সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। দিবসটিকে কেন্দ্র করে তিন বাহিনী বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। সেদিন থেকেই দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

আগে তিন বাহিনী ভিন্ন ভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করত। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিন বাহিনী দিবসটিকে সম্মিলিতভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই থেকে ২১ নভেম্বরকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করে নেওয়াই এই দিবসের মূল তাত্পর্য।

দিবসটিকে কেন্দ্র করে সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনীর ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি-অগ্রগতি কামনা করা হবে। ভোরে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোত্সর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী এবং বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তিন বাহিনীর প্রধানগণ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করবেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ২১ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এই সংবর্ধনায় উল্লেখযোগ্য আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিগণ, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, প্রাক্তন প্রধান উপদেষ্টাগণ, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ, প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ, ডেপুটি স্পিকার, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতগণ, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারগণ, বিচারপতিগণ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মুখ্য সচিব, সংসদ সদস্যগণ (ঢাকা এলাকার), প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তাগণ, বাহিনীত্রয়ের প্রাক্তন প্রধানগণ, ২০১৯ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, স্বাধীনতা যুদ্ধের সব বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারীগণ, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ঢাকা এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণ, উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং তিন বাহিনীর চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস

বরিশালের দুর্গাসাগর দীঘিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজের আট ঘণ্টা পর ওমর ফারুক হৃদয় (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে দুর্গাসাগর দীঘিতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন ওমর। এরপর রাত পৌনে নয়টার দিকে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশায় দুর্গাসাগর দীঘি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওমর বরিশাল নগরের কাউনিয়া হাউজিং এলাকার শাহ আলম এর ছেলে। আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি পাস করেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে ময়মনসিংহের একটি টেক্সটাইল কম্পানিতে ওমর ফারুক হৃদয় যোগদান করার কথা ছিল তার।

জানা গেছে, ওমর তার বন্ধু তায়মন হৃদয় ও বান্ধবী রাকিন আক্তারকে নিয়ে বুধবার সকালে মাধবপাশা ইউনিয়নের দুর্গাসাগর দীঘিপাড়ে ঘুরতে যান। এ সময়, মজা করে পাড় থেকে দীঘিটির মধ্যে থাকা টিলার দ্বীপে সাঁতরে যাওয়ার বাজি ধরেন ওমর ও হৃদয়। তবে টিলার কাছে যাওয়ার আগেই তিনি নিখোঁজ হন।

এরপর তার দুই বন্ধু ও স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে দুপুর থেকেই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ বিন আলম জানান, আট ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে রাত পৌনে নয়টার দিকে ওমরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বাজি ধরে সাঁতার, ৮ ঘণ্টা পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

 

প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণায় গত পাঁচদিন ধরে ইরানের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে৷ এ সময় অন্তত ১০৬ জনকে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী৷ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ সংস্থাটি বলছে, প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে, যা এমনকি ২০০ জনও ছাড়াতে পারে৷

‘বিশ্বাসযোগ্য বিভিন্ন প্রতিবেদনের’ প্রেক্ষিতে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ২১টি শহরে আইনবহির্ভূত প্রক্রিয়ায় এইসব মানুষকে মেরে ফেলেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী৷ বিক্ষোভকারীদের দমনে সরাসরি গুলি চালানো, স্নাইপার, এমনকি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেও গুলি ছোড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি৷

মৃতের সংখ্যা নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি ইরানের সরকার৷ কায়হান নামের একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তার মধ্যে নেতৃস্থানীয় কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে৷

সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পরপর গত শুক্রবার থেকে ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ যানবাহনের চালকরা গাড়ি বন্ধ করে সড়ক অবরোধ করে৷ এক পর্যায়ে আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে৷ প্রায় ১০০ টি শহরে ব্যাংক, সরকারি ভবন, দোকান, ইসলামিক রিপাবলিকটির প্রতীক ভাংচুর করা হয়৷ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে আক্রমণকারীদের হামলায় রেভোলুশনারি গার্ডের অন্তত তিন সদস্য এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে৷

এই বিক্ষোভের জন্য বিদেশি শক্তির মদত রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি৷

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, এক মাসে ৬০ লিটার পর্যন্ত জ্বালানি তেল কিনতে আগের চেয়ে ৫০ ভাগ বেশি দাম দিতে হবে৷ এর বেশি কিনতে হলে ২০০ ভাগ বেশি দাম পড়বে৷ এই অতিরিক্ত অর্থ গরিবদের জন্য খরচ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রধানমন্ত্রী হাসান রুহানি৷

এফএস/এসিবি (এপি, রয়টার্স)

ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১০৬ জনের মৃত্যু

পিরোজপুরের কাউখালীতে ১৫জন পিএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৪০জন যাত্রীবোঝাই একটি খেয়া ট্রলার ডুবে গেছে।

দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও টুম্পা আক্তার নামে এক পিএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া ট্রলারে পারাপারে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার হলেও দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটির সন্ধান মেলেনি।

বুধবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে কাউখালীর উপজেলার সন্ধ্যা নদী ও গাবখান চ্যানেল মোহনার আমড়াজুড়ি খেঁয়াঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ পিএসসি পরীক্ষার্থ টুম্পা আক্তার উপজেলার আশোয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিন ফকির এর মেয়ে। নিখোঁজ টুম্পা স্থানীয় আশোয়া আমড়াজুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে এবার পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল। এ ঘটনায় নিখোঁজ শিশুটির পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

এ ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১০জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে গুরুতর আহত ট্রলারযাত্রী ঝালকাঠির সবুজ মিয়া(৩৫) ও পাশ্ববর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার শহীদুল ইসলাম (২২) কে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ।

প্রত্যক্ষদর্শী ট্রলার যাত্রী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আশোয়া গ্রামের গৃহবধূ শিল্পী বেগম জানান, আশোয়া গ্রামের ১৪ জন পিএসসি পরীক্ষা দিয়ে উপজেলা সদর থেকে বাড়ি ফিরছিলো। আমড়াজুড়ি ফেরিঘাটের কাছে ট্রলারে খেয়া পারাপারে জন্য ১৫ জন পরীক্ষার্থী, ১৪ জন অভিভাবকসহ ৪০ জন যাত্রী ট্রলারে ওঠেন। এসময় ওই ট্রলারে পাঁচটি মোটরসাইকেল তোলা হয়। এতে ট্রলারটিতে অতিরিক্ত মোটরসাইকেল তোলার কারনে ট্রলারটি ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই কাত হয়ে নদীতে ডুবে যায়।

দুর্ঘটনা তীরের কাছাকাছি হওয়ায় যাত্রীরা সাতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। তবে পিএসসি পরীক্ষার্থী টুম্পা নিখোঁজ হয়ে যায়। সেই সাথে ৫টি মোটর সাইকেলসহ ট্রলারটিও নিখোঁজ হয়ে যায়। ৪০জন যাত্রীর পর অতিরিক্ত মোটর সাইকেল বহনের কারনেই ট্রলারটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়।

এদিকে এ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন রেখা ও কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। কাউখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ও স্থানীয়রা মিলে উদ্ধার অভিযানে নেমে নদী বক্ষ হতে ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার হলেও নিখোঁজ শিশু টুম্পার খোঁজ মেলেনি।

খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ শিশুটির সন্ধান মেলেনি।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন রেখা বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে। এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। আমরা শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল নামানো হয়েছে।

পিরোজপুরে ৪০ যাত্রীসহ খেয়া ট্রলার ডুবি, পিএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজ

 

 

আজিমপুর কবরস্থান। নগরের অধিবাসীদের চিরনিদ্রালয়। মুসলমানদের পবিত্র স্থান। আর এই পবিত্রস্থানে তরুণ-তরুণীদের অবাধ বিচরণে বিব্রত নগরবাসী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন তরুণ-তরুণী কবরস্থানে প্রবেশ করেছেন।

নেটিজেনদের অভিমত, ছড়িয়ে পড়া ছবিতে তরুণী-তরুণী ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় দেখা যায়। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে এইসব ছবি পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বলছেন, কবরস্থানে নিশ্চই নিরাপত্তার জন্য লোক নিযুক্ত রয়েছে। তাহলে এরা ঢুকলো কীভাবে? আর ঢুকলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজন কী করছে।

আরেকজন বলছেন, ছেলে মেয়েরা ক্রমে বোধ বুদ্ধি হারিয়ে ফেলছে। কবরস্থানের মতো একটি জায়গায় ওরা এসব করে কীভাবে?

আজিমপুর গোরস্থানে ছেলে-মেয়েদের অবাধ যাতায়াত ও ‘অপ্রীতিকর’ ছবিগুলো সামনে আসার পর সরব হয়েছেন সাধারণ মুসল্লীরা। ছবিগুলো তোলা হয়েছে কবরস্থানের পাশের কোনো ভবন থেকে। তবে কে তুলেছেন তা জানা যায়নি।

আজিমপুর গোরস্থান ঢাকা শহরে আজিমপুরে অবস্থিত একটি মুসলমান সমাধিস্থল। একে আজিমপুর কবরস্থান হিসেবেও প্রায়শ উল্লেখ করা হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে ঢাকা শহরের পত্তনের সমসময়ে এই গোরস্থানের সূচনা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।

২৭ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে আজিমপুর গোরস্থান। এই গোরস্থানের দুটি অংশ রয়েছে যথা নতুন গোরস্থান ও আরেকটি পুরাতন গোরস্থান। পুরাতন গোরস্থানটি নতুন গোরস্থানের তুলনায় বেশ ছোট।

এখানে কতটি লাশ দাফর করা হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে এই গণনায় দেখা যায় যে যায়, এখানে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫টি লাশ দাফন করা হয়। সপ্তাহে প্রায় ২০০-২৫০টি লাশ দাফন করা হচ্ছে। এখানে ব্রিটিশ আমল ও পাকিস্তান আমলের বেশ কিছু কবর সংরক্ষিত আছে।

সূত্র : কালেরকণ্ঠ

আজিমপুর কবরস্থানেও তরুণ-তরুণীদের অশ্লীল কর্মকাণ্ড

 

 

এই ঘটনায় নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল ও নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

নোয়াখালী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, বুধবার সকালে সংঘর্ষের পর আহত অর্ধশতাধিক লোককে তাদের হাসপাতালে হাসপাতালে আনা হয়।

“তাদের মধ্যে আহত ৫৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মেয়র শহিদ উল্যাহর অনুসারীরা জজ আদালত সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময় একরামুল করিম তার অনুসারীদের নিয়ে সম্মেলস্থলে যাচ্ছিলেন। দুই পক্ষ নোয়াখালী টাউন হল মোড়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। একপর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের ব্যানার, ফেন্টুন ও বিলবোর্ড ভাংচুর করা হয়েছে।

একরামুল করিম বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

অপর দিকে মেয়র শহিদও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী বলে নেতাকর্মীরা জানান।

এ বিষয়ে মেয়র শহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিনা স্কানিতে এমপি ও তার লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছেন।”

পাল্টা অভিযোগ করেছেন সংসদ সদ্য একরামুল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ সম্মেলনকে বানচাল করার জন্য তারা শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।”

পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন।

বেলা ১১টায় শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে সম্মেলন শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সম্মেলনে একরামুল করিম আবারও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আর সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম।

নোয়াখালী আ.লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

 

 

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলা চলচ্চিত্র দিয়ে বিশ্ববাজার দখল করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে নতুন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতবছরের চেয়ে এ বছর চলচ্চিত্রে গতিশীলতা এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে চলচ্চিত্র শিল্পকে সুরক্ষা দিতে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) দৈন্যদশা কাটাতে আধুনিক ভবন নির্মাণের জন্য ৩২২ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে আশা করছি নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’

বাংলাদেশের সিনেমা বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠিত করাই সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিনেমা হল নির্মাণ ও আধুনিকায়ন করতে কম সুদে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। দেশে নতুন নতুন সিনেপ্লেক্স হচ্ছে। আরও এক-দুই বছরের মধ্যে আরও সিনেপ্লেক্স হবে। ‘সরকারিভাবে জেলাগুলোতে তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ করব। সেগুলো যাতে হল হিসাবে ব্যবহার করা যায়, সেজন্য এগুলো লিজ দেয়া হবে।’

‘এগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে সিনেমার স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে,’ বলেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হাত ধরে এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১০০ একর জমির ওপর বিশ্বমানের বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি নির্মিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সরকারি অনুদানের যাতে আরও বেশি ছবি নির্মিত হয় সেজন্য অনুদানের টাকা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার।

সভায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘বাংলা সিনেমার উন্নয়নে আমরা সবাই একযোগে কাজ করতে চাই।’

বাংলা চলচ্চিত্র দিয়ে বিশ্ববাজার দখলে কাজ করছে সরকার : তথ্যমন্ত্রী

উলিপুরে লবনের দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়ায় প্রশাসনের নজরদারি ও মাইকিং শাহীন মন্ডল, উলিপুর,কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে হঠাৎ করেই লবনের দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়ায় ক্রেতারা লবন কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দোকান গুলোতে।
এ খবরে উপজেলায় সর্বত্রই লবন কেনার হিড়িক পড়েছে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে লবন কেনার জন্য দোকানে ভীড় করতে থাকে ক্রেতারা। এক ধরনের মুনাফালোভী ব্যবসায়ী দোকান থেকে লবন সরিয়ে ফেলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন।এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন ও বণিক সমিতির পক্ষ থেকে মাইকিং করে গুজবে কান না দেয়ার জন্য প্রচারনা চালানো হয়।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি আয়োডিনযুক্ত প্যাকেট লবন ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও খোলা লবন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে হঠাৎ লবনের বাজার উর্দ্ধমূখী হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ ব্যাপারে উলিপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম মন্ডল বলেন, লবনের দাম বৃদ্ধির ধোয়াতুলে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী ফায়দা লুটছে। গুজবে কান না দেয়ার জন্য আমরা সকলকে অনুরোধ করছি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের বলেন, এ মুহুর্তে লবনের কোন সংকট নেই।
তাই দাম বৃদ্ধির কোন সম্ভবনা নেই।প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা দাম নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য বাজার মনিটরিং করছি।একই সঙ্গে গুজবে কান না দেয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

Chat Conversation End

উলিপুরে লবনের দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়ায় প্রশাসনের নজরদারি ও মাইকিং

রংপুর নগরীর সাতমাথা রেলগেট সংলগ্ন সাঁওতাল পল্লীর জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে আজ ২০ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

নগরীর প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে কাচারীবাজার চত্বরে সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দা আদিবাসী নেতা স্বপন রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজনীতিক ও শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক পলাশ কান্তি নাগ,সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দা জ্ঞানরাম রায়,স্বপন,জ্যোতিশ,পূর্ণিমা, শ্যামল, সাংবাদিক সাইফুল্ল্যা খাঁন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,রংপুর নগরের সাতমাথা রেলগেট সংলগ্ন সরকারী ৪৪ শতক খাসজমি জেলা প্রশাসকের নিকট লীজ গ্রহণ করে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় হতে সাঁওতাল আদিবাসীরা বসবাস করে আসছে। সাঁওতাল আদিবাসীদের লীজকৃত সম্পত্তি হতে ১৩ শতক জমি জেলা প্রশাসন মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে সম্পূর্ণ যোগসাজসীভাবে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু আবুল কালাম মিয়া এবং তার দুই পুত্র মাসুম ও সোহাগের নামে লীজ গ্রহণ করে। কিন্তু ভুমিদস্যু আবুল কালাম মিয়া তার লীজকৃত জমির চাইতেও অনেকবেশী পরিমাণ জমি জোরপূর্বক দখল করে ভবন ও নার্সারি তৈরী করেছে। এমনি এখান থেকে ৫ শতক সরকারী সম্পত্তি সম্পুর্ণ বেআইনী বিক্রয় করেছে। সরকারী খাস কিংবা অর্পিত সম্পত্তির অধিকার প্রকৃত ভুমিহীণদের।

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন রাজনীতিক ও শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক পলাশ কান্তি নাগ

সেখানে একজন অর্থবান ও প্রভাবশালী ব্যাক্তি অসহায় সাঁওতাল আদিবাসীদের বঞ্চিত করে জেলা প্রশাসনের কাছে লীজ পায় কিভাবে? সাঁওতাল আদিবাসীরা তাদের জমি উদ্ধারের জন্য যতবারই চেষ্টা করেছে অবৈধ দখলকার কালাম মিয়া ততবারই তার গুন্ডাবাহিনী দিয়ে বাঁধা দিয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলার হুমকি-ধামকি দিয়ে সে অন্যায়ভাবে ওই সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছে। নিরীহ ও অসহায় আদিবাসীদের উপর উক্ত ভূমিদস্যু দীর্ঘদিন থেকে জুলুম-নির্যাতন করে আসছে। পুলিশ প্রশাসন,মেয়র,স্থানীয় কাউন্সিলর কারো কাছে গিয়ে কোন প্রতিকার পায়নি তারা। যে কোন সময় এই জমিকে কেন্দ্র করে সেখানে রক্তপাত-হানাহানির ঘটনা ঘটতে পারে। এই জমিটুকুই সাঁওতাল আদিবাসীদের সম্বল। এখান থেকে ওই ভূমিদস্যুর অত্যাচারে উচ্ছেদ হলে তাদের পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

বক্তারা, অবিলম্বে আবুল কালাম মিয়া ও তার পুত্রদের নামে ১৩ শতক জমির লীজাদেশ বাতিল ও সাঁওতাল পল্লীর জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।

রংপুরে সাঁওতাল পল্লীর জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