মেহেরপুরের গাংনীতে তহহাটের চাউল পট্টি ও এর আশে পাশের ব্যবসায়ীদের পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত গত ২২ অক্টোবর ২০১৯ ইং তারিখে নোটিশ দিয়ে তাদের দোকানঘর ও স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই নোটিশের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে পৌর সভার কিছু লোকজন তহহাট এলাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী দোকানদাররা গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহামন স্বপন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেককে অবহিত করেন। এ সংবাদে তাঁরা স্থানীয় দোকানদারদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাঁরা আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দেন এবং দোকানদারদের পূর্বের ন্যায় ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, আমার বাজারের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে অথচ আমাকে কোন কিছু জানানো হয়নি। তিনি আরও বলেন, সরকারি কোন স্থানে স্থাপনা তৈরী করতে হলে সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হবে। তবে এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা ঠিক না। তিনি নগর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে সমন্বয় করার জন্য আহবান জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক জানান, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানঘর পৌরসভার লোকজন এসে ভেঙ্গে দিচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি ঘটনাস্থলে এসে এর সত্যতা পান। তিনি উচ্ছেদ কাজ বন্ধ করে দেন। তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদের ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় কিছু নিয়মনীতি আছে তা উপেক্ষা করে মনগড়া ও দূরবিসন্ধী করে কারো ব্যক্তিগত উদ্যোগে দোকানঘর উচ্ছেদ করা যাবে না।
গত দুই বছর আগেও মেয়র আশরাফুল ইসলাম এমন একটি ভুল করেছিলেন। আবারো তিনি তার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছেন। নাম পৌরসভা হলেও তিনি প্রায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিল নকশা তৈরী করে চলেছেন। তিনি আরও বলেন, সরকার দুর্ণীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোন রকমের দুর্ণীতি সরকার ও জনগন মেনে নেবেনা এবং জনগন তার কঠিন জবাব দেবে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ইসলাম