রবি/২০১৯-২০ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচী এর আওতায় ভুট্টা ও সরিষা বীজ ও সার বিতরণ
“”””””””‘”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
কৃৃতজ্ঞতা বিএডিসিকে বাকিতে সার ও বীজ সরবরাহ প্রদানের জন্য।
“””””””””””””””””'””””””””””””””””””””””””””””””””””””
অদ্য ১৮/১১/২০১৯ খ্রিঃ ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রবি/২০১৯-২০ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচী এর আওতায় ভুট্টা ও সরিষা বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সৈয়দা নাফিস সুলতানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ ।

 

জনাব মোঃ রওশন আলী, মাননীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ- ২; জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম শিলু , ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ; জনাব মোছাঃ রেশমা খাতুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ; জনাব মুহম্মদ আরশেদ আলী চৌধুরী, উপজেলা কৃষি অফিসার, হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ; প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার, হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ; জনাব মোঃ ফারুক হোসেন, কাউন্সিলর, হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ; জনাব মনিশংকর বিশ্বাস, এসএপিপিও; জনাব মোঃ শফিকুর রহমান এসএএও এবং প্রিয় চাষী ভাইয়েরা।

রবি/২০১৯-২০ মৌসুমে ভুট্টা,সরিষা বীজ ও সার বিতরণ-নির্বাহী অফিসার,হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ

 

 

 

ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর- নয় মাস অপেক্ষার পরও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে কোনো ধরনের বার্তা না পেয়ে মো. ফারুক হোসেন যান মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। বিআরটিএ লাইসেন্স সরবরাহে নতুন করে সময় নিয়েছে। এভাবে তিনবার নতুন তারিখ দিলেও ফারুককে লাইসেন্স দিতে পারেনি বিআরটিএ।

শুধু ফারুক নয়, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে এভাবে মাসের পর মাস কিংবা বছর পার হলেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের সেই সোনার হরিণ যেন ধরা দিচ্ছে না!

সেবাগ্রহীতা, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বলছেন, এমনিতেই সহজে পাওয়া যায় না ড্রাইভিং লাইসেন্স। পরীক্ষায় অকৃতকার্য করে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে বিআরটিএ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। প্রাতিষ্ঠানিক সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ ও পরীক্ষায় পাস করে অপেক্ষায় রয়েছে সাড়ে ছয় লাখ সেবাগ্রহীতা। কিন্তু হঠাৎ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি ও সরবরাহ প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে মোটরযান চালকদের।

অভিযোগ রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার সব কাগজপত্রসহ জরুরি আবেদন ফরমের সঙ্গে বিআরটিএর কর্মকর্তাদের চাহিদা মতো অর্থ না দিলে মিলছে না ড্রাইভিং লাইসেন্স।

বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেন্ডিং ছিল সোয়া এক লাখ। লাইসেন্স তৈরির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ‘টাইগার বিডি’ কালো তালিকাভুক্ত হবার পর নতুন করে টেন্ডার ছাড়া হয়েছে। নতুন প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি ও সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে গত সেপ্টেম্বর থেকে পৌনে তিন মাসে জমতে জমতে সাড়ে ছয় লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে আছে বিআরটিএ কার্যালয়ে।

তবে বিআরটিএ কর্মকর্তারা বলছেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স না পেলেও যে কেউ চাইলে অস্থায়ীভিত্তিতে একটা অনুমোদনপত্র দেয়া হচ্ছে। যেটা কাছে থাকলে সব জায়গায় বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সের সুবিধা পাওয়া যাবে। মামলাও করতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ২০১৬ সালের ২৩ জুন বিআরটিএর সঙ্গে টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেডের ড্রাইভিং লাইসেন্স (স্মার্টকার্ড) সরবরাহের চুক্তি হয়। প্রতি ড্রাইভিং লাইসেন্স বাবদ খরচ নির্ধারিত হয় ৪৭২ টাকা ৬০ পয়সা।

চুক্তি অনুসারে ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড আমদানি, পার্সোনালাইজেশন সেন্টার, প্রিন্টিং স্টেশন, নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি, অনলাইন ইউপিএস, ডাটা সেন্টার, সার্ভার, স্টোরেজ মেইনটেইন, ট্রেনিং, ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং সাপোর্ট, লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য গ্রাহককে এসএমএস প্রেরণসহ সব ধরনের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও ডাটা কালেকশনের জন্য সারাদেশে জনবল নিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটি।

চুক্তি অনুযায়ী শর্ত ছিল, প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের মধ্যে অর্থাৎ পাঁচ বছরে গড়ে তিন লাখ করে ১৫ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স (স্মার্টকার্ড) সরবরাহ করবে। এরপর পুরো সিস্টেম বিআরটিএর কাছে হস্তান্তর করবে। কিন্তু নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের পর ও রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের আবির্ভাব হলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যায়। সোয়া ১৫ লাখের চাহিদার মধ্যে তিন বছরে ১৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করে টাইগার আইটি। বাকি সোয়া এক লাখ লাইসেন্স প্রিন্টের সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে থাকতেই চুক্তি থেকে সরে আসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

তারপরও টাইগার আইটি বিআরটিএর কাছে আরও ৫০ শতাংশ চুক্তির অতিরিক্ত কার্ড সরবরাহের অনুমতি চায়। এর বিপরীতে ৩০ শতাংশ হিসাবে আরও সাড়ে চার লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহের অনুমোদনের জন্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠায় বিআরটিএ।

এ ব্যাপারে বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) এ কে এম মাসুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংকটের বিষয়টি স্বীকার করেন। এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিআরটিএর একটা সংকট যাচ্ছে। টাইগার আইটির সঙ্গে কাজের মেয়াদ শেষ। নতুন কোম্পানির সঙ্গে কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে গেল সপ্তাহে। সেটা পার্চেস কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটা পাস হয়ে গেলে লাইসেন্স প্রদানের সংকট আর থাকবে না। নতুন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেলে দুই লাখ কেন ১০ লাখ হলেও আমরা দ্রুত দিতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না-ও পান, তাহলেও সমস্যা হবে না। যারা লাইসেন্সের জন্য টাকা জমা দিয়েছেন, পরীক্ষায় পাস করে লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য বসে আছেন, ওই পেপার দেখালে কেউ পানিশমেন্ট পাবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অস্থায়ীভাবে একটা অনুমোদনপত্র আমরা দিচ্ছি। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার আগ পর্যন্ত তারা ওই অনুমোদনপত্রের মাধ্যমে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন।’

বিআরটিএ পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) লোকমান হোসেন মোল্লা বলেন, ‘টাইগার আইটির ব্যাপারে মন্ত্রণালয় নেতিবাচক। কারণ জাতিসংঘ থেকে ওই প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সে কারণে নতুন করে কাজের অনুমোদন দেয়া হয়নি। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা তো বিআরটিএর নেই।’ আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করেন তিনি।

সূত্র: জাগোনিউজ

ঝুলে আছে ৬ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স

 

 

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আমি কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলি না। আমি অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলি। যারাই অনিয়ম করেন,তাদের বিপক্ষে কথা বলি। কোনো চালক যদি মনে করেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি, এটা দুঃখজনক।

জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা শুরু থেকেই এই আইনের প্রতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন দিয়ে গেছেন। আজ পরিবহন সেক্টরের কিছু মানুষের নৈরাজ্যের কারণে আপনাদেরও ভোগান্তি হচ্ছে। তবে আমি মনে করি এই ভোগান্তি সাময়িক। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য আপনাদের এরকম সাময়িক ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে। আপনারা ধৈর্য হারাবেন না।

অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চারজনকে সম্মাননা জানানো হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নূর নাহার ইয়াসমীন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিপ্লব ভৌমিক।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নিরাপদ সড়ক চাই’র মহাসচিব সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন বাবুল, নিরাপদ সড়ক চাই’র যুগ্ম-মহাসচিব লিটন এরশাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক চাই’র নিয়মিত প্রকাশনা ‘নিরাপদ’র মোড়ক উন্মোচিত হয়।

-যুগান্তর

আমি কারো পক্ষে-বিপক্ষে না, আমি অনিয়মের বিরুদ্ধে: ইলিয়াস কাঞ্চন

 

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর সীমান্ত এলাকা থেকে চার বোতল ফেনসিডিলসহ বরখাস্তকৃত এক পুলিশ কনেস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম কবিরুল ইসলাম (৩৫)।

কবিরুল মেহেরপুরের বন্দরগ্রামের মৃত মিয়াউর রহমানের ছেলে। তিনি খুলনা জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে শাস্তিমূলক বরখাস্ত রয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, ভারতীয় ফেনসিডিলের চালান যাবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তবর্তী মুন্সিপুর এলাকায় অভিযান চালায় দামুড়হুদা থানা পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের সন্দেহ হলে একটি ইজিবাইককে গতিরোধ করা হয়। ইজিবাইকে থাকা কবিরুলের দেহ তল্লাশী করে চার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরো জানান, মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ১৭ জুলাই ২০১৮ সালে তাকে খুলনা পুলিশ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় ফেন্সিডিল-সহ বরখাস্তকৃত পুলিশ আটক

 

 

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় তেল ক্ষেত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনী। এই অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া।

শুক্রবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ  এই নিন্দা জানিয়েছেন।

মিখাইল বোগদানভ বলেছেন,  সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় তেল ক্ষেত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে সিরিয়ার সেখানে উত্তেজনা বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, সিরিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন করার উদ্দেশে দেশটির তেল ক্ষেত্রগুলোর কাছে সেনা সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপ সিরিয়া পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর পরিবর্তে দেশটির সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে।

এদিকে, এর আগে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্কিন সেনারা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাকা ও হাসাকা প্রদেশ থেকে বহু ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান পার্শ্ববর্তী তেলসমৃদ্ধ ‘রামিলান’ এলাকায় পাঠিয়েছে। এসব সমরাস্ত্র তেল ক্ষেত্রটির কাছে অবস্থান নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া শুরু থেকেই বলে আসছে, সিরিয়ার তেল সম্পদ লুট করার একমাত্র লক্ষ্য নিয়ে সেখানে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র : পার্স টুডে

সিরিয়াতে তেল লুটে মার্কিনের অপচেষ্টা, নিন্দা রাশিয়ার

 

রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন গাবতলী পশুর হাট এলাকা হতে ১৩০০ বোতল ফেন্সিডিল এবং একটি ট্রাকসহ দুজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)।

আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল মেজর কাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে ডিএমপি দারুস সালাম থানাধীন গাবতলী পশুর হাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ফেনসিডিল ও ট্রাকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানিয়েছে।

আটককৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১৩০০ বোতল ফেন্সিডিল, ফেন্সিডিল বহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক এবং দুটি মোবাইল। এছাড়া এ সময় আটক করা হয়েছে মো. খাদেম মন্ডল (৫০), মোঃ আলাউদ্দিনকে (৬২)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা র‌্যাবকে জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্ত এলাকা হতে ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে ট্রাকে করে ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে থাকে তারা। এজন্য তারা ট্রাকের সামনের অংশে ড্রাইভারের সিটের পাশে কেবিনে বিশেষ ব্যবস্থা করেছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজর এড়াতে তারা দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত ঠিকানা বদল করে থাকে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

গাবতলীতে ১৩০০ বোতল ফেনসিডিল সহ দুজনকে আটক, জব্দ ট্রাক

 

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পাইকারি বিদ্যুতের দাম ২৩ দশমিক ২৭ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন ভোক্তারা। তারা বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব মানি না। এ মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সবকিছুতেই এর প্রভাব পড়বে বলে তারা মনে করেন। কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন। তারা বলেন, বিদ্যুত খাতের ৫০ শতাংশ দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। গতকাল রাজধানীর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অডিটোরিয়ামে পিডিবি’র পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানিকালে বিভিন্ন শ্রেণীর ভোক্তারা এসব কথা বলেন।

