যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন (পিপি এম-সেবা)জেলার আইনশৃহ্মলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পাঁচটি লহ্ম্য নিয়ে কাজ করার ঢৃড় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন।বুধবার যশোরে পুলিশ সুপার কার্য্যালয়ের সন্মেলন কহ্মে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে শহর কে মাদক মুক্ত করার সর্বাত্বক চেষ্ঠা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন যশোরের থানা গুলোকে সত্যিকারের সেবা কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

থানা গুলোতে সাধারন মানুষ হয়রানির শিকার হবেন না, মানসন্মত তদন্ত সুনিশ্চিত করা,কমিউনিটি পুলিশিং ব্যাবস্থাকে গতিশীল করা ও জেলাকে সন্ত্রাস-জঙ্গী মুক্ত করতে নিরলস কাজ করার প্রতিশ্রুতি ও দিয়েছেন তিনি আর এ কাজে তিনি সংবাদিকদের সর্বোচ্চ সহোযোগীতা কামনা করেছেন অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম,সালাউদ্দিন শিকদার,গোলাম রব্বানী, ইন্সেপেক্টর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান,প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টোকন, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ-দৌল্লা সহ প্রমুখ।

যশোর কে মাদক মুক্ত করার ঘোষণা – নবাগত পুলিশ সুপারের

 

১৯৯৮ সা‌লে স‌খের ব‌সে গা‌নের জগ‌তে পা রাখেন হুমায়ূন ইলতুত। এরপর থে‌কে দীর্ঘ পথ গানের সা‌থে নি‌জে‌কে জ‌ড়ি‌য়ে রে‌খে‌ছেন।

লালন শাহ্ ফ‌কি‌রের বাণী‌কে বু‌কে লালন ক‌রে গে‌য়ে চ‌লে‌ছেন গান। এই দীর্ঘ পথচলায় গে‌য়ে‌ছেন অসংখ্য গান। গে‌য়ে‌ছেন দে‌শের বেসরকা‌রি ও সরকা‌রি টি‌ভি চ্যা‌নেল বি‌টি‌ভি‌তে।

দীর্ঘ এ পথ চলা নি‌য়ে ইলতুত এ জেড নিউজ বি‌ডি‌কে ব‌লেন, জীব‌নের শেষ দিন পর্যন্ত লালন শাহ্ কে ম‌নে ধারণ ক‌রে চল‌তে চাই। একজন ভা‌লো মানুষ হি‌সে‌বে নি‌জে‌কে তৈ‌রি কর‌তে চাই।

‌তি‌নি ব‌লেন, আমি প্রথমত ফ‌রিদা পারভীন, মামুন ন‌দিয়ার গা‌নের প্রে‌মে প‌ড়ে সংগীত অঙ্গ‌নে আ‌সি। খুব শীঘ্রই আমার এক‌টি গান বাজা‌রে আস‌ছে। আশা ক‌রি গান‌প্রিয় মানু‌ষের ভা‌লো লাগ‌বে গান‌টি।

তি‌নি আরও ব‌লেন, বর্তমানে দে‌শের সংগী‌তে অ‌নেক ভা‌লো ভা‌লো গান হ‌চ্ছে। অন্য‌দি‌কে কতিপয় কিছু মানু‌ষের জন্য অা‌ডিও বা ভি‌ডিও গা‌নের বাজার নষ্ট হ‌চ্ছে। সফট্ওয়ার ডাউন‌লোড ক‌রে ক‌ম্পিউটারে ব‌সে আজকাল শিল্পী হ‌য়ে যা‌চ্ছে। যার কার‌নে গা‌নের প্র‌তি অ‌নে‌কের আস্থা ক‌মে যা‌চ্ছে।

তাই আ‌মি ম‌নে ক‌রি দে‌শের সংস্কৃ‌তিকে ব‌ু‌কে ধারণ ক‌রে গান গাওয়া উ‌চিত।

মৃত্যুর আ‌গের দিন পর্যন্ত গান‌কে ভা‌লো‌বে‌সে যা‌বো: হুমায়ূন ইলতুত

গাংনীর মহম্মদপুর পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বছরের বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত

সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বছরের নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে গাংনী মহম্মদপুর পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমি আন্জুম এর উপস্হিতিতে মোঃ কামাল আহম্মেদের সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জনাব মোঃ মকলেছুর রহমান ও মোঃ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন ও প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমি আন্জুম।

আজ উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুলে নিজ নিজ শিক্ষকগন শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয় ।

গাংনীর মহম্মদপুর পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বছরের বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত

 

গত ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে সারাদেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ১৪১৩ নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৭৬ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন।

আজ মঙ্গলবার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৯ : আসকের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। ২০১৭ সালে দেশে ৮১৮টি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও ২০১৮ সালে তা কিছুটা কমে ৭৩২ এ নেমে আসে। কিন্তু চলতি বছর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

