মমতা মাতৃসদন-২ থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক উদ্ধার, ৫ আসামি গ্রেফতার

 মোঃ শহিদুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২
  • ২৪৭ বার পঠিত

মমতা মাতৃসদন-২ থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক শিশু উদ্ধার অপহরণকারী সহ(৫) আসামি গ্রেফতার মমতার নবজাতক চুরির ঘটনা প্রেসব্রিফিংয়ে জানাচ্ছেন উপ- পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) শাকিলা সুলতানা . আনোয়ারা বার খাইন এলাকা থেকে ভোরের দিকে ইপিজেড‌ থানা পুলিশের অভিযানে মূল আসামি শিমু দাশ সহ ৫জন আটক কে করেছেন বলে নবাগত ওসি আব্দুল করিম জানিয়েছেন।

 

মঙ্গলবার (৩০আগষ্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা এক প্রেসব্রিফিংয়ে বন্দরটিলাস্থ মমতা মাতৃসদন থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা প্রসঙ্গ বলেন মূল আসামি শিমু দাশ (শিমু মল্লিক) দীর্ঘদিন ধরে নিঃসন্তান হয়ে পরিবারের মাধ্যমে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন,তা পরিবারের সদস্যদের খুশি করতেই মমতার অফিসার মোঃ মোর্শেদ আলমের সহায়তা পরিকল্পনা করে একদিনের নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।

 

এতে তার স্বামী রিমল মল্লিক ও মমতার ম্যানেজার মোঃ মোর্শেদ আলম, সহকারী মমতা মাতৃসদন-২ এর সুপার ভাইজার),২।মোঃ সেলিম (৩৯),মমতা মাতৃসদন-২ এর সিকিউরিটি গার্ড), ৩। মোঃ আবুল কাশেম (৩০),সহ আরো২/৩জন লোক এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ/এজাহার দায়ের করেন নবজাতক শিশুর পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৯)। মামলার সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি শিমু দাশ, স্বামী রিমল মল্লিক এর গ্রামের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বারখাইন এলাকায়। এদিকে বাদী(শিশুর) পিতা শহিদুল ইসলাম এর গ্রামের বাড়ি ও আনোয়ারা উপজেলার ৩নং রায়পুর ইউনিয়নে।

 

এদিকে অপর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে এডিসি বন্দর বলেছেন, মমতার স্টাফদের সহায়তা প্রচুর অর্থের বিনিময়ে ঐ শিশুকে চুরি করে আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বারখাইন এলাকায় নিয়ে নিজের সন্তান হিসেবে পরিচিত করে মূল আসামি শিমু দাশ তার শ্বাশুড়ি কে খবর দেয়। এব্যাপারে মমতার সিনিয়র সহ- পরিচালক মিসেস স্বপ্না তালুকদার বলেন, আমি খবর পেয়ে থানায় এসে মূল বিষয়টি জেনে ছি। পুলিশ জানায় তার অফিসের স্টাফদের সহায়তা এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।

 

তিনি বলেন,কেউ অন্যায় করলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। বাদী শহিদুল ইসলাম বলেছেন, দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ কঠোর শাস্তির দাবি জানান। ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, থানার সংগীয় ফোর্স সহ দীর্ঘ ৩৫ঘন্টা অভিযানে মূল আসামি শিমু দাশ সহ ৫ সন্দেহজনক আসামিদের আটক করে মামলা নং ২৯/২৯,২০২২ইং দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশু কে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর