সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ এর অভিযানে ৪৯৭০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬৭ বার পঠিত

 

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির বিশেষ অভিযানে ৪৯৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‌্যাব-১২ সূত্রে জানা যায়, অধিনায়ক র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জের নির্দেশনায় সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কামারখন্দ থানার ভারাঙ্গা সাকিনস্থ মৃত কামরুল ইসলামের বাড়ির সামনে কড্ডা টু জামতৈল পাকা সড়কে একটি ভ্যানে অবস্থানরত অবস্থায় আসামিকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম— মোঃ আব্দুর রহিম ওরফে সুইট (৩৭), পিতা: মোঃ কামরুজ্জামান, সাং-কানসোনা, পোস্ট-সলপ, থানা-উল্লাপাড়া, জেলা-সিরাজগঞ্জ। তার কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ছাড়াও মাদক কেনাবেচায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৫৬৮০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করে যে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দসহ আশপাশের এলাকায় মাদক সরবরাহ করে আসছিলেন।

ঘটনার পর আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

র‌্যাব-১২ জানায়, সমাজ থেকে মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।“র‌্যাবকে তথ্য দিন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।”

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

 

 

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা কাঁচাবাজার এলাকা বহু বছর ধরেই কিশোর গ্যাং ও অপরাধচক্রের দৌরাত্ম্যের শিকার ছিল। সম্প্রতি এলাকাবাসীর সরাসরি সহযোগিতা ও পুলিশের কৌশলগত অভিযানে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সদস্য জিসান মির্জা (১৬) গ্রেফতার হয়েছেন।

অভিযানটি পরিচালনা করেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া। সিএমপি’র বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আমিরুল ইসলাম নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসান এবং এসআই মোঃ আরিফ হোসেন নেতৃত্বে বিশেষ ফোর্স অভিযান চালান।

জিসানের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় মামলা নং–০৫ (ধারা ৩৯৯/৪০২ দণ্ডবিধি) চলছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ—তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় ভয়ঙ্কর অপরাধচক্রকে সংগঠিত করেছিলেন; তার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল।

তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ইসাপুর/ভেন্ডারবাড়ি। পিতা মোঃ রাশেদ, মাতা সুমি বেগম—বর্তমানে পরিবারটি চট্টগ্রামের বিজয়নগরে বসবাস করেন।

তবে গ্রেফতারের পরও ভয়াবহ হুমকি থামেনি। যারা স্থানীয়ভাবে পুলিশের সাথে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন—বিশেষত কয়েকজন বাড়িওয়ালা—তারা জিসানের প্রভাবশালী নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে খোলাখুলি হুমকির মুখে পড়েছেন। গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও তার আশপাশের লোকজন ও শর্তসাপেক্ষ সহায়তাকারীর মাধ্যমে স্থানীয়দের উপর মানসিক চাপ ও আতঙ্ক সৃজিত করার চেষ্টা চলছে।

এলাকাবাসীর কণ্ঠে সংকেত “পুলিশ যদি অটল থাকে, অপরাধী চক্র ধ্বংস হবে; কিন্তু এখনো আমরা ভয়ে আছি—হুমকি থামেনি।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেফতাকৃত আসামীকে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। সিএমপি’র বন্দর বিভাগ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—অপরাধী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে এবার শাসনতান্ত্রিক ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবশেষে পুলিশের জালে কুখ্যাত জিসান—বাড়িওয়ালাদের ওপর হুমকির তাণ্ডব