বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (নাপসা)’র চেয়ারম্যান আলমগীর নূর এর সংবাদ বিবৃতিঃ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬০ বার পঠিত

 

“অবিলম্বে ইসলামী ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে ছাঁটাইয়ের চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে-ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-তে কর্মরত ৫৫০০ জন ব্যাংকারকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুতির চক্রান্ত এবং চট্টগ্রামের ব্যাংকারদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (নাপসা)।

নাপসা’র কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক নেতা, অধিকার-উন্নয়ন ও পরিবেশবাদী সংগঠক আলমগীর নূর আজ এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিবৃতিতে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে আলমগীর নূর বলেন, “কোনো প্রকার বৈধ কারণ বা নোটিশ ছাড়াই ৫৫০০ জন ব্যাংকারকে ছাঁটাইয়ের ষড়যন্ত্র একটি চরম অমানবিক ও বেআইনি কাজ। এই ধরনের পদক্ষেপ হাজার হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেবে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা অবিলম্বে এই গণছাঁটাইয়ের চক্রান্ত বন্ধ করার দাবি জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা লক্ষ করছি, চট্টগ্রামের ব্যাংকারদের প্রতি এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নাপসা মনে করে, দেশের যেকোনো অঞ্চলের কর্মজীবীর প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করা সংবিধান ও মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। আমরা ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, তারা যেন অবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করে এবং চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।”

নাপসা’র চেয়ারম্যান আলমগীর নূর এই অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকারদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

 

 

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা কাঁচাবাজার এলাকা বহু বছর ধরেই কিশোর গ্যাং ও অপরাধচক্রের দৌরাত্ম্যের শিকার ছিল। সম্প্রতি এলাকাবাসীর সরাসরি সহযোগিতা ও পুলিশের কৌশলগত অভিযানে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সদস্য জিসান মির্জা (১৬) গ্রেফতার হয়েছেন।

অভিযানটি পরিচালনা করেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া। সিএমপি’র বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আমিরুল ইসলাম নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসান এবং এসআই মোঃ আরিফ হোসেন নেতৃত্বে বিশেষ ফোর্স অভিযান চালান।

জিসানের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় মামলা নং–০৫ (ধারা ৩৯৯/৪০২ দণ্ডবিধি) চলছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ—তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় ভয়ঙ্কর অপরাধচক্রকে সংগঠিত করেছিলেন; তার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল।

তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ইসাপুর/ভেন্ডারবাড়ি। পিতা মোঃ রাশেদ, মাতা সুমি বেগম—বর্তমানে পরিবারটি চট্টগ্রামের বিজয়নগরে বসবাস করেন।

তবে গ্রেফতারের পরও ভয়াবহ হুমকি থামেনি। যারা স্থানীয়ভাবে পুলিশের সাথে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন—বিশেষত কয়েকজন বাড়িওয়ালা—তারা জিসানের প্রভাবশালী নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে খোলাখুলি হুমকির মুখে পড়েছেন। গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও তার আশপাশের লোকজন ও শর্তসাপেক্ষ সহায়তাকারীর মাধ্যমে স্থানীয়দের উপর মানসিক চাপ ও আতঙ্ক সৃজিত করার চেষ্টা চলছে।

এলাকাবাসীর কণ্ঠে সংকেত “পুলিশ যদি অটল থাকে, অপরাধী চক্র ধ্বংস হবে; কিন্তু এখনো আমরা ভয়ে আছি—হুমকি থামেনি।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেফতাকৃত আসামীকে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। সিএমপি’র বন্দর বিভাগ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—অপরাধী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে এবার শাসনতান্ত্রিক ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবশেষে পুলিশের জালে কুখ্যাত জিসান—বাড়িওয়ালাদের ওপর হুমকির তাণ্ডব