কুড়িগ্রামে আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

 নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২
  • ৪০৪ বার পঠিত

মাঠ থেকে আলু তুলতে ব্যস্ত ছোট-বড় সবাই,দেশের আলু চাষের অন্যতম জেলা উত্তর অঞ্চলের সীমান্ত ঘেষা কুড়িগ্রাম।চাষিরা শেষ মৌসুমে আলু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর নওয়াবস আলু উত্তোলন শুরু করেছেন।

 

তাই অধিক লাভের আশায় প্রতিটি মৌসুমেই এই জেলার কৃষকরা বিভিন্ন জাতের আলু চাষাবাদ করে থাকেন। বর্তমানে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা আলু চাষে ব্যাপক সাফল্য এনেছেন। চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর নওয়াবস গ্রামের মামুন আহমেদ ধরলা ব্রিজ পূর্ব পাড় চরাঞ্চলের নিজ জমিতে বিভিন্ন জাতের দেশি ও হাইব্রিড লাভজনক আলু চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আলু চাষে পরিশ্রম ও খরচ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন।

 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মামুন আহমেদ এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,এবার আলুর দাম ভাল পাওয়ায় বেশ খুশি তিনি। ১ একর জমিতে আবাদ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১ লক্ষ টাকা নিয়ে চাষাবাদ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।তাই তারা এবার ১ একর জমিতে গ্রানুলা জাতের আলু চাষ করেছেন। আশা প্রতি বিঘা জমি থেকে ১২০ মণ আলু উৎপাদন হবে।

 

আলু চাষ করে লাভের আশা করছেন বলেও জানান তিনি। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৮-১৯ মৌসুমে ৩৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও ৩৯ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ ভাগ বেশি। এতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। উপজেলা ভিত্তিক আলু চাষের মধ্যে রয়েছে।

 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৮শ হেক্টর,ফুলবাড়ী উপজেলায় ৬ হাজার ৮৫০ হেক্টর,নাগেশ্বরী উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর,উলিপুর উপজেলায় ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর, ও চিলমারী উপজেলায় ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর,জমি।যা জেলার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহসহ বিদেশে রপ্তানি করা হয়। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান,দেশের আলু চাষের উন্নত এলাকা কুড়িগ্রাম।

 

আলু চাষ সফল করতে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এবার জেলায় সারের মজুদ পর্যাপ্ত ছাড়াও বিএডিসি’র পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের আলু বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। এবার আলুতে রোগ-বালাই দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হবে।এই জেলার উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হয়ে থাকে বলেও জানান তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর