ঝালকাঠি, ২৪ নভেম্বর- ঝালকাঠির নলছিটিতে বঙ্গবন্ধু ও  মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য  সহ চার মুক্তিযোদ্ধার ম্যুরাল ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার দিবাগত রাতে নলছিটি উপজেলার ষাইটপাকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পাশের একটি খাল থেকে ভাঙা ম্যুরাল চারটি উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ১৯৭১ সালে বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধ হয় ঝালকাঠির চাচৈর গ্রামে। এ যুদ্ধের স্মৃতি স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৭ সালে ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের ষাইটপাকিয়ায় নলছিটির প্রবেশদ্বারে নিজ উদ্যোগে একটি মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্থাপন করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মৃত মফিজ উদ্দিন হাওলাদার। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ চার মুক্তিযোদ্ধার ম্যুরাল রয়েছে। শনিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা ভাস্কর্যের বিভিন্ন স্থান ও বঙ্গবন্ধুসহ চার মুক্তিযোদ্ধার ম্যুরাল ভাংচুর করে। ভেঙে ফেলা ম্যুরাল চারটি পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয়।

নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, পুলিশ ষাইটপাকিয়া বাজার সংলগ্ন খাল থেকে ম্যুরালগুলো উদ্ধার করেছে। সবগুলো ম্যুরালের বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সুত্র-দেশে বিদেশে

দুর্বৃত্তরা ভেঙে দিলো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৫ নভেম্বর- ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালে দিপ্তী রানী দাস নামে এক প্রসূতির জন্ম দেয়া সন্তান নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। জন্ম দেয়া সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে এই নিয়ে বাঁধে বিপত্তি!

প্রসূতির স্বজনদের দাবি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অনুযায়ী দিপ্তীর ছেলে সন্তান হওয়ার কথা, কিন্তু সিজারিয়ান অপারেশনের পর তাদের কোলে কন্যা শিশু তুলে দেয়া হয়েছে।

অপর দিকে হাসপাতালে চিকিৎসকদের দাবি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে দিপ্তী রানী দাসের কন্যা শিশু জন্ম হয়েছে। তার স্বজনদের কোলে কন্যা শিশুই তুলে দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে রোববার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও সেবিকারা দীর্ঘ আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের জানান, দিপ্তী রানী দাসের কন্যা সন্তানই জন্ম হয়েছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম করা চিকিৎসকগণ জানান, তারা দিপ্তী রানী দাসের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সম্ভাব্য সন্তান নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালে পৌর এলাকার পাইকপাড়ার সজিব দাসের স্ত্রী দিপ্তী রানী দাসের সিজারিয়ান অপারেশন হয়।

সিজারিয়ান অপারেশনের পর হাসপাতালের সেবিকারা (নার্স) দিপ্তী রানী দাসের মা শোভা রানী বিশ্বাসের কোলে কন্যা শিশু তুলে দিলে তিনি তার নাতিনকে কোলে নিতে আপত্তি করেন।

এই সময় শোভা রানী বিশ্বাস জানান, তার মেয়েকে তিনবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছে। প্রতিবারই চিকিৎসক তার মেয়ের গর্ভে ছেলে সন্তান আছে বলে তাদের জানান। যে কারণে তিনি কন্যা শিশুর জন্ম হওয়ার বিষয়টি মানতে পারছেন না।

সরেজমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি শিশুর জন্ম হয়।

সিজারিয়ান অপারেশন করা প্রসূতিরা হলেন- সদর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের শারমীন আক্তার, সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী তামান্না আক্তার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পাইকপাড়া গ্রামের সজিব দাসের স্ত্রী দিপ্তী রানী দাস।

সিজারিয়ান অপারেশনে শারমীন আক্তার ও তামান্না আক্তার ছেলে এবং দিপ্তী রানী দাস কন্যা শিশুর জন্ম দেন।

অপারেশনের পর হাসপাতালের সেবিকারা শারমীন আক্তার ও তামান্না আক্তারের অভিভাবকদের কোলে ছেলে শিশু এবং দিপ্তী রানী দাসের মায়ের কোলে কন্যা শিশু তুলে দেন। এ সময়ই জটিলতার সৃষ্টি হয়।

দিপ্তীর মা শোভা রানী বিশ্বাস তার নাতিনকে কোলে নেয়ার সময় আপত্তি করেন। তিনি তামান্না আক্তারের স্বজনদের কাছে দেয়া ছেলে সন্তানটি তার নাতি বলে দাবি করেন।

এ দিকে তামান্না আক্তারের স্বজন মো. বকুল মিয়া জানান, সিজারিয়ান অপারেশনে তামান্না আক্তারের ছেলে হয়েছে। সেবিকারা তাদের কোলে ছেলে সন্তানই তুলে দিয়েছে। দিপ্তী রানীর মা শোভা রানী বিশ্বাস কেন তার নাতিকে নিজের নাতি বলে দাবি করেছেন এটি তার বোধগম্য নয়।

এ দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোর গলায় বলছেন, নবজাতক নিয়ে তাদের কোনো ধরনের ভুল হয়নি। এ নিয়ে কারো বিতর্ক করাও উচিত নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কাছাকাছি সময়ে জন্ম নেয়া তিন শিশুকে তাদের নিজ নিজ স্বজনদের কোলেই দেয়া হয়েছে। এর পরও কোনো ধরনের শঙ্কা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন জানান, এ নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কোনো ধরনের সুযোগ নেই। একটা সিজারের আধা ঘণ্টা পর আরেকটা সিজার করা হয়। চিকিৎসকও ছিলেন আলাদা। তার পরও যদি এ নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে মেয়ে শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি জানার পর রোববার দুপুরে তিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও সেবিকারা দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। এ সময় আল্ট্রাসনোগ্রাম করা চিকিৎসকরা জানান, তারা দিপ্তী রানী দাসের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সম্ভাব্য সন্তান নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, সিজারিয়ান অপারেশনে দিপ্তী রানী দাসের কন্যা শিশুই জন্ম হয়েছে। এ নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি থাকলে তারা কন্যা শিশুর ডিএনএ টেস্ট করাতে পারেন।

উল্লেখ্য, দিপ্তী রানী দাসের প্রথম সন্তানটিও কন্যা। রোববার জন্ম নেয়া শিশুটি তার দ্বিতীয় সন্তান। পরিবারের লোকদের স্বপ্ন ছিল এবার দিপ্তীর ছেলে শিশু হবে।

সূত্র: যুগান্তর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে জন্ম নেয়া শিশুটি ছেলে না মেয়ে!

 

অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিমান যখন নয়াদিল্লিতে নামে, তখন তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রথম বারের সাংসদ তথা নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।

হাসিনার সফরসঙ্গী নেতারা ঘরোয়া ভাবে জানিয়েছিলেন, এটা ‘যেচে অপমান নেওয়া’। প্রতিবেশী বলয়ে ভারতের ‘পরম মিত্র’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে বা কোনও সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন— এটাই ছিল প্রত্যাশা। প্রথম বার জিতে আসা কোনও প্রতিমন্ত্রী নন।  

গত কাল প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে কলকাতায় এলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। কিন্তু তাঁকে স্বাগত জানাতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও মন্ত্রী, এমনকি শীর্ষ আমলাকেও পাঠানো হয়নি। যা কি না বাঁধাধরা কূটনৈতিক প্রথা এবং সৌজন্যের বিরোধী। কেন এমন উদাসীনতা প্রদর্শন, সে বিষয়ে সরকারি ভাবে মুখ খুলতে চাইছে না সাউথ ব্লক। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবাধকতাই কারণ। এক দিকে তাঁরা যখন দেশজুড়ে এনআরসি করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেশছাড়া করার কথা বলছেন, সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে পরিচিত 

এনআরসি-বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতেই চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা। কিন্তু সিনিয়র কোনও আমলাকেও কেন কলকাতায় পাঠায়নি মোদী সরকার, তা নিয়ে চুপ সাউথ ব্লকের কর্তারা। সব মিলিয়ে দিল্লির এই আচরণে প্রতিবেশী বলয়ে 

ভারতের অস্বস্তি যে আরও বেড়ে গেল, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই কূটনীতিকদের।  

বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, বিভিন্ন মঞ্চে এ কথা বার বার বলেছেন খোদ মোদী। পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে আসা জঙ্গিপনায় ভারত যখন চাপে, সেই সময় হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাস উৎখাত করবেন।

সে কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবেশীদের মধ্যে একমাত্র ঢাকাকেই বিভিন্ন চড়াই উতরাইয়ে পাশে পেয়েছে দিল্লি। সম্প্রতি ভারতের অনুরোধে ঢাকা তাদের দেশের ভিতর দিয়ে অসম-ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহণের জন্য ‘ফি’ এক ধাক্কায় টন প্রতি ১০৫৪ টাকা থেকে কমিয়ে করেছে ১৯২ টাকায়। এমন ‘পরম মিত্রের’ ভারত সফরে দিল্লির এই উদাসীনতা কেন, সে প্রশ্ন উঠেছে।

 বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রা কাড়তে না চাইলেও দিল্লির এই উদাসীনতা যে ঘরোয়া রাজনীতিতে হাসিনার পক্ষে চাপের, সে কথা ঘরোয়া ভাবে জানানো হচ্ছে। এনআরসি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হুমকির ফলে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধিতা বাড়ছে। দিল্লির আচরণ তাকে উস্কে দিতে পারে। 

 কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে অমিত শাহকে চিঠি শোভনের,ইমেলে অভিযোগ সিপিকেও চিনপন্থী গোতাবায়া রাজাপক্ষ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পরে সে দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

চিনের কাছে ঋণের ফাঁসে কার্যত বন্দি কলম্বো তাদের হাম্বানটোটা বন্দরটি তুলে দিয়েছে বেজিংয়ের হাতে। ভারতের জন্য কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভারত-বিরোধী ঘাঁটি তৈরির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজিং। এ বার গোতাবায়ার জমানায় সেই কাজ মসৃণ হওয়ার সম্ভাবনা। 

ডোকলাম পরবর্তী ভুটান এবং চিনপন্থী সরকার হওয়ার পরে নেপালও খোলাখুলি ভাবেই বেজিংয়ের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় পর্যটকদের জন্য মোটা পর্যটন শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভুটান। অন্য দিকে চিনের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ায় নয়াদিল্লির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে নেপালের।

ভারতের সঙ্গে প্রস্তাবিত যৌথ সেনা মহড়া থেকে কাঠমান্ডুর সরে দাঁড়ানো, চিনের সঙ্গে পণ্য পরিবহণ চুক্তি করা, বেজিংয়ের মহাযোগাযোগ প্রকল্প ওবর-এ নিজেদের সামিল করার মতো বিষয়গুলি থেকে সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। এমন একটি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সফরকারী রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দিল্লির এমন শীতল ব্যবহারে অবাক অনেকেই।

সূত্র -আনন্দবাজার পত্রিকা (ভারত)

ভারত সফরে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা না জানিয়ে ভারত তাকে অসম্মান করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা

 

মানিকগঞ্জ, ২৪ নভেম্বর- মানিকগঞ্জে শিবালয়ে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রোববার মধ্যরাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ফলসাটিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ভাবে নিহতদের পরিচয়া জানা যায়নি।

বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ইয়ামীন-উদ দৌলা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরগামী সাউথ লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মাছ বোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ট্রাকের চালক ও বাসের এক যাত্রী নিহত হন। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পুলিশ। গুরুতর আহত কয়েকজনকে সেখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

মানিকগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ২

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাস্তার পাশ থেকে ফুটফুটে একটি নবজাতক ছেলে উদ্ধার করা হয়েছে। নবজাতকটিকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের ষাটবাড়ীয়া গ্রাম থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।

মালিয়াট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য নান্নু হোসেন বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ষাটবাড়ীয়া গ্রামের মো. মুকুল জোয়ার্দারের বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে নবজাতকটি পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, নবজাতকটিকে কেউ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। গ্রামবাসীর কাছ থেকে ঘটনাটি শোনার পর আমি সহ থানার আরও ৩ অফিসার ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে নবজাতক টিকে নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ আছে।

 

ঝিনাইদহে রাস্তার পাশ থেকে ফুটফুটে নবজাতক উদ্ধার

 

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থেকে ৬’শ ৭০ বোতল ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-৬ এর একটি দল পাটকেলঘাটা থানার ইসলামলকাটি মোড় থেকে ফেন্সিডিলসহ উক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ সময় একটি মোবাইল ও দুটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর পূর্বপাড়া হাফিজুল ইসলামের ছেলে মাসুম বিল্লাহ রনি (৩২)। র‌্যাব জানায়, পাটকেলঘাটা থানার জগদানন্দকাটি গ্রামের ইসলামকাটি মোড় এলাকায় মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকানের সামনে কতিপর ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এ.এস.পি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকসদল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান ৬’শ ৭০ বোতল ফেন্সিডিলসহ উক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে হাতে নাতে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় একটি মোবাইল ও দুটি সিম কার্ড। র‌্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এ.এস.পি শাহিনুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পাটকেলঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

৬’শ ৭০ বোতল নিষিদ্ধ ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক

 

মেহেরপুর -২ (গাংনী) আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় এমপি শহিদুজ্জামান খোকনের বাড়ির পাশ থেকে ২২ নভেম্বার শুক্রবার দুটি বোমা ( ককটেল ) উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে বোমার রাখার অপরাধে কাউকে এখনও কাউকে আটক সম্ভব হয়নি বলে গাংনী থানা পুলিশ জানিযেছে। উদ্ধার করা বোমা ২টি নিষ্ক্রিয় করার লক্ষে গাংনী থানা চত্বরে বালতি ভর্তি পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়।  এ ব্যাপারে গাংনী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান বলেন, কে কা করা এটি রেখে গেছে সেটি এখনও সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। অপরাধীরা আটক না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের অভিযান চলবে।

গত শুক্রবার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে মাদ্রাসাপাড়ার চা ব্যবসায়ী আশাদুল হক প্রথমে লাল টেপ দিয়ে জড়ানো দুইটি বস্তু এমপির বাড়ির পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে গাংনী থানার ওসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং বোমা দুটি উদ্ধার করে গাংনী থানায় নিয়ে যায়। ওসি জানান, এটি ককটেল প্রকৃতির বোমা। বিস্ফোরিত হলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

সাহিদুজ্জামান খোকন, এমপি বলেন, আমি সৎ ও নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি করছি। আমাকে বোমা দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।

তিনি গাংনী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ,আমি ৪ দিন হলো গাংনীতে এসেছি। কিন্তু গাংনী থানার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমার খোঁজখবর নেওয়া দুরের কথা কেউ সৌজন্য সাক্ষাতও করতে আসেনি।

থানার  ওসি ওবায়দুর রহমান এমপি সাহিদুজ্জামানের অভিযোগকে অস্বীকার করে বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে গাংনীর বাহিরে  ছিলাম। এ কারণে এমপি মহোদয়ের সাথে দেখা করতে পারি নাই।

মেহেরপুর -২ আসনের এমপি শহিদুজ্জামান খোকনের বাড়ির পাশ থেকে বোমা উদ্ধার

 

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা চিৎলা-গোবিন্দহুদার ছটাংগার মাঠ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দু’টি সবুজ টেপ দিয়ে মোড়ানো বোমা উদ্ধার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ।

বৃহস্পিতিবার বেলা ১১টার দিকে মাঠের ভুট্টা ক্ষেত থেকে এই বোমা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে কৃষকরা মাঠে কৃষি কাজ করতে গিয়ে একটি পলিথিনের বস্তায় বোমা স্বাদৃষ্য বস্তু দেখে দামুড়হুদা মডেল থানায় খবর দেয়।

খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বোমা দুটি উদ্ধার করে বালতিতে পানি ভিতর বোমা ভিজিয়ে রেখে নষ্ট করা হয়েছে। পরে দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল আবু রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই বোমা কে বা কারা এখানে কি কারনে রেখেছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে সব জানা যাবে।

 

পঞ্চগড়ে স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় সাহিম (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

আজ (১৩ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত সাহিম ডাঙ্গাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্র ৬ নং সাতমেরা ইউনিয়নের চেকরমারি গ্রামের শহিদুলের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাহিম ও কয়েকজন শিশু স্কুল থেকে বাড়ির যাওয়ার সময় পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়াগামী একটি ট্রাক তাকে ধাক্কায় দেয়। এতে গুরুত্বর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে সে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের প্রাথমিক সূত্রহাল শেষে পরিবারকে হস্তান্তর করে।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাস আহম্মদ ওই শিশুর নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই চালক পলাতক রয়েছে।

ট্রাকের ধাক্কায় সাহিম (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু