৫৪ বছরের ফ্যাসিস্ট প্রতারণার শৃঙ্খল ভাঙবে দাঁড়িপাল্লা—বিভিন্ন,পূজা উদ্যাপন কমিটির সাথে মতবিনিময়ে শফিউল আলম

মোঃ শহিদুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬৫ বার পঠিত

 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানাধীন বিভিন্ন পূজা উদ্যাপন পরিষদ, মণ্ডপ ও মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব শফিউল আলম।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট আইনজীবী, শিক্ষাবিদ ও সংগঠক মোঃ শাহেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহিম বিশ্বাস।

সভায় শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতামত প্রদান করেন চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের প্রচার সম্পাদক শ্রী উত্তম কুমার শীল, সিইপিজেড শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বাসুদেব, হালিশহর লোকনাথ মন্দিরের প্রতিনিধি শ্রী সুজন মজুমদার, বন্দরটিলা শান্তি সংঘের সভাপতি শিবু দাশসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে,শফিউল আলম বলেন,“দীর্ঘদিন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ফ্যাসিস্ট সরকার ভুয়া তাবিজের রাজনীতি করেছে। আমাদের ভুলভাবে উপস্থাপন করে জনগণকে সত্যিকার সেবার রাজনীতি থেকে বঞ্চিত করেছে। আজ সময় এসেছে প্রতারণার এই শৃঙ্খল ভেঙে উন্নয়নের স্রোতে ফেরার। দাঁড়িপাল্লার প্রতি আস্থা রাখুন— আমরা আপনাদের সত্যিকারের ভালোবাসা, অধিকার ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেব।”

তিনি আরও বলেন,“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময় জনগণের পাশে থেকেছে, আগামীতেও থাকবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার ও কল্যাণ নিশ্চিত করাই আমাদের অঙ্গীকার।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান, সমাজসেবক মোঃ জয়নাল আবেদীন, দিপীকা সংঘ পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শ্রী সুজন কুমার শীল, পতেঙ্গা থানা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সৈকত মহাজন সাজু, নগর জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সদস্য শ্রী সাগর দাশসহ অসংখ্য সামাজিক-ধর্মীয় নেতা।

আলোচনা শেষে জামায়াতে ইসলামী ৩৯ নং ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে শফিউল আলম দুটি থানা কমিটির অধীন ছয়টি পূজা মণ্ডপ ও মন্দির কমিটির মাঝে নগদ অর্থ ও পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়া অসহায় নারী-পুরুষ পূজার্থীদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

জামায়াতের বর্তমান আমীরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার ঘোষণা দিয়েছেন— “জামায়াতে ইসলামী একটি গণমুখী সংগঠন, যা সব ধর্মাবলম্বীর নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।” মাঠ পর্যায়ে সেই ঘোষণার বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়েছেন শফিউল আলম।

এই উদ্যোগ জনমানসে ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, “জনগণের হৃদয়ে আস্থা ফেরাতে জামায়াত এখন গণমানুষের মঞ্চে দৃশ্যমান উপস্থিতি দেখাচ্ছে।”

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

 

 

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা কাঁচাবাজার এলাকা বহু বছর ধরেই কিশোর গ্যাং ও অপরাধচক্রের দৌরাত্ম্যের শিকার ছিল। সম্প্রতি এলাকাবাসীর সরাসরি সহযোগিতা ও পুলিশের কৌশলগত অভিযানে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সদস্য জিসান মির্জা (১৬) গ্রেফতার হয়েছেন।

অভিযানটি পরিচালনা করেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া। সিএমপি’র বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আমিরুল ইসলাম নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসান এবং এসআই মোঃ আরিফ হোসেন নেতৃত্বে বিশেষ ফোর্স অভিযান চালান।

জিসানের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় মামলা নং–০৫ (ধারা ৩৯৯/৪০২ দণ্ডবিধি) চলছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ—তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় ভয়ঙ্কর অপরাধচক্রকে সংগঠিত করেছিলেন; তার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের কার্যক্রম ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল।

তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ইসাপুর/ভেন্ডারবাড়ি। পিতা মোঃ রাশেদ, মাতা সুমি বেগম—বর্তমানে পরিবারটি চট্টগ্রামের বিজয়নগরে বসবাস করেন।

তবে গ্রেফতারের পরও ভয়াবহ হুমকি থামেনি। যারা স্থানীয়ভাবে পুলিশের সাথে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন—বিশেষত কয়েকজন বাড়িওয়ালা—তারা জিসানের প্রভাবশালী নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে খোলাখুলি হুমকির মুখে পড়েছেন। গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও তার আশপাশের লোকজন ও শর্তসাপেক্ষ সহায়তাকারীর মাধ্যমে স্থানীয়দের উপর মানসিক চাপ ও আতঙ্ক সৃজিত করার চেষ্টা চলছে।

এলাকাবাসীর কণ্ঠে সংকেত “পুলিশ যদি অটল থাকে, অপরাধী চক্র ধ্বংস হবে; কিন্তু এখনো আমরা ভয়ে আছি—হুমকি থামেনি।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেফতাকৃত আসামীকে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। সিএমপি’র বন্দর বিভাগ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—অপরাধী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে এবার শাসনতান্ত্রিক ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবশেষে পুলিশের জালে কুখ্যাত জিসান—বাড়িওয়ালাদের ওপর হুমকির তাণ্ডব