এছাড়াও ২০১৯ সালে বেড়েছে উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন মোট ২৫৮ নারী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানীর শিকার হন ৪৪ জন পুরুষ। এছাড়াও ২০১৯ সালে উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৮ জন নারী। এ ছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে খুন হয়েছেন ১৭ জন নারী ও পুরুষ। ২০১৮ সালের আসকের তথ্য মতে, সেবছর যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন মোট ১৭০ জন। এছাড়াও সালিশের নামে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন চার (৪) জন নারী। এছাড়াও যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৬৭ নারী। যার মধ্যে নির্যাতনের কারণে মারা যান ৯৬ জন এবং আত্মহত্যা করেন ৩ জন। অন্যদিকে এ বছর পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৪২৩ নারী। এছাড়াও ২০১৯ সালে ৩৪ নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পরবর্তী সময়ে মারা যান ১ নারী। অন্যদিকে এ বছরে অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন ১৯ নারী।

২০১৯ সালে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার ১৪১৩ নারী

দুই হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেয়া লিতুন জিরা মুখে ভর করে লিখেই এবার পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। লিতুন জিরা যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শেকপাড়া খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। সে এবার উপজেলার খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।

স্থানীয়রা জানান, লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহী লিতুন জিরা প্রখর মেধাবী। হুইল চেয়ারেই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে প্রখর মেধাবী এ-প্লাস পেয়ে লিতুন জিরা মেধার সাক্ষর রাখল। বর্তমানে হুইল চেয়ারটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তা চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

মেধাবী এ শিক্ষার্থীর বাবা উপজেলার এ আর মহিলা কলেজের প্রভাষক। তিনি গত ১৭ বছর ধরে ওই কলেজে চাকরি করলেও আজও কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়নি। তার বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কিন্তু বেতন না পাওয়ায় খুব কষ্টে তাদের সংসার চলে।

লিতুন জিরার বাবা হাবিবুর রহমান ও মা জাহানারা বেগম বলেন, জন্মের পর মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা চিন্তা ছিল তাদের। এখন মেয়ের মেধা তাদের আশার সঞ্চার করেছে। লিতুন জিরা আর ১০ জন শিশুর মতো স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া, গোছল সবকিছুই করতে পারে। মুখ দিয়েই লিখে সে। তার চমৎকার হাতের লেখা যে কারো দৃষ্টি কাড়বে।

লিতুন জিরার প্রধান শিক্ষক সাজেদা খাতুন বলেন, তার ২৯ বছর শিক্ষকতা জীবনে লিতুন জিরার মতো মেধাবী শিক্ষার্থীর দেখা পাননি। এককথায় সে অসম্ভব মেধাবী। শুধু লেখাপড়ায় না, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও অন্যদের থেকে অনেক ভালো লিতুন।

তথ্যঃগো নিউজ২৪/আই

মুখে ভর করে লিখেই জিপিএ-৫ পেল জিরা

 

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ফেল করায় গলায় ফাঁস  করেছে ফাতেমা আক্তার (১৪) নামে এক পরীক্ষার্থী।মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। সদ্য প্রকাশিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংকে ফেল করায় আত্মহত্যা করল ফাতেমা।

ফাতেমা আক্তার উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের মিত্রসেনপট্টি গ্রামের মোস্তফা খাঁ ও নাজমা বেগম দম্পতির মেয়ে। এবার ইদিলপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল সে। জেএসসি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৪০৫৪৩৯। মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে অংক বিষয়ে ফেল করে ফাতেমা।

ফাতেমার বাবা মোস্তফা খাঁ বলেন, আমার তিন মেয়ে। ফাতেমা বড় মেয়ে। শুধুমাত্র একটি বিষয়ে ফেল করায় আমার আদরের মেয়েটা আত্মহত্যা করল। আমরা কেউ তাকে কিছুই বলিনি।

 

 

শরীয়তপুরে পরীক্ষায় ফেল করায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা

বিনোদন ডেস্কঃ বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পী সংশ্লিষ্টদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্রপোরেশনে (বিএফডিসি) সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে নতুন মেয়াদে সভাপতি হিসেবে জয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক অমিত হাসান। আর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পপি। তিনি পেয়েছেন ৩২৫ ভোট।

জয়ী হয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এ অভিনেত্রী। পপি বলেন, ‘ভোটার সহকর্মীদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। সবাইকে অনেক ভালোবাসা আমাকে সমর্থন দেয়ার জন্য। আজকের যে স্বীকৃতিটা আমি পেলাম তা আমার ক্যারিয়ারের বিরাট প্রাপ্তি হয়ে থাকবে।’

নেতৃত্ব পেয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন পপি। তিনি বলেন, ‘আগের কমিটি যে কাজগুলো করেছে সেগুলোর সাফল্য ব্যর্থতা যাচাই করে নতুন পরিকল্পনায় কাজ করতে চাই। পুরনো কমিটি যে কাজগুলো হাতে নিয়েছিল কিন্তু শেষ হয়নি সেগুলোও যেনও আমরা শেষ করতে পারি। সেই বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে শেষ করব।’

নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে পরি বলেন, ‘প্রতিটি পদই এখানে গুরুত্বপূর্ণ যদি সেই পদে থাকা মানুষটি পরিশ্রমী হয়, কর্মঠ হয়। তাই আমি মনে করি একজন আমিও ফিল্ম ক্লাবের অনেক ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারি। অন্তত চেষ্টাটা করব।’

বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনে অমিত হাসানের পূর্ণ প্যানেল নির্বাচিত হয়েছে। সভাপতি পদে অমিত হাসান ২৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন ওমর সানী (৩২৫), রত্না (৩৪৪), মাহমুদুল হক পলাশ (২৮৮), জাহিদ হোসেন (৩১৬), সাফি উদ্দিন সাফি (২৮২), সৈয়দ রাফি উদ্দিন সেলিম (২৩২), রবিন খান (২৬৪), রশিদুল আমিন হলি (৩০১), আব্দুল্লাহ জেয়াদ (৩০০)।

বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনে ৫১১ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৯০ জন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মেহেদী হাসান সিদ্দিকী মনির।

নির্বাচনে জয়ী হয়ে যা বললেন- পপি

এখনকার দিনের রাজনীতিবিদরা রিকশাচালকের মতো কথাবার্তা বলছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে ভিন্নমত খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ভিন্নমত থাকবেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা বেড়ে গেছে।তিনি বুধবার ঢাবির টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডিইউপিডিএএ) আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।কাদের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।

সেতুমন্ত্রী বিভক্তির রাজনীতি পরিহার করে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের সেতু তৈরির পরিবর্তে অসহিষ্ণুতার দেয়ার তৈরি করছি।’তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আবার সহিষ্ণুতা ফিরিয়ে আনতে হবে। বিভেদের সংস্কৃতি হ্রাসে পরস্পরের মধ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা আশা করছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবে। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা এই নির্বাচনে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা আশ্বস্ত করছি এটা অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে।যেই জয়লাভ করুক, আর যেই পরাজিত হোক নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচনে পরাজিত হয়, তবে তা সরকারের জন্য বড় কোন সমস্যা হিসেবে দেখা দিবে না।তিনি আশ্বস্ত করেন, নির্বাচন কমিশন যেন স্বাধীনভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে, সরকার সে জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে।মন্ত্রী বলেন, ‘মেট্রোরেল একটি পরিবেশ-বান্ধব প্রকল্প। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাজধানীতে ছয়টি মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকার অবস্থা পাল্টে যাবে।’অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে এলে যারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জীবনের শেষ ভাগে পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমি অলৌকিকভাবেই আবার ফিরে এসেছি। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।’ডিইউপিডিএএর সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি নাজমুল হক প্রধান, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

এখনকার রাজনীতিবিদদের কথাবার্তা রিকশাচালকের মতো: কাদের

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কাউন্ট-ডাউনের একটি ঘড়ি স্থাপনের কাজ আমাদের নিজস্ব উদ্যোগে করা হবে।

আগামী ১০ জানুয়ারীর আগেই কার্যক্রমের নানা কর্মসূচির তালিকা প্রস্তুত করা হবে এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার উদ্বোধন করা হবে। সর্বোচ্চ সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়ে বছর ব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে মডেল উপজেলার স্বীকৃতি পেতে চাই। দায়সারাভাবে কোন প্রেগাম করা হবে না।

সে লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করবে। ২০২১ সালের মধ্যে এ দেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত দেশ। আর সেই লক্ষ্যে মুজিববর্ষের আয়োজন। যাতে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

আগামী বছর অর্থ্যাৎ ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ উদযাপন করা হবে। আজ রবিবার দুপুর ২ টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মুজিববর্ষের প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেছেন মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

গাংনী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম, কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামীলগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম, জেলা জেপির সভাপতি আব্দুল হালিম, গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী প্রমুখ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য মজিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান, বিশিষ্ট আ.লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু, শহিদুল ইসলাম শাহ, নাজমুল হুদা বিশ্বাস, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমিরুল ইসলাম, ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

গাংনীতে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী কর্মসূচির প্রস্তুতি সভা

 

মেহেরপুর সদর থানা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা পাভেল গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

রবিবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশের বাগানের একটি আমগাছে গলায় রশি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। সেলিম রেজা পাভেল মেহেরপুর পৌর কলেজ পাড়ার স’মিল ব্যবসায়ী মসলেম আলীর ছেলে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা ।

স্থানীয়রা জানান, সকালে অন্যান্য দিনের মত নাস্তা শেষ করে পাভেল। হঠাৎ করে ৯টার দিকে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় আমগাছে ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় । খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের এস আই শরিফ হাবিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

পারিবারিক কলহের জের ধরে দির্ঘদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগতেন পাভেল। প্রথম স্ত্রীর সাথে মনমালিন্যের পর ২য় বিয়ে করেছিলেন কিছু দিন আগে। প্রথম স্ত্রী বাড়ি থেকে অত্যাচার করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগও করেছিলেন।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, মানসিক ও পারিবারিক কলহের কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

মেহেরপুরে তাঁতী লীগ নেতা পাভেলের আত্মহত্যা !