কুষ্টিয়া খলিশাকুন্ডির আসামী নাজিম মেম্বার ছিল আ’লীগ নেতা বর্তমানে বিনএনপিতে যোগ দিয়ে বেড়েছে তার লাগামহীন সন্ত্রাসী উগ্রতা।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান ওয়ার্ড মেম্বার নাজিম উদ্দীন এক সময় ছিলেন আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ওয়ার্ড মেম্বার হওয়ার পর পাশর্^বর্তী মিরপুর-ভেড়ামারার উপজেলার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীগ সরকারের সাবেক সাংসদ সদস্য কামারুল আরেফিনের সাথে ছিল গভীর সখ্যতা। মাফিয়া ডন ও একাধিক হত্যা মামলার পালাতক আসামী কামারুল আরেফিনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তিনি খলিশাকুন্ডি এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড জোরালোভাবে চালিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনগণের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন। সেই সময় থেকেই তার বিরুদ্ধে জমিজমা দখল, জোরপূর্বক চাঁদা আদায় এবং সাধারণ মানুষের ওপর নানা ধরনের চাপ সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভকালীন ভাতা ইত্যাদির কার্ড প্রদানেও এই মেম্বার অর্থের বিনিময়ে কাজ করতেন। তিনি যাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে জড়াতেন, তাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
৫ই আগষ্টের পর ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলে নাজিম উদ্দীন মেম্বার নিজেকে বিএনপির একজন ‘চরমপন্থী নেতা’ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। দলবদলের পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। বিএনপির শেল্টার নিয়ে তিনি এখন এলাকায় ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকিসহ নানা অপরাধে জড়িত রয়েছেন। গত ১৯শে জুলাই জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে কুষ্টিয়া দৌলতপুরের খলিশকুন্ডি পূর্ব মন্ডলপাড়ার নাজিম মেম্বারের নেতৃত্তে হত্যার উদ্দেশ্যে শরিফুল ইসলাম মন্ডল ও শেহেরুল ইসলামকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে নাজিম মেম্বার গংরা। যার প্রেক্ষিতে শেহেরুল ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানায় নাজিম মেম্বার, শিপন, মাহাবুল ও সুমি ও অজ্ঞাত মাহাবুলের স্ত্রী কুমকুম সহ আরো ১০/১২ বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে শিপন ও মাহাবুল গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে কিন্তু নাজিম মেম্বার বর্তমানে বিএনপি’র ছত্র ছায়ায় পালাতক থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে হুমকি ধামকি সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নাজিম উদ্দীন মেম্বারের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে, তার অপরাধ চক্রের দৌরাত্ম্য আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। সেই সাথে দেশের বৃহৎ একটি দল বিএনপি’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা। সেই সাথে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে এই সকল ফ্যাসিষ্টদের জায়গা না দেওয়ার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দদের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।