কুষ্টিয়া বিএডিসি(সার) অফিসের দুর্নীতিবাজ সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান তার নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য তার কক্ষের ডান পাশে বসিয়ে রেখেছেন গুদাম রক্ষক রাজিয়া সুলতানাকে। গুদামরক্ষক রাজিয়া সুলতানা প্রতিবেদককে বলেন এডি মাহবুবুর রহমান আমাকে গত দু’বছর আগে গুদামরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন। সেই সাথে আমার সন্তানের সমস্যার কারণে আমার স্বামী সরকারি গুদাম দেখাশোনা করছেন। আর আমি অফিসে বসে অফিসের হিসাব নিকাশ করি।
সুচতুর ও দুর্নীতিবাজ ছবি তার দুর্নীতির অর্থ ভাগ বাটোয়ারা সুবিধার্থে একজন মহিলাকে গুদামরক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছেন যেন উক্ত মহিলা কোন প্রকার উচ্চ বাক্য না করতে পারে এবং অল্প পয়সায় তিনি যেন সন্তুষ্ট থাকেন এ কারণে তাকে ওই পদে দায়িত্ব দিয়েছে। এ বিষয়ে রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে তার অফিসে তার স্বামীর সম্পর্কে কথা হলে তিনি বলেন, স্যার আমার স্বামীকে সরকারি গুদামে কাজ দিয়েছেন গত দু’বছর আগে। বিষয়টির সত্যতা জানানোর জন্য সরকারি গোডাউনে ঢুকলে দেখা যায় তার স্বামী গিয়াস (গোলাকার করা ব্যক্তিটি) গুদাম রক্ষকের কাজ করে যাচ্ছেন, আর অরিজিনাল গুদামরক্ষক গিয়াসের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা তিনি অফিসে পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে এডির সাথে ভাগ-বাটোয়ারার ব্যস্ত রয়েছেন।
একটি সরকারি দপ্তরের মূল কার্যালয়ের হিসাব-নিকাশ করছেন একজন বহিরাগত ব্যক্তি যার কোন নাম নেই সরকারি খাতায়। তিনি কিভাবে সার আনলোড করছেন এবং ডিলারদের মাঝে সার বিতরণ করছেন এটা কি আদৌ সম্ভব। এ দেশে সবই সম্ভব বলে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন সুধীমহল। এছাড়াও সকল ডিলাররা অভিযোগ করে বলেন, রাজিয়া সুলতানার স্বামী গিয়াস বস্তা প্রতি বেশকিছু অর্থ প্রতিদিন ওখান থেকে উপার্জন করে।। যে কারণে বর্তমান সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান উক্ত স্থানে গিয়াসকে গোডাউনের ভিতর এর মূল দায়িত্ব দিয়েছেন। উক্ত দায়িত্ব দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন রাজিয়া সুলতানা।
দুর্নীতিবাজ মাহবুবুর রহমানের বিষয়ে যুগ্ম পরিচালক মোঃ লিয়াকত আলীর সাথে রাজিয়া সুলতানার স্বামীর বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, আমি মাত্র তিন মাস অত্র অফিসের বদলি হয়ে এসেছি এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে বহিরাগত দিয়ে গুদামরক্ষক এর কাজ করানো এটা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত আমি এর ব্যবস্থা নিব।