কুষ্টিয়া পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পারভীন হোসেনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৌশিক আহমেদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে পৌর মেয়রের কার্যালয়ের কাউন্সিলর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পারভিন হোসেন বলেন, অকারণে কৌশিক কাউন্সিলর আমাকে মারপিট করেছে। আমার মুখে কিল ঘুষি মেরেছে। আমার ঠোঁট কেটে গেছে সেই সাথে আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হালিমা খাতুন, আফ্রিদা আফরিন রেখা এবং আনারকলি বলেন, আমরা একসঙ্গে বাদাম খাচ্ছিলাম। এ সময় পারভীন কৌশিক কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলতে যান। তার কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সামনে কাউন্সিলর কক্ষে পারভীনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেছেন কৌশিক কাউন্সিলর। কিল ঘুষিতে ঠোঁট কেটে গেছে। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তাকে মারপিট করা উচিত হয়নি। মহিলার গায়ে হাত দেওয়া এটা বড় ধরনের দণ্ডনীয় অপরাধ তারপরেও তিনি একজন কাউন্সিলর। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। একই সঙ্গে কৌশিক কাউন্সিলরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে অন্যান্য পুরুষ কাউন্সিলরাও কৌশিক ওরফে বিচ্ছুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৌশিক আহমেদ বলেন, সে আমাকে গালি দিয়েছিলো। এজন্য আমি তাকে মেরেছি। পারভীন কাউন্সিলর মাদকসেবী। মাদক সেবনের বিষয়টি অস্বীকার করে নারী কাউন্সিলর পারভীন বলেন, মারপিট করার পর এখন আমাকে মাদকসেবী বলে অপপ্রচার করছে। আমি মাদকসেবী না। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর মুঠোফোনে একধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, নারী কাউন্সিলর পারভীন হোসেনকে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৌশিক আহমেদ মারপিট করেছেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পৌরসভায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর যে কোনো ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।