হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৮ ইউনিয়নের প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই হবে ৯ ডিসেম্বর।বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১০থেকে ১২ ডিসেম্বর।প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ।এ ছাড়া ১৭ ডিসেম্বর দেওয়া হবে প্রতীক বরাদ্দ।নির্বাচন হবে ৫ জানুয়ারি।
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ৩ নং তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৭ ডিসেম্বর।আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে এমন প্রচারের নিয়ম নেই।
উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মেম্বার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অহিদুল ইসলাম (অহিদ) নিজের ইচ্ছে মত প্রতীক ব্যবহার করে বিভিন্ন হাটে বাজারে,গাছে,বিল-বোর্ডে নৌকা প্রতীক ব্যবহার করে প্রচার প্রচারনায় মাঠ গরম করে রেখেছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পোস্টার ঝুলিয়ে রাখায় এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নে ভবানীপুর বাজার,কালীতলা মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার,ফেস্টুন বিলবোর্ডে নিজের ইচ্ছা মত প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
যা এলাকাবাসীর চরম বিভান্তীতে পড়ে গেছে বলে জানা গেছে।তাহলে কি তিনি নৌকা প্রতীক পেয়ে গেছেন..?
সাংবাদিক দেখে এমনটি হাজারো প্রশ্নের জটলা,বেধে জমাট হয়েছে সাধারণ জনমনে।
এদিকে রামনগর গ্রামের পাখি ভ্যান চালক আকরাম হোসেন বলেন, এটা ঠিক না,অন্যায় করা হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অহিদুল ইসলাম অহিদ মুঠো ফোন জানান, আপনাদের মনে যা খুশি,তাই লিখতে পারেন।
আমার জানামতে যেহেতু তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে, কোনো বিলবোর্ডে প্রতীক ব্যবহার করে প্রচার প্রচারণা চালালে তা হবে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘিত। এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ধরনের দ্বিধা দ্বন্দে ভুক্তে পারে বলে জানান এলাকার সুশীল সমাজ।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলামের একাধিক বার ফোন দিলে ফোন টি বন্ধ পাওয়া গেল তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ নির্বাচনী কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, আমাদের কাছে এখনো পযন্ত তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি,হরিনাকুন্ডুতে শনিবারে তফসিল ঘোষণা হওয়ায় এখনো পযন্ত নির্বাচনী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়নি,তবে যদি কেউ এধরনের প্রতীক ব্যবহার করে প্রচার প্রচারণা চালায় তাহলে সেটা সম্পুর্ণ আইন লঙ্ঘিত হব। উক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।