চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর কেটে রমরমা মাটির ব্যবসা, হুমকির মুখে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১
  • ৫০৭ বার পঠিত

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর কেটে অবাধে চলছে রমরমা মাটির ব্যবসা। উপজেলার পুটিমারী কাজলডাঙ্গা ফকিরেরভিটা এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করে নদী তীর থেকে অবৈধভাবে এসব মাটি কেটে বিক্রি করছে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই সব এলাকা নদীতে পরিনত হয়ে যাবে।এতে হুমকীর মুখে পড়বে শতকোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প,বিভিন্ন স্থাপনা ও নদী তীরবর্তি জনপদ এবং আবাদী জমি। এলাকাবাসী বার বার নিষেধ করলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাটি কাটতে থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে পুটিমারী কাজলডাঙ্গা ফকিরেরভিটা গ্রামের মানুষ।

 

বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে,উপজেলার পুটিমারী এলাকায় পাউবো বাধের ভিতরে ফকিরেরভিটা এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের সামনে ২টি জায়গায় নদীর তীর কেটে সারিবদ্ধ ট্রলিতে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকায় নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা সমুহ নদীর পানির সমান হয়ে যাচ্ছে।এতে সামান্য পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এসব জমি নদীর সাথে মিশে গোটা এলাকা নদীতে পরিনত হবে মর্মে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান,একটি পয়েন্টে রফিয়াল হক ও অপর পয়েন্টে করিম,মজিদ,ফজলু এবং শহিদুল তাদের ভটভটি(ট্রলি) দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছে। ট্রলিতে মাটি কাটার ছবি উঠাতে দেখে আ.জলিল,ইসমাইল হোসেন,মঞ্জু মিয়া,মিলন মিয়া,জাহেদুল ও মাসুদসহ বেশ কয়েকজন এগিয়ে এসে বলেন,নদীর এই তীরটি আমাদের গ্রামের প্রটেকশন হিসাবে কাজ করছে,এভাবে তীর থেকে মাটি কেটে নিলে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পসহ সামনের গ্রামগুলি নদীতে ভেঙ্গে যাবে। ফলে নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারনসহ হুমকীর মুখে রয়েছে শতকোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প,বিভিন্ন স্থাপনাসহ নদী তীরবর্তি জনপদ ও সরকার ঘোষিত নৌ-বন্দর পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনা। এলাকাবাসী বার বার নিষেধ করলেও মাটি ব্যবসায়ীরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাটি কাটতে থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে পুটিমারী কাজলডাঙ্গা ফকিরেরভিটা গ্রামের মানুষ।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। সরে জমিনে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি । তবে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত আছে । অভিুযক্তদের কাউকে সরেজমিনে পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর