জাতীয় পার্টির (জাপা)জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হবে। আজ রবিবার দলের প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া সভায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে জাপার অংশগ্রহণ এবং দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে সভায়।
জাপার চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, মো. আবুল কাশেম, সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপু, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সাংসদ ফখরুল ইমাম, সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু, সাংসদ অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, হাবিবুর রহমান, সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো. আজম খান, সোলায়ম আলম শেঠ, আতিকুর রহমান আতিক, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সৈয়দ দিদার বখ্ত, কাজী মামুনুর রশীদ, সাংসদ নাজমা আখতার, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, সাংসদ মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল।
চেয়ারম্যানের বিশেষ আমন্ত্রণে পার্টির সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রওশন আরা মান্নান, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, লিয়াকত হোসেন খোকা, আহসান আদেলুর রহমান, নুরুল ইসলাম তালুকদার, পনির উদ্দিন আহমেদ।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ইকুড়িয়া গ্রাম থেকে ৫০ গ্রাম গাঁজা সহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে প্রকাশ, একদল মাদক কারবারি মাদক বিক্রয় ও সেবন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে এস আই ফরহাদ আলি ও এ এস আই শাকিল খান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলো, উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামের ঈদগাহ পাড়ার মিনারুল ইসলামের ছেলে মিঠুন, একই গ্রামের মন্ডল পাড়ার আনারুল ইসলামের ছেলে মজনু ও গোপালনগর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে বিদ্যুৎ।
ভার-প্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমানা জানান, আটককৃতদের মাদক মামলায় মেহেরপুর কোর্টে প্রেরণ করা হবে।
সোমবার দুপুরে ডিসি কার্যালয়ের সামনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
তিনি জানান, টিসিবির একজন ডিলারের মাধ্যমে তিন টন পেঁয়াজ বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এসব পেঁয়াজ খোলা বাজারে ৪৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হবে।
এ সময় নড়াইলের ডিসি আনজুমান আরা, এসপি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, এডিস মো. ইয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামি ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশের রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। এরই মধ্যে ১০টি জেলার তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে মেহেরপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি রাজাকার। সেখানে মোট ১৬৯ জন রাজাকার রয়েছে।
সরকার দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের তালিকা প্রকাশ করার কথা বলে আসছে। মেহেরপুরের পর নড়াইল জেলায় ৫০, শরীয়তপুরে ৪৪ জন, চাঁদপুরে ৯ জন এবং বাগেরহাটে ১ জন রাজাকার রয়েছে। মোট ২৭৩ জনের তালিকা পাওয়া গেছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে সংসদীয় কমিটিতে।
গত রোববার (১ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।পরবর্তী বৈঠকে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। জানা যায়, জেলা প্রশাসকদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি তালিকাও প্রণীত হয়েছে। তবে সেই তালিকা যাচাই-বাছাই চলছে।
বিষয়টি সরকার খুব সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টির সমাধান করতে চায়। কারণ কোনো ব্যক্তির নাম একবার রাজাকার, আলবদর, আল শামসের তালিকায় লিপিবদ্ধ হওয়ার পর যদি প্রকৃত অর্থে সে রাজাকার না হন তাহলে তার জন্য চরম অপমানের হবে পাশাপাশি এই পরিকল্পনাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই সময় নিয়ে হলেও নির্ভুলভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে চায় সরকার।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভাতা উত্তোলনকারী রাজাকারদের তালিকা সংরক্ষণের জন্য গত ২১ আগস্ট জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয় এবং গত ২৮ আগস্ট তাগিদ পত্র দেওয়া হয়। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে ১০টি জেলার তালিকা পাওয়া গেছে। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) এবং ক্যাপ্টেন এ বি এম তাজুল ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
ছাগল চুরি করার সময় চোরদের চিনে ফেলায় সবেদা খাতুনকে হত্যা করে চোরচক্র। মাটিতে ফেলে সবেদার পরনের কাপড় দিয়ে তার গলায় ফাস লাগিয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়।
প্রেস ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী। হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে রাশেদ ও হাজিবুল।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর মেহেরপুর জেলার মুজিবনরগ উপজেলার বাগোয়ান গ্রামে ছাগল চরাতে গিয়ে সবেদা খাতুন নামের এক বৃদ্ধা খুন হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হাফিজুল ইসলাম বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর মেহেরপুর ডিবি পুলিশ ও মুজিবনগর থানা পুলিশ রাশেদ, হাজিবুল ও নেকবার নামের তিন জনকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদ ও হাজিবুল ও আরও একজন হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তদন্ত স্বার্থে অপর আসামীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
মেহেরপুরের গাংনীতে সরকারি ভাবে আমন ধান ক্রয়ের লক্ষে কৃষক বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগে লটারির অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও তার লোকজন। অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে এসে তার উপজেলা কৃষি অফিসারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকেন ।
তবে কৃষি অফিসার বলছেন সময়ের অভাবে সঠিকভাবে কৃষক বাছাইয়ে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু কৃষক বাছাইয়ের লক্ষে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত লটারীর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলায় এ বছর সকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ১৬৮৮ মেঃ টন ধান ক্রয় করা হবে। কৃষিকার্ডের আওতাভুক্ত জনপ্রতি চাষির কাছ থেকে প্রতিকেজি ২৬ টাকা দরে একটন করে ধান ক্রয় করা হবে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ হল রুমে কৃষক বাছাই কল্পে লটারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা খাদ্য অফিস।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কৃষি অফিসার মনগড়া ভাবে অফিসে বসেই কৃষকদের নামের তালিকা প্রস্তত করেছেন।
প্রকৃত চাষিদের বাদ দেয়া হয়েছে। তালিকা নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথীবৃন্দ ,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের তোপের মুখে পড়ে কৃষি অফিসার কে এম শাহাবুদ্দিন আহমেদ। বিভিন্ন কৃষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তালিকা প্রস্তততে অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় কৃষি অফিসারকে।
এ ব্যাপারে কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দীন জানান, সময়ের স্বল্পতার কারণে কৃষকের নামের তালিকা প্রস্তুতে কিছুটা অসঙ্গতি থাকতে পারে। চলতি মাসের ১২ তারিখের মধ্যেই সঠিক তালিকা করা হবে। কেউ যেন কোন প্রশ্ন তুলতে না পারে সে ব্যপারে ব্লক সুপারভাইজারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গাংনী উপজেলা খাদ্য অফিসার মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, কৃষকদের তালিকা প্রস্ততের ব্যপারে খাদ্য অফিসের কোন হাত নেই,এব্যাপারে কৃষি অফিস কর্তৃক তালিকা করে থাকেন। সে তালিকা অনুযায়ী খাদ্যশস্য ক্রয় করা হয়।
উপজেলা খাদ্য শস্য সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ও উন্মক্ত লটারি পরিচালনা অনুৃষ্ঠানের সভাপতি গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এবং সকল আমন ধানচাষিকে তালিকাভুক্ত করনের লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় নতুন করে তালিকা প্রস্ততের নির্দেশ দেয় কৃষি অফিসারকে।
আইনশৃখলা বজায় রাখার স্বার্থে আগামী ১২ ডিস্বের পর্যন্ত লটারি স্থাগিত করা হয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর তারিখে উন্মক্ত লটারি হবে বলেন জানান লটারি অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান।এছাড়া কৃষি অফিসের ব্লক সুপার ভাইজারদের প্রতিটি কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বচ্ছ তালিকার প্রস্তত করনের নির্দেশ দেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক জানান, যেহেতু কৃষক তালিকা নিয়ে কিছু মতবিরোধ উঠেছে সেহেতু সঠিক তালিকা করে পুণরাই লটারি করা হবে।
মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লটারি ১২ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ করেছেন এতে আমার কোনো দ্বিমত নেই। আমিও চাই দু একদিন দেরি হলেও প্রকৃত কষকরা সরকারি মুল্যে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করুক। এতে আমার এলাকার কৃষক উপকৃত হবে। উপজেলা নির্বাহী সার লটারি সাময়িক বন্ধ করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু,মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ,বামুন্দি ইউপি চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
-গাংনী প্রতিনিধি
লন্ডন ব্রিজে হামলায় দুজন নিহত ও তিনজন আহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে পাঠানো একটি বার্তায় তিনি হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং জানান, শেখ হাসিনা হামলায় আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করেছেন।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই।
শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ব্রিটিশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার লন্ডন ব্রিজে এক হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে দুই পথচারী নিহত ও তিনজন আহত হয়। পরে পুলিশের গুলিতে ওই হামলাকারীও নিহত হয়। ইউএনবি।
জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির (জেলা বার) ২০২০ ইংরেজি সালের বার্ষিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি ঘটেছে। এ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের তরুণ-শাহীন প্যানেল ১১টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি পদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও সম্মিলিতি আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নৃপেন-সুফিয়ান প্যানেলের প্রার্থীরা মাত্র দুইটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার জয়পুরহাট জেলা বারের আইনজীবী ভবনে শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের তরুণ-শাহীন প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মো: রফিকুল ইসলাম তালুকদার তরুণ পেয়েছেন ৯৮ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল পেয়েছেন ৮৬ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহনুর রহমান শাহীন পেয়েছেন ১২০ ভোট, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট দেওয়ান আবু সুফিয়ান পেয়েছেন ৬৫ ভোট।
এ ছাড়াও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত অন্যান্য কর্মকর্তা হলেন সহসভাপতি পদে ইসলামিক ল ইয়ার্স কাউন্সিলের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমিন ফকির, অর্থ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এ কে এম আবু সুফিয়ান পলাশ, প্রচার-প্রকাশনা ও লাইব্রেরি সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিনাত ফেরদৌসী রিনি, আপ্যায়ন, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আলমগীর কবির এবং কার্যকরী সদস্য পদে মোট তিনজন যথাক্রমে অ্যাডভোকেট নাসিমুস সাকালাইন টিটো, অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমিন হামিদুল ও অ্যাডভোকেট নূর ই আলম সিদ্দিক নির্বাচিত হয়েছেন।
অপর দিকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিরীক্ষা সম্পাদক পদে যথাক্রমে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও সম্মিলিতি আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নৃপেন-সুফিয়ান প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো: খলিলুর রহমান মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট মো: মানিক হোসেন।
ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর- নতুন সড়ক পরিবহন আইনে একজন চালকের লাইসেন্সে থাকবে ১২ পয়েন্ট। ট্রাফিক আইন অমান্য করে একবার মামলা খেলে চালক হারাবেন এক পয়েন্ট। এভাবে একে একে ১২টি মামলা খেলে বাতিল হবে তার লাইসেন্স। এরপর আর কখনও বাংলাদেশি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন না তিনি। শেষ হয়ে যাবে একজন চালকের পেশাগত জীবন।
অথচ আইনের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারার বিষয়ে জানেন না গণপরিবহনের চালকরা। এমনকি রাইড শেয়ারিং অ্যাপের রাইডার কিংবা ব্যক্তিগত গাড়িচালকরাও জানেন না এ পয়েন্টের ‘খেলা’। জাগো নিউজের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ঢাকার চার লেগুনার চালক, পাঁচজন রাইড শেয়ারিং অ্যাপের রাইডার, ১২ জন বাসচালক, দুজন মাইক্রোবাসচালক এবং ছয় প্রাইভেটকারের চালকের কাছে পয়েন্টের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা ‘কিছুই জানেন না’, ‘শোনেননি’ বলে মন্তব্য করেন। চালকদের সচেতন না করেই আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
পয়েন্ট কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে গুলিস্তান থেকে চকবাজার রুটের লেগুনাচালক আশরাফ উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আইন-ই তো বুঝি না। শুধু শুনছি, পুলিশ ধরলে পাঁচ হাজার, ১০ হাজার টাকার মামলা দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাগো সব কাগজপত্র ওকে আছে (ঠিক আছে)। তাই আইন লইয়া চিন্তা করি না।’
একই বিষয়ে জানতে চাইলে উবার মোটরসাইকেল চালক শফিউল্লাহ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় দেখে যা বুঝলাম, অনেক সচেতনভাবে গাড়ি চালাতে হবে। কিন্তু পয়েন্টের বিষয়ে এখন পর্যন্ত শুনি নাই। ১২ পয়েন্ট কাটলে লাইসেন্স বাতিল হবে- এমনটাও জানি না।’
রমজান হোসেন নামে মগবাজার এলাকার এক প্রাইভেটকারের চালক বলেন, ‘আমার এ বিষয়ে জানা নেই।’
চালক তো দূরের কথা, খোদ যারা মামলা দেবেন তারাও জানেন না কবে থেকে কীভাবে কাটা হবে এ পয়েন্ট! এমনকি আদৌ কাটা হবে কি-না?
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের দুজন এবং দক্ষিণ বিভাগের দুজন সার্জেন্টের সঙ্গে কথা হয়। তাদের কেউই পয়েন্ট কেটে মামলা দেয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির উত্তর ট্রাফিক বিভাগের এক সার্জেন্ট সম্প্রতি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত পয়েন্ট কাটার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। সার্জেন্টদের নিয়ে যেসব ওয়ার্কশপ বা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, সেগুলোতে শুধুমাত্র ধাপে ধাপে জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। যদি অপরাধ গুরুতর হয় তাহলে শুনানির জন্য তাকে ডিসি অফিসে ডাকতে বলা হয়েছে। তবে পয়েন্ট নিয়ে কী হবে, তা এখনও জানানো হয়নি।’
ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রবীর কুমার রায় এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘নতুন আইন সম্পর্কে ডিএমপি থেকে যে ধরনের নির্দেশনা আসবে আমরা সেই অনুযায়ী মামলা দেব।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান ড. কামরুল আহসান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘চালক, পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে কীভাবে পয়েন্ট কাটার ধারাটি প্রয়োগ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব। তবে শাস্তি আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়, আমরা চাই সবাই আইন মেনে চলুক। পয়েন্ট কাটা শুরুর আগে এ বিষয়ে আরও প্রচারণা করা হবে।’
সড়ক পরিবহন বিশেষজ্ঞরা জানান, উন্নত বিশ্বে ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে এমনভাবে পয়েন্ট কাটার বিধান রয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী ১২ পয়েন্ট কাটা হলে শুধুমাত্র চালকের লাইসেন্স বাতিল হবে। উন্নত বিশ্বে এ আইন আরও কঠোর। ১২ পয়েন্ট বাতিলে একজন নাগরিক লাইসেন্স ছাড়াও সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। একইভাবে সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণও পাবেন না।
তাদের ভাষ্য, আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নত বিশ্বের একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। উন্নত বিশ্বে গণপরিবহনের চালকরা শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির। তারা যেকোনো আইনের বিষয়ে নিজেরাই আগাম জ্ঞান রাখেন ও সচেতন হয়ে যান। তবে বাংলাদেশের চালকরা তেমন শিক্ষিত নন। তাই সরকারের উচিত বাধ্যতামূলকভাবে তাদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেয়া।’
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সড়ক পরিবহন বিশেষজ্ঞ ইলিয়াস কাঞ্চন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এ পদ্ধতি উন্নত বিশ্বে রয়েছে। আশা করছি, এটা কাজে দেবে। প্রথম দিকে পয়েন্ট না কাটা হলেও আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানা করা হবে। তবে সবার আইন মেনে চলা উচিত।’
যেসব অপরাধে চালকের পয়েন্ট কাটা যাবে
১। গণপরিবহনে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন না করলে বা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি কিংবা আদায় করলে এক মাসের জেল, ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি চালকের এক পয়েন্ট কাটার বিধান রয়েছে।
২। কন্ট্রাক্ট ক্যারিজ মিটার অবৈধভাবে পরিবর্তন বা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায়-সংক্রান্ত অপরাধে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ছাড়াও চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসেবে দোষসূচক এক পয়েন্ট কাটা হবে।
৩। গাড়িতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত লোড নিলে ৮৬ ধারায় সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা, এক বছরের জেল ও দুই পয়েন্ট কর্তন করার বিধান রয়েছে।
৪। চালক বেপরোয়া গাড়ি চালালে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিন মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার এক পয়েন্ট কাটা হবে।
৫। ঝুঁকিপূর্ণ যান চালিয়ে পরিবেশ দূষিত করলে এবং ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চালালে (যেমন, হেড লাইট নষ্ট) এমন অপরাধেও জরিমানার পাশাপাশি এক পয়েন্ট কাটা যাবে।
৬। নেশাজাতীয় দ্রব্য পান, চলন্ত অবস্থায় মোবাইলে কথা বললেও জেল-জরিমানার পাশাপাশি এক পয়েন্ট কাটা যাবে।
৭। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে চালক বা কন্ডাক্টর যদি থাকে এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর না দেয়; আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে, তাহলে জেল-জরিমানার পাশাপাশি এক পয়েন্ট কাটা যাবে।
সূত্র: জাগোনিউজ
রবি/২০১৯-২০ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচী এর আওতায় ভুট্টা ও সরিষা বীজ ও সার বিতরণ
“”””””””‘”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
কৃৃতজ্ঞতা বিএডিসিকে বাকিতে সার ও বীজ সরবরাহ প্রদানের জন্য।
“””””””””””””””””'””””””””””””””””””””””””””””””””””””
অদ্য ১৮/১১/২০১৯ খ্রিঃ ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রবি/২০১৯-২০ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচী এর আওতায় ভুট্টা ও সরিষা বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সৈয়দা নাফিস সুলতানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ ।
জনাব মোঃ রওশন আলী, মাননীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ- ২; জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম শিলু , ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ; জনাব মোছাঃ রেশমা খাতুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ; জনাব মুহম্মদ আরশেদ আলী চৌধুরী, উপজেলা কৃষি অফিসার, হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ; প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার, হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ; জনাব মোঃ ফারুক হোসেন, কাউন্সিলর, হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ; জনাব মনিশংকর বিশ্বাস, এসএপিপিও; জনাব মোঃ শফিকুর রহমান এসএএও এবং প্রিয় চাষী ভাইয়েরা।
প্রধান উপদেষ্টাঃ রিন্টু চৌধুরী
সম্পাদক- মোঃ আজিজুল ইসলাম আজিজ 01719-076924,
নির্বাহি সম্পাদক -মোঃ রফিকুল ইসলাম 01717-656705fÐd¡e L¡k¡Ñmu
¢jlf¤l-13,Y¡L¡
ফোনঃ 01827-656705 ইমেইলঃ anusondan2@gmail.com