জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদের সম্পর্কে দেয়া ‘মানহানিকর বক্তব্য’ প্রত্যাহারে জন্য পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশাকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিদিশা ১৫ দিনের মধ্যে ‘বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে’ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিসে বলা হয়েছে।

জাপার সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবু ওয়াহাবের পক্ষে আইনজীবী এম এম সালাহ্উদ্দিন আহম্মেদ মঙ্গলবার এ আইনি নোটিস পাঠান।

জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশার বলেছেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শাহতা জারাব এরিককে দেখভালের ক্ষেত্রে তার চাচা ও দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের মূল বাধা।
চলতি বছরের জুলাইতে মৃত্যুর আগে এরশাদ তার সব সম্পত্তি দান করে যান ট্রাস্টে। ছেলে এরিকের দেখভাল করার জন্য এ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। ট্রাস্টের সদস্য হিসেবে এরিক আর ভাতিজা খালেদ আখতারকে রাখলেও ভাই কাদেরকে রাখেননি এরশাদ।

গত ১৪ নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট পার্কে ছেলে এরিকের সঙ্গে অবস্থান নেয়া বিদিশা অভিযোগ করেছেন, এই বাসায় এরিকের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা তার ছেলের স্বাস্থ্যের প্রতি ‘অবহেলা’ করেছেন। এরশাদের ব্যক্তিগত গাড়িচালক এরিককে ‘মারধর’ করেছেন। নিরাপত্তাহীনতায়’ ভুগতে থাকা এরিক মা বিদিশাকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্কে থাকতে চান জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর গুলশান থানায় জিডি করেন। বিদিশার ওই অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন জি এম কাদের। কিন্তু পরে আর তিনি ওই মামলা করেননি।

বিদিশাকে আইনি নোটিস

 

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি- মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি গরুবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে কমপক্ষে দুইজন।

আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার গোপালপুর এলাকার নীলখোলা স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাগেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা একটি মিনি ট্রাক ৫/৬টি গুরু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে উপজেলা গোপালপুর এলাকার নীলখোলা পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খালের পানিতে পড়ে যায়। এসময় ওই ট্রাকে থাকা দুই গরু ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় আহত অবস্থায় গরু গুলো উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলার ডাসার থানা পুলিশ মোতায়ন করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকেই চালক পলাতক রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলার ডাসার থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কালকিনিতে গরুবাহী ট্রাক খাদে, আহত দুই ব্যবসায়ী

 

বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাত জন আসামীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের একজন রাকিবুল হাসান রিগ্যানকে দেখা যায় মাথায় একটি কালো টুপি।

কালো ওই টুপিটির উপর ছিল অবিকল আইএস-এর কালো পতাকাটির উপর সাদা রঙে আঁকা প্রতীকটি।

এ সময় ওই এলাকায় ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শত শত সদস্য। রিগ্যানকেও ধরে ছিল পুলিশের কয়েকজন। কিন্তু কেউই রিগ্যানকে এই টুপিটি পরতে বাধা দেয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন।

এমনকি টুপিটি খুলে নেয়ার চেষ্টা করতেও দেখা যায়নি কাউকে।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী রিগ্যান যখন সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছিলেন, তখন তাকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আইএস-এর লোক’।

আদালত কক্ষ থেকে প্রিজন ভ্যানে এনে তোলা পর্যন্ত আধা ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আইএস-এর এই প্রতীক প্রদর্শন করেন রিগ্যান।

রাকিব হাসনাত জানাচ্ছেন, আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু’র নজরে আনেন। তখন তিনি পরামর্শ দেন, রিগ্যান কীভাবে এই টুপিটি পেল সেই প্রশ্ন সে যাদের হেফাজতে আছে তাদেরকে করতে।

অবশ্য পরে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রিগ্যানের এই আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন করা এবং টুপিটি সে কীভাবে সংগ্রহ করলো তা নিয়ে তদন্ত করবেন তারা।

আদালত চত্বরে বিনা বাধায় আইএস-এর প্রতীক প্রদর্শন করলেন ফাঁসির আসামী

‘জাতীয় পার্টি কারো একার সম্পদ নয়। মনে করতে হবে জাতীয় পার্টি আমাদের। যে কারণে কোথাও কোন সমস্যা হলে নিজের মনে করে কাজ করতে হবে। এটি করতে পারলে ডেডিকেটেড কর্মী পাবো। নেতৃত্বের কোন গলদ থাকলে ভেতরে বসে সমস্যা সমাধান করবো। ভুল ত্রুটি মানুষের হয়। কোন ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিবেন, আমরা সংশোধনের চেষ্টা করবো।’- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এসব কথা বলেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে বিদিশার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন ব্যারিস্টার ও অ্যাডভোকেট জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।

এ সময় জিএম কাদের বলেন, আমি কাঁদা ছুড়ছি না, রাজনীতি করি কেউ আমার জন্য জীবন দিবে, আবার কেউ কাছে থেকে বিরোধীতা করবে। আমি যতো প্রভাবশালী হব তখন শত্রুতা, তিক্ততা বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, বিরোধীতা প্রমাণ করে আমি সঠিক পথে রয়েছি। সময় হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জিএম কাদের বলেন, রাজনীতিতে শুন্যতা বিরাজ করছে। লোকজন মনে করছে জাতীয় পার্টি তাদের চাওয়া পূর্ণ করতে পারবে। জনগণের আস্থার একটি দলে পরিণত করতে যে যে ধরনের কর্মসূচি প্রয়োজন করা হচ্ছে। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ নয়, সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন করতে চাই। এটি শুধু আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আপনাদের কাজ করতে হবে।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ।

জাতীয় পার্টি কারো একার সম্পদ নয়: জিএম কাদের

 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এসএসসি পরিক্ষার্থী এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধ’র্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৎপর প্রভাবশালী মহল। গত বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজে’লার হাটুভাঙ্গা এলাকায় এই ধ’র্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পার হয়েছে পাঁচ দিন। তবে ভু’ক্তভোগীর পরিবার থানায় এ নিয়ে কোন অভিযোগ না দিলেও ঘটনার সংবাদ পেয়ে বি’ষয়টি দেওহাটা ফাঁড়ি ই’নচার্জ রফিকুল ইসলামকে ত’দন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মির্জাপুর থানার ওসি সায়েদুর রহমান।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে উপজে’লার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল, চিতেশ্বরী ও হাটুভাঙ্গা বাজার এলাকার সোহান সিকদার, রাকিব সিকদার ও জসিম নামের তিন বখাটে ওই শিক্ষার্থীকে কৌশলে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নে’শা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে সংঘবদ্ধ ধ’র্ষণ করে।

এতে মেয়েটি র’ক্তাক্ত আ’হত হয়ে অ’চেতন হয়ে পড়লে তাকে রেখে পালিয়ে যায় ধ’র্ষকরা। পরে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাকে উ’দ্ধার করে মির্জাপুরে চিকিৎসা দিতে না পেরে পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জে’লার কালিয়াকৈর উপজে’লায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। মেয়েটি বর্তমানে কালিয়াকৈর তার মামার বাড়িতেই অবস্থান করছে বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মেয়েটির বাবা মুঠোফোনে ঘটনার বর্ণনা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বাড়িতে গেলে অদৃশ্য কারণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি তিনি। তবে মেয়েটির মা জানায়, প্রয়োজন হলে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে। সেখানে মেয়েটির পরিবারের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, ধ’র্ষকদের পরিবার অনেক ক্ষমতাবান। হাটুভাঙ্গা বাজারের অধিকাংশ দোকানের জায়গার মালিক তারা।



যদি এনিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয় তবে পথে বসতে হবে তাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধ’র্ষিতার চাচা জানায়, ঘটনাটি নিয়ে তার ভাই খুবই আতংকের মধ্যে রয়েছে। ধ’র্ষকের পরিবার অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশের কাছেও যেতে ভয় পাচ্ছেন। চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বি’ষয়টি আপোষ-মিমাংসা করার জন্য।




এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার ( মির্জাপুর সার্কেল) দীপঙ্কর ঘোষ জানান, এ ধরনের ঘটনায় ভু’ক্তভোগীর পরিবার যদি কোন অভিযোগ না দেয় তবে পুলিশের পক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা কঠিন। সত্যিই এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে বি’ষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ভু’ক্তভোগীর পরিবারকে আইনগত পদক্ষেপে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

স্কুল ছাত্রীকে গণধ’র্ষণ: ধামাচাপার চেষ্টা !

 

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী রোববার (১ ডিসেম্বর) দলীয় কার্যলয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে বলে জানিয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক কথা বলেন রিজভী। ‘মানুষ বিমানে চড়তে পারে না, আমরা বিমানে পেঁয়াজ নিয়ে এসেছি’ বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, অবৈধ সরকারের মন্ত্রীদের মুখে এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্যই শোভা পায়।রিজভী বলেন, মন্ত্রীদের নেতৃত্বেই ব্যবসায়ীরা বাজার সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করছে। আর এ কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

খালেদার মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ- ১ ডিসেম্বর

 

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা বহুল আলোচিত মামলার রায় আজ। দুপুর ১২ টায় এ রায় ঘোষণা করা হবে। গত ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এরপর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায় ঘোষণার এদিন ধার্য করেন।

এ হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করা হলেও রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন ৮ জন। কারণ বাকিরা বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। হলি আর্টিজানে হামলা চালানো পাঁচ তরুণ সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযান ‘থান্ডারবোল্টে’ সেদিনই নিহত হয়েছিলেন।

হামলায় জড়িতদের মধ্যে নিহত ১৩ জনের পাঁচজন নিহত হয় হলি আর্টিজান হামলায় অভিযানের সময়ই। এরা হচ্ছে- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

বাকী ৮ আসামির ‍বিরুদ্ধে আজ রায় দেয়া হবে। এরা কেউ-ই হলি আর্টিজান বেকারিতে সরাসরি হামলায় ছিলেন না। ওই হামলার পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ এবং অর্থ জোগানে ভূমিকা রেখেছিলেন তারা।

তারা হচ্ছে- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। আট আসামি হলেন-

জাহাঙ্গীর আলম

জাহাঙ্গীরের বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুরে। তাকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি।

গুলশান হামলা ঘটাতে জাহাঙ্গীরের ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ ছিল বলে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়। হামলার পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সংগ্রহ, হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে।

আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে জাহাঙ্গীর জঙ্গি সংগঠনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে গুলশান হামলায় যুক্ত ছিল না বলে দাবি করেছে।

রাকিবুল হাসান রিগ্যান

জঙ্গিসংগঠনগুলোতে রাফিউল ইসলাম রাফি, রিপন, হাসান, অন্তর নামেও তিনি পরিচিত। তার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিমপাড়ায়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, রিগেন নব্য জেএমবির প্রশিক্ষক ছিলেন, অর্থ লেনদেনের দায়িত্বও ছিল তার। নিষিদ্ধ সংগঠনের পদ গ্রহণ করে অর্থ গ্রহণ, হামলায় জড়িতদের প্রশিক্ষণ দিয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

মিজানুর রহমান

মিজানুর রহমান বড় মিজান নামে পরিচিত তিনি। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হাজারবিঘি চাঁনপুরে। ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর ঢাকার দারুস সালাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গুলশান হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক সরবরাহে সহায়তা করে হত্যাকাণ্ড সংঘটনে ভূমিকা রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে মিজানের বিরুদ্ধে।

তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া জবানবন্দিতে মিজান আদালতে বলেছিলেন, তিনি একজন মাছ ব্যবসায়ী, শুধু নামের মিলের কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে।

আব্দুস সবুর খান হাসান

সবুর খান বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত। সেগুলো হচ্ছে সোহেল মাহফুজ, মুসাফির, জয়, নসুরুল্লাহ। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সাদিপুর কাবলিপাড়ায়। ২০১৭ সালের ৮ জুলাই গ্রেফতার হয় সবুর। গুলশান হামলায় লোক, অস্ত্র, গ্রেনেড সরবরাহ করে হত্যাকাণ্ড সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে সবুর ওরফে সোহেল মাহফুজের বিরুদ্ধে।

হাদিসুর রহমান

হাদিসের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার কাদোয়া কয়রাপাড়া। ২০১৮ সালের ২১ মার্চ বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রেফতার করা হয়। গুলশান হামলাকারীদের ঝিনাইদহে মেস ভাড়া করে আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেয়া, অর্থ লেনদেন, অস্ত্র-গ্রেনেড সরবরাহ করে হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে হাদিসুরের বিরুদ্ধে।

শরিফুল ইসলাম খালেদ

শরিফুলের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারার শ্রীপুরের খামারপাড়ায়। ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেফতার হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, হলি আর্টিজান বেকারিতেহামলার পরিকল্পনাকারীদের একজন শরিফুল। আত্মঘাতী হামলার জন্য জন্য তরুণদের তৈরির কথা তিনিই বলেছিলেন। গাইবান্ধায় যমুনার চরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির চালাতেও তার ভূমিকা ছিল।

আসলাম হোসেন সরদার

আসলামের রাজশাহীর পবার নওহাটা মথুরায়। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাকে। হামলাকারীদের প্রশিক্ষকের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়া, ঘটনাস্থল রেকি, হামলার পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে আসলামের বিরুদ্ধে।

মামুনুর রশিদ রিপন

রিপন নামে তিনি পরিচিত ছিলেন সংগঠনে। বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রামের শেখের মাড়িয়ায়। গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন। গুলশান হামলায় পরিল্পনার বৈঠকে অংশ নেওয়া এবং অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করা হয়েছে রিপনের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানের ওই হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২৩ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই হামলার পর ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করেন।

হলি আর্টিজানে হামলা: ৮ আসামির কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ

 

 

চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার মামলা করে উল্টো গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে এক গৃহবধূকে। ফেনীর সোনাগাজী থানায় ২২ নভেম্বর মামলাটি করেছিলেন এক প্রবাসীর স্ত্রী রুনা আক্তার। আদালতের শুনানির আগেই তিনি স্বীকার করেন মামলাটি মিথ্যা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে গ্রেফতারপূর্বক জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

ফেনী জেলা জজ আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ছড়াইতকান্দি গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী রুনা আক্তার। গত ২২ নভেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এতে তার চাচা শ্বশুর শফিউল্যাহকে একমাত্র আসামি করা হয়। মামলায় বলা হয়, শফি তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। মামলা গ্রহণের পর পুলিশ শফিকে গ্রেপ্তার করে।

পিপি জানান, মঙ্গলবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আসামি শফিউল্যাহর পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী। মামলার বাদি রুনা আক্তার আদালতে বলেন, ‘আমি মামলা করতে চাইনি। আমার শাশুড়ি মিথ্যা মামলা করতে বাধ্য করেছেন।’ রুনা আক্তারের বক্তব্য শোনার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ রুনা আক্তারকে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত চাচা শ্বশুর শফির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। জামিন পাওয়ার পর শফিউল্যাহ শফি বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।

শ্বশুরের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা! মামলা করে ফেঁসে গেলেন সেই প্রবাসীর স্ত্রী

 

যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত হুমকি উপেক্ষা করেই তুরস্ক সোমবার তার রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির পরীক্ষা শুরু করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বারবার এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ত্যাগ করার জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি অবরোধেরও হুমকি দিয়ে আসছে।

সোমবার তুর্কি অপারেটরদের প্রশিক্ষণ এবং নতুন আমদানিকৃত রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষার জন্য আংকারার মার্টেড সামরিক ঘাঁটির চারপাশে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানসহ অন্যান্য বিমান মহড়া দেয়। গত জুলাইয়ে তুরস্কের এস-৪০০ অর্জন ন্যাটো জোটের অন্য দেশগুলোর জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা ন্যাটো চুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ ছাড়া এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।

রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংগ্রহ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তুরস্কের কাছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এস-৪০০ কেনায় এখন পর্যন্ত তুরস্কের ওপর কোনো অবরোধ আরোপ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সিস্টেমটি সক্রিয় না করলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এড়ানো যেতে পারে। ডন।

এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা তুরস্কের

 

 

ঢাকা- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিমকোর্টের সামনে বিক্ষোভের সময় গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দলটির অজ্ঞাত ৫০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনগত রাতে শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে, মামলার নম্বর ৩২।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, মঙ্গলবার পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামনের সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের ব্যানারে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের মূল ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নিলে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের সামনের সড়কে এসে অবস্থান নেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।

মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও শওকত মাহমুদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আবু জাফর, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ।

পরে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে নেতাকর্মীরা। তখন পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পুলিশের ধাওয়া খেয়ে প্রেসক্লাবের দিকে সরে যাওয়ার সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা