অপহরন মামলায় চরমপন্থী সন্ত্রাসী কুষ্টিয়ার লিপ্টন গ্রেফতার

কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া কুমারখালীর শিল্পপতি দানবীর
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৩৯ বার পঠিত

 

 

ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা আদায়ের মামলায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের সশস্ত্র কিলার বাহিনীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ওরফে লিপটনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। গত সোমবার (৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর এ আদেশ দেন। এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামির উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি হয়। শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীর কবির ওরফে লিপটনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কৃষ্ণদাস বৈরাগী। উক্ত মামলায় লিপ্টন ২৭ নং এজাহার ভূক্ত আসামী ছিলেন। ওই দিন আদালত আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানির জন্য ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এর আগে, কুষ্টিয়া দূর্বাচারা গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে গত ৬ জুন ভোর রাতে কুষ্টিয়ায় সেনা অভিযানে চরমপন্থী দলের নেতা, অস্ত্র ব্যবসায়ী ও হত্যাসহ অপরাধ কর্মের মূল হোতা শীর্ষ সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর কবির লিপটনকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি-ম্যাগজিন এবং দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ আদালতে বেশ কয়েকটি হত্যাসহ তার নামে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বাংলাদেশ গুম পরিবার কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. বেলাল হোসেন গত ৩০ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, নিলুফার আহমেদ, ডা. মোহাম্মদ শহীদুল বারী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. শফিউল আলম ও সাজ্জাদ আহম্মেদ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেলাল হোসেন কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে এসবি কাউন্টারের সামনে থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে হাত-পা, চোখ বেঁধে মাথায় কালো জম টুপি পড়িয়ে অপহরণ করে। আয়নাঘরে ৩১ দিন গুম করে রাখে। মুক্তি পেতে হলে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। বেলাল হোসেন মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। বেলাল হোসেন ১০ কোটি টাকা দিয়ে মুক্তি পান। এ বিষয়ে বেলাল হোসেন বলেন, আমি ন্যায়বিচার চাই। যারা আমার সঙ্গে এমন করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক এবং অন্যান্য আসামিদের যেন গ্রেপ্তার করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর