অতি দরিদ্র এক গৃহিণী তার ৫ মেয়ে ৩ ছেলে-কে নিয়ে সংসার। স্বামীর মৃত্যুর পর হতদরিদ্র মোছাঃ সাপারন খাতুন দারিদ্র্যতার কষাঘাতের মধ্যেও টিকে থাকার লড়ায়ে পিছুপা হননি তিনি।
বলছি চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার ৬২ নং আড়িয়া গ্রামের মৃত্যু মাসুদ আলী মল্লিকের ছোট্ট ছেলে প্রতিবন্ধী মোঃ উসমান গনি (৩৯) এর কথা। প্রতিবন্ধী হলেও নামাজের প্রতি ছিলো তার অগাধ প্রেম। মসজিদে সবসময় ছিলো তার অবাধ বিচরণ। গত ১০ সেপ্টেম্বর জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য বাড়ী থেকে মসজিদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি তিনি।
বিভিন্ন যায়গাতে অনেক খুঁজাখুঁজি করার পর নিরুপায় হয়ে ৬ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি।যার জিডি নং ২৮৪, জানাগেছে মোছাঃ সাপারন খাতুনের সংসারের একটি অর্থের যোগান হতো এই বাক প্রতিবন্ধী উসমান এর সরকারি সুবিধা থেকে। এসময়ে তার পরনে ছিলো চা পাতি কালারের পাঞ্জাবী। গায়ের রং কালো, মুখোমণ্ডল চ্যাপ্টা লম্বাটে কালো দাড়ি, ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতা ছিলো। পথে পথে অনেক আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে খোঁজা খুঁজি করার এক পর্যায়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গণমাধ্যম জাতীয় দৈনিক দেশের কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি-কে জানান প্রতিবন্ধী উসমান এর জননী। কোনও সহৃদয়বান ব্যাক্তি ছবিতে প্রদর্শিত বাক প্রতিবন্ধী যুবকের সন্ধান যেনে থাকলে 01921151638. নম্বরে জানানোর অনুরোধ করেন মা মোছাঃ সাপারন খাতুন। এব্যাপারে দর্শনা থানায় ৬ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে জিডি করা হয়েছে।
এদিকে ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর রফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার জানামতে ৬২ নং আড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা ছাত্র ছিলো বাক প্রতিবন্ধী মোঃ ওসমান গনি। নিখোঁজ প্রতিবন্ধীর খোঁজে এলাকাবাসী সবাই ত্বতপর। মুলত সে খুব ভালো ছেলে ছিলো। প্রতিবন্ধী মোঃ ওসমান গনি নিখোঁজ হওয়ায় আমরা এলাকাবাসী সবাই মর্মাহত।