পিডিবি পাইকারি বিদ্যুতের দাম ২৩ দশমিক ২৭ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বিপরীতে কমিশনের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করছে। পিডিবির পক্ষ থেকে দাম প্রস্তাব উপস্থাপন করেন পিডিবির জেনারেল ম্যানেজার কাউসার আমীর আলী। অন্যদিকে মূল্যায়ন কমিটির পক্ষে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন কমিশনের উপপরিচালক (ট্যারিফ) মো. কামরুজ্জামান। আগামী বছর প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসানের পূর্বাভাস দিয়ে বিইআরসির দ্বারস্থ হয়েছে পিডিবি। পিজিসিবি চায়, চার বছর আগে নির্ধারণ করা তাদের সঞ্চালন চার্জ তিন ধাপেই বাড়ানো হোক।

গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে অনুসরণ ছাড়া পাইকারি বিদ্যুতের মূলহার নির্ধারণ ন্যায্য যৌক্তিক হবে না। মূলহার বৃদ্ধিও প্রস্তাব তখনই যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত হবে যখন ঘাটতি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত হবে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ঘাটতি কি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত। তিনি বলেন, পিডিবিকে ভোক্তারা বিদ্যুৎ খাত পরিচালনায় আদর্শিক মানদন্ড হিসেবে দেখতে চায়। এটি সরকারি সংস্থা। মুনাফা আহরণকারী কোম্পানি নয়। তার ট্যারিফ কস্ট প্লাস নয়, কস্টভিত্তিক হবে। ড. শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৭০ হাজার কোটি  টাকা মজুত। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এ অর্থ এখাত উন্নয়নে কি কোনো উদ্যোগ আছে। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল গণশুনানিতে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সাধারণ মানুষ খুব যন্ত্রণার মধ্যে আছেন। ২০১০ সালের মার্চ থেকে এই পর্যন্ত আটবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর দাবি জানান তিনি। শুনানিতে বিদ্যুতের কুইক রেন্টালগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্য বিইআরসি’র প্রতি আহবান জানান। শুনানিতে বিজিএমইএর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এবছর তৈরি পোশাক শিল্পের ৬৯টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে আরো অনেক কারখানা বন্ধের উপক্রম দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে চার কোটি লোক জড়িত। সরাসরি জড়িত ৪৪ লাখ মানুষ। এ মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে আরো বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর দাবি জানান বিজিএমইএর এই প্রতিনিধি। বিকেএমইএর প্রতিনিধি সজিব হোসেন বলেন, তাদের ১২শ’ কারখানার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬শ’ বন্ধ হয়ে গেছে।

বিদ্যুতের দাম বাড়ালে অন্য কারখানাগুলোও দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই বলেও তিনি মনে করেন। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি গণশুনানিতে অংশ নিয়ে বলেন,  সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তারমধ্যে আবারো বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা বলছে। বিদ্যুতের দাম বাড়লে সব কিছুর দাম বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, সরকার বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়ার জন্য কুইক রেন্টাল করেছে। বিদ্যুতের ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে রয়েছে বিশেষ গোষ্ঠীর সুবিধা। তিনি বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর দাবি জানান। সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিদ্যুৎ সেক্টরে দুর্নীতির হাঙ্গার ও কুমির রয়েছে। এখানে সর্বত্র দুর্নীতি। এখাতে ৫০ শতাংশ দুর্নীতিরোধ করতে পারলে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না। মুঠোফোন গ্রাহক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যুতের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতি রয়েছে। এজন্য অডিটি করার প্রয়োজন। এ মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়লে জীবনযাত্রার ওপর চরম প্রভাব পড়বে। তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব মানি না। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধীতা করেন। তিনি বৈঠকে কমিশনের একজন সদস্যকে ইঙ্গিত করে বলেন, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির কেলেঙ্কারি সঙ্গে জড়িত ওই সদস্য কিভাবে গণশুনানিতে অংশ নেন। তখন মিলনায়তনে উপস্থিত প্রায় সকলেই তার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে, হৈচৈ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হলে শুনানি আবার  শুরু হয়।

এদিকে বিকালে একই স্থানে গণশুনানিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন খরচ ২৭ পয়সা থেকে ৫০ দশমিক ৭৭ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় ৪২ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। কিন্তু বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ দাম বাড়ানো প্রয়োজন বলে মতামত দিয়েছে। পিজিসিবির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অর্থ আইন-২০১৯ অনুযায়ী সঞ্চালন চার্জের ওপর ৫ শতাংশ উৎসে কর কাটার বিধান রাখা হয়েছে। এতে বছরে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। চার্জ না বাড়লে প্রকল্প বাস্তবায়ন, নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও ব্যাংক ঋণের সুদ পরিশোধ কঠিন হয়ে পড়বে। পিজিসিবির এমডি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চালন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। কিন্তু পিক, অফ পিক আওয়ার ও শীতকালে চাহিদার ব্যাপক তারতম্যের কারণে পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে কাঙ্ক্ষিত হুইলিং চার্জ অর্জিত হচ্ছে না। সঞ্চালন খরচ না বাড়লে সরকার ও দাতা সংস্থার ঋণ এবং সুদের বিশাল অংক নিয়মিত পরিশোধ করা কঠিন হবে। এতে অদূর ভবিষ্যতে ঋণ পরিশোধে অক্ষম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, আব্দুল আজিজ খান, রহমান মুরশেদ ও মাহমুদউল হক ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।

২৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব বিদ্যুতের দাম

 

৩০ নভেম্বর- পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা অবমুক্ত করে জাতীয় পার্টির ঢাকা জেলা শাখার সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি।

শনিবার এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক কনভেনশন সেন্টারের ‘মহল’ হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন জিএম কাদের এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করবেন দলের মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।

সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।

এছাড়া পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা অতিথি হিসেবে আছেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন জাতীয় পার্টির জেলা শাখার সদস্য সচিব ও সাবেক এমপি খান মোহাম্মদ ইসরাফিল (খোকন)।

সবশেষে সভাপতির ভাষণ দেবেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।

এদিকে সম্মেলন সামনে রেখে জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা জেলার অধীনে ৫টি উপজেলা ও ৩টি পৌর শাখা আছে।

দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির নির্দেশে ওই ৮টি শাখার নেতাকর্মীরা শুক্রবার নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতি সভা করেছেন। স্থানীয় নেতারা আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

 

পায়রা উড়িয়ে জাতীয় পার্টির ঢাকা জেলা শাখার সম্মেলন উদ্বোধন

 

 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রাম থেকে তিন কেজি গাঁজা সহ দু’মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে গাাঁজা পাচারকালে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলো কুষ্টিয়ার দৌলতুপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের মৃত সিয়ামুদ্দিনের ছেলে মোঃ তারিক হোসেন অপর আসামী মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি মধ্যো পাড়ার মৃত আজিজুল মন্ডলের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান।

গাংনী থানা সুত্রে প্রকাশ,মাদক ব্যবসায়ী দু’জন তিন কেজি গাঁজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অটো গাড়িতে করে গাংনী রুট হয়ে হাটবোয়ালিয়া যাবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী থানার এসআই হাবিবুর রহমান (১), এএসআই আহসান হাবিব ও এএসআই রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

এসময় তাদের কাছ থেকে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, আটক দু মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের পূর্বক মেহেরপুর কোর্টে প্রেরণ করা হবে।

মেহেরপুরের গাংনীতে তিন কেজি গাঁজা সহ আটক দুই-মাদক ব্যবসায়ী

 

 

 

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মামলায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের ৮ বছর কারাদণ্ড ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ২০ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন। এ মামলায় ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। চলতি বছরের গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। এমন অভিযোগ উঠলে দুজনকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। এ সময় ওসি নিয়ম ভেঙে জেরা করেন এবং নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ওসি মোয়াজ্জেম অনুমতি ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে নুসরাতকে জেরা এবং তা ভিডিও করেন। পরে ওই ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তিনি। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ওসি মোয়াজ্জেম অত্যন্ত অপমানজনক ও আপত্তিকর ভাষায় নুসরাতকে একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছেন। নুসরাতের বুকে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নও করেছেন ওসি মোয়াজ্জেমকে।

ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছর কারাদণ্ড ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা