীর কবির বাইরন পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের ওপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে রিমান্ডের নামে তাকে জামাই আদরে রেখে কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়েছিল।গত ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক ক্যাডার, জেল খেটে বের হয়ে এসে স্বাভাবিক জীবন যাপনকারী হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানেফ আলী, শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলামকে হত্যা করে দায় স্বীকার করে জাসদ গণবাহিনীর কালু। সে হত্যা মামলায় পুলিশ ও র্যাব এ হত্যাকান্সের প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে মাঠে নামেন। কালুর ঘনিষ্ঠ, সিরিজ কিলিং মিশনের মাস্টারমাইন্ড কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার দুর্বাচারা গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর কবির লিপটন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে শৈলকুপা থানা পুলিশ ঘটনা তদন্ত শেষে নিশ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে গত ১০ জুন হাট ইজারার বিরোধে গুলিতে হত্যার শিকার হন ইবি থানার মধুপুরের ব্যবসায়ী টুটুল, ১২ জুন দায়েরকৃত সে হত্যা মামলায় ইবি থানার পশ্চিম আব্দালপুরের কালুর চাচাতো ভাই রাজু আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজুকেও একই মামলায় পুনঃগ্রেফতার দেখানো হয়। হত্যার পর জাসদের কালু বাহিনী পরিচয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। এঘটনায় নিহত চরমপন্থি নেতা হানেফের ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম ইশা বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুম ঝিনাইদহসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আতঙ্ক জাসদ গণবাহিনী। এই বাহিনীর প্রধান নেতা কালু আত্মগোপনে থাকলেও অন্যতম প্রধান নেতা লিপটন প্রশাসন ও রাজনীতির ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতো। বিভিন্ন স্থানে সে খুন, চাঁদাবাজীসহ সমাজবিরোধী নানা কাজে লিপ্ত থাকলেও তার ভয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি, পুলিশকে তথ্যও দেয়নি। সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটকের পর তার বিরুদ্ধে তথ্যনির্ভর অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই লিপটনের উপযুক্ত শান্তির দাবিতে গ্রেপ্তারের দিন গত ৬ জুন শহরের এনএস রোডে এবং গত ১৫ জুন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। গত ১৫ জুন তারা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ও ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অনুলিপি পাঠানো হয়।কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ৯০ দশকে ছাত্রলীগের ক্যাডার হিসেবে কুষ্টিয়ায় নানা সমালোচনার জন্ম দেন লিপটন। অবশেষে লিপটন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মুকুল-শাহীনের নেতৃত্বে গণমুক্তিফৌজে যোগ দেন ২০০০ সালে। নীতি আদর্শ বর্জিত ও সংগঠন বিরোধী নানা কাজে জড়িয়ে পড়লে তাকে ২০০৬ সালে গণমুক্তিফৌজ থেকে বিতাড়িত করেন। সে সময় জাসদ গণবাহিনী কালুর সঙ্গে যোগ দেয়। গড়ে তোলে বৃহত নেটওয়ার্ক। ঠিক ঐ সময় তার ছোট ভাই আলমগীর কবির বাইরন ২৭তম বিসিএস উত্তীর্ণ হলে ২০০৬ সালে পুলিশী প্রতিবেদনে লিপ্টনের কারনে সমস্যা দেখা দেয়। সে সময় লিপটন র্যাবের মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজস করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ চরমপন্থীদের ধরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাইয়ের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নেয়। এর পর সিনেমার কাহিনীকে হার মানিয়ে সে একে একে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থিদের হত্যার মিশনে নামে কিন্তু গোপনে কালুর সাথে তার সম্পর্ক রেখে ডুয়েল খেলা করেছেন। সে সময় থেকে প্রশাসন থেকে লিপটনকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হত। বর্তমানে লিপটনের ভাই আলমগীর কবির বাইরন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।আওয়ামী পরিবারের সদস্য পরিচয় দিয়ে লিপটনের ভাই উপ সচিব আলগীর কবির আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব এবং কুষ্টিয়া মাহবুবউল আলম হানিফের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে। ২০০৯ থেকে এক টানা ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে লিপটন, এ সময়ে হাজারো অপরাধ করলেও তার নামে কোন মামলা নেয়নি প্রশাসন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে এলাকার অনুষ্ঠানে হানিফের পাশাপাশি বসতেন, মিছিল মিটিংএ নেতৃত্ব দিতেন। আগস্ট পতনের আগে জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রতিরোধ করতে লিপটন অগ্রণী ভূমিকা রাখে। সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে শহরে প্রকাশে মহড়া দেয়, পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মিছিলে গুলি করা এবং হাত মাইক নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিছিলকারীদের লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়, যা অনলাইনে ভাইরাল হয়। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে লিপটনও কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দেয়। এরপর রাতারাতি ভোল পাল্টে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে এসে আবারও নানা অপতৎপরতা শুরু করে। এর ফলে জুলাই বিপ্লবের শিক্ষার্থীদের হত্যা মামলায় ভয়ে কেউ তাকে আসামি করেনি। একদিকে সরকারি দল অন্যদিকে র্যাব ও পুলিশ দুটো ক্ষমতাকেই ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেছে লিপটন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বিরোধীদের দমাতে যাকে তাকে অস্ত্রসহ র্যাব দিয়ে আটক করানো, হত্যা করা এবং অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত। এখনও তার ভাই উপসচিব আলমগীর কবির ক্ষমতার অপব্যবহার করে সবখানে লিপটনের পক্ষে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। বাড়িতে সেনা অভিযানের দিনে আলমগীর কবিরও উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অবিলম্বে ভাইকে মুক্ত করে আনবেন বলে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা।২০০৯ সালের ৮ আগস্ট তিনজনকে হত্যা করে কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার এলাকায় গণপূর্ত কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ব্যাগের ভেতর তিনটি মানুষের মাথা ঝুলিয়ে রেখে যায়। ২০১১ সালের ১৫ মার্চ রাত ১ টার দিকে ভারতের নদীয় জেলার চাপড়া থানার ছোট আব্দুলা গ্রামে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুরের চেয়ারম্যান আনুকে স্বাসরোধ করে জবাই করে হত্যা করে। ২০১২ সালে কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আজিবার চেয়ারম্যানকে ভারতের নদীয়া জেলার ধানতোলা থানা এলাকায় জবাই করে হত্যা করে। একই সালে কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন লক্ষীপুর বাসস্ট্যান্ডে আব্দালপুর এলাকার রহমান ও হাসেম নামের দুই জনকে গুলি করে ও জবাই করে হত্যা করে কালু ও লিপটন। ২০১৩ সালের দিকে মাহবুব-উল আলম হানিফকে তার এলাকায় ফুলের তোড়া দেওয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসেন এই চরমপন্থি লিপ্টন। মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ক্ষমতাবলে নিজ এলাকার নিরীহ এক ইউপি মেম্বারসহ প্রায় ২০/২৫ জনকে র্যাবের মাধ্যমে তুলে এনে অস্ত্র রাখার অভিযোগ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর পর হাজার হাজার নারী-পুরুষ তার বিরুদ্ধে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল-সমাবেশ করেছিল। এছাড়া ২০১৫ সালে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট থেকে র্যাব তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। এ ঘটনার জন্য সবুজের পরিবার হানিফকে দায়ী করে মামলা করেছে। অভিযোগ আছে, র্যাবকে দিয়ে সবুজকে অপহরণের পেছনে সরাসরি জড়িত থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে। ভয়ে লিপটনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেনি পরিবার।গত ১৫ জানুয়ারি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়ায় অবস্থিত জেটি ইন্টারন্যাশনাল (জাপান টোব্যাকো) বাংলাদেশ লিমিটেডে বোমা ও গুলি বর্ষন করে। ২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে এলোপাথাড়ি গুলি করে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের জোতপাড়ার আতিয়ার খাঁকে ফসলের মাঠে হত্যা করে কালু, লিপ্টন ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগঠনিক সম্পাদক কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান ঝন্টু, অথচ সে হত্যা মামলায় পরিবার থেকে ভয়ে লিপটনের নামে আসামি করতে পারেনি। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের সৈয়দ মাসউদ রুমী সেতুর নিচে বালুর ঘাট থেকে দুইজনকে অপহরণ করে, নানামুখী সন্ত্রাসী কার্যক্রমে তুমুল আলোচনায় আসে লিপটন। তার গুম, ল্যাব পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মধ্যে আংশিক ব্যক্তিদের নাম পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে কুষ্টিয়া শালঘরমধুয়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম আরিফ, মকুল হোসেন, পলাশ শেখ, জাহিদ ডাক্তার, হাফিজ খান, দূর্বাচারা গ্রামের লাট্টু খাঁ, হবিবার মোল্লা, মনিরুল শেখ, ইদ্রিছ, শাহেব আলী, রনি, শৈলগাড়ীর শামিম মোল্লা, আনারুল, শ্যামপুরের ইমরান, বারুইপাড়ার সুলতান, ভবানিপুরের রাশিদুল, জোতপাড়ার নাজমুল হক, কুষ্টিয়া আড়ুয়াপাড়ার ইমন শেখ, আলামপুরের জাহাঙ্গীর আলম অরফেন সহ দূর্বাচারা গ্রামের প্রায় ৯০% ব্যক্তি তার পাঠার বলি হয়েছে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে। তার ভয়ে কেউ ঘরে ঘুমাতে পারে নাই। প্রশাসন সাথে নিয়ে ঘর বাড়ী ভাংচুর, লুটপাট, গুলি বর্ষন করে গরু, ছাগল, নগদ অর্থ, স্বর্ণলংকার লুটপাট করে করে নিয়ে যেত লিপ্টন ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী কালু। কিন্তু ভয়ে এলাকাবাসী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পাই নাই। বর্তমানে এলাকাবাসী তাদেও বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পেয়েছে। তবে দূর্বাচারার বাসিন্দারা বলেন, সেনাবাহিনী লিপ্টনের বাড়ী থেকে মাত্র ৫% অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তার অস্ত্র ভান্ডার রয়েছে তার মামা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগঠনিক সম্পাদক কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান ঝন্টুর নিয়ন্ত্রনে আছে বলে তথ্য দেন এলাকাবাসী, সেই সাথে আশে পাশের গ্রামের উঠতি বয়সী ছেলেদের হাতে বিপুল পরিমান অস্ত্র তুলে দেয় এই সন্ত্রাসী লিপ্টন ও কালু। তারা জানান, রিমান্ডের নামে যদি আবারো জামাই আদর করা হয় তাহলে ঐ সকল অস্ত্রগুলো অধরাই থেকে যাবে।