হরিনাকুন্ডুতে পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন

হরিনাকুন্ডু (ঝিনাইদহ)থেকে মো রাব্বুল হুসাইন:-
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪২২ বার পঠিত

বৃষ্টির পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন সেই সাথে পানিতে দোল খাচ্ছে ঝিনাইদহসহ উপজেলার অধিকাংশ কৃষকের স্বপ্ন।
জানা গেছে,পাকা আমন ধানের বিস্তীর্ণ সোনালী মাঠগুলো এখনো ডুবে আছে গভীর পানিতে। অথচ অসময়ের টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে পানি জমেছে।

পাকা ফসল ভরা মাঠের ধান কাটা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষক।পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত সু-ব্যবস্থা না থাকায় ধান ভরা মাঠ থেকে নামছে না পানি।দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট।ধানের ক্ষেতে হাটু সমান পানি থাকায় শ্রমিকরা ধান কাটতে মাঠে নামতে পারছে না।বেশি টাকা দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক।

এ অবস্থায় আশায় বুক বাধা কৃষকরা মাঠের পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।এতে হরিনাকুন্ডু উপজেলার ১৩৫ টি গ্রামে,সরিষা,গম,মসুরিসহ আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়,মাঠের পর মাঠ,আর মাঠে রয়েছে ধান। এসব ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। আর ক্ষেত থেকে পানি সরানোর জন্য দিনরাত আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউবা আবার পানি নিষ্কাশনের জন্য ক্ষেত থেকে লাইন কেটে পাশের খালে কেও বা ক্যানালে সঙ্গে মিলিয়ে দিচ্ছে।
কলেজ পড়ুয়া ছাত্র পিয়াস হোসেন দেশের কন্ঠ প্রতিনিধিকে জানান,বাবার তলিয়ে যাওয়া ধান সংগ্রহ করতে ছোট ভাইকে নিয়ে মাঠে এসেছে সে। সকাল থেকে হাটু সমান পানিতে হেঁটে হেঁটে বাবার সঙ্গে ধান রাস্তার পাড়ে নিয়ে আসছে পিয়াস।
সে জানায়, বাবা কয়েকদিন থেকেই মাঠ থেকে ধানগুলো নিয়ে যাব যাব করছে। কিন্তু গরুর গাড়ি না পাওয়ায় নিয়ে যেতে পারছে না।
শনিবার গরুর গাড়িতে ধানগুলো বোঝায় করে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু তা আর হল না।

এব্যাপারে,শিতলী,ভালকী,জোড়াপুকুরিয়া,বৈঠাপাড়া,কুলবাড়িয়া,কেষ্টপুর,দখলপুরসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে এসব বিস্তৃত এলাকার পানি নিষ্কাশনের অভাবে এখনো ধানের ক্ষেতগুলোতে হাঁটু সমান পানি জমে থাকায় ধান কাটা ধান ঘরে তুলা যাচ্ছে না। সময় মত পানি চলে না যাওয়ায় এসব জমিতে মনে হয় সরিষার আবাদও করা যাবে না। এমনকি আগামী বুরো মৌসুমের ইরি-বোরো ধানের চারা উত্পাদনও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এ অবস্থায় আমরা কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।

হরিনাকুন্ডু উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান জানান,১১ হাজার ১ শত’ জমির লক্ষ মাত্রা নিয়ে আমন ধান চাষ হয়েছে ১১ হাজার ২ শত’ জমিতে, বৈরী আবহাওয়ার ফলে উপজেলা কৃষকদের আমন তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কৃষকের পুস্তককৃত ধান পরে থাকায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। প্রধানত ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে ২০০ শত’৫০ হেক্টর জমির গমের মধ্যে ৮০ হেক্টর জমির গম,১৪শত’ ৫০ হেক্টর মসুরি এর মধ্যে ১০০ শত ১২ হেক্টর জমির মসুরী।এছাড়াও ১৫’শত ১০ হেক্টর সরিষার মধ্যে ১৬৬ হেক্টর জমির ফসল। তিনি আরও জানান ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারনে হরিনাকুন্ডুতে ধান চাষের উপর ঝুঁকছে কৃষক

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর