সুরাইয়া বিলকিস চিত্ত বিত্ত বিদ্যাপীঠের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১২৯ বার পঠিত

 

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগরে অবিস্থিত সুরাইয়া বিলকিস চিত্ত বিত্ত বিদ্যাপীঠের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার বেলা ১১টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আলাউদ্দিন নগরের রূপকার ও আলাউদ্দিন নগর শিক্ষাপল্লীর জনক দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদেরই প্রতিষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে তারই সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মোয়াজ্জেদীন আহমেদ, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল, নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন, আলাউদ্দিন আহমেদ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’র অধ্যক্ষ আবদুল গাফফার ও সুরাইয়া বিলকিস চিত্ত বিত্ত বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ সাদেক আলী। বিদ্যাপীঠের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


এর আগে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তবিবুর রহমান বলেন, আলাউদ্দিন আহমেদ এলাকার আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজে অনেক অর্থ বিত্তশালী মানুষ রয়েছেন, কিন্তু তার মতো নিঃস্বার্থভাবে মহতি উদ্যোগ কেউ গ্রহণ করেননি। বরং অন্যরা শিক্ষা খাতকে বাণিজ্যিকরণ করলেও তিনি সেদিকে গা ভাসাননি। আমি বলবো আলাউদ্দিন আহমেদ এই এলাকার সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি কাজের মূল্যায়ন করেন, প্রতিদান দেন। তিনিও একদিন তাঁর উত্তম প্রতিদান পাবেন। আমি বিশ্বাস করি সুরাইয়া বিলকিস চিত্ত বিভ বিদ্যাপীঠ একদিন বাংলাদেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি দানবীর আলহাজ আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সুরাইয়া বিলকিস চিত্ত বিত্ত বিদ্যাপীঠ মনের মত করে গড়ে তুলবো। প্রতিটি বিষয় খেয়াল রেখেই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা হবে। সন্তান আপনার মানুষ করার দায়িত্ব আমার। আপনাদের সন্তানকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। কোন পরামর্শ থাকলে আমাকে জানাবেন। আমি সব পূরণ করবো। তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন আমার পকেটে ৫শত টাকা থাকলে আমি ৫ লক্ষ টাকার কাজ শুরু করার সাহস রাখি। তবে, অভিভাবকদের দায়িত্ব তাদের সন্তানের খেয়াল রাখা। কারণ পরিবার শিশুর প্রথম পাঠশালা। তিনি আরও বলেন, এটা আপনাদের প্রতিষ্ঠান। আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হোসেন জোয়াদ্দার, আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জয়েন উদ্দিন মোল্লা, আলাউদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন আহমেদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ শেখ মোঃ শাহিনুল ইসলাম, বাহার কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ নূরে আলম সিদ্দিকী অভিভাবক ও সুধীজনেরা। আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দরা বার্ষিক পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষর্থীদের ফলাফল ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ও সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর