কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ও ভারতের কালাইয়ের চরে সীমান্ত হাট।আবেদনপত্রে বলা হয়, ‘কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ও ভারতের কালাইয়ের চরে সীমান্ত হাট বন্ধ রয়েছে। পুনরায় এই হাট চালু হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ার পাশাপশি মাদক ও অস্ত্রের বিস্তার ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির শঙ্কা জানিয়ে সীমান্ত হাট না খুলতে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদকে মাধ্যম করে আবেদনটি জমা দিয়েছে রাজিবপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।
আবেদনপত্রে বলা হয়, ‘কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ও ভারতের কালাইয়ের চরে সীমান্ত হাট অবস্থিত। দীর্ঘদিন এই সীমান্ত হাট বন্ধ রয়েছে। পুনরায় এই হাট চালু হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুধু তাই নয়, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে অবৈধভাবে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বিস্তার ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এসব কার্যকলাপ যুবসমাজকে বিপথগামী করবে এবং এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হবে।’
আবেদনে সীমান্ত হাট চালু হলে অবৈধভাবে অস্ত্র ব্যবসার রুট হিসেবে এটি ব্যবহৃত হওয়ারও শঙ্কা ব্যক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল বাশার আব্দুল লতিফ বলেন, ‘স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আজ বেশকিছু কারণ উল্লেখ করে এই হাটটি যেন খোলা না হয় সে বিষয়ে একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দিয়েছি। প্রয়োজনে হাট বন্ধ রাখতে আমরা মন্ত্রণালয়ে আবেদন দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আমরা আশঙ্কা করছি, এই সীমান্ত হাট খুলে দিলে ভারত এই হাট ব্যবহার করে বাংলাদেশে অস্ত্র পাঠিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবে।
‘দেশে যতগুলো সীমান্ত হাট রয়েছে সেসব আর না খুলতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের আবেদন দেবে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী।’সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরই ভারত-বাংলা বর্ডার হাটটি বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, ‘সীমান্ত হাট চালু না করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ একটি আবেদন দিয়েছেন জেলা প্রশাসক বরাবর। আবেদনের একটি কপি আমাকেও দেয়া হয়েছে।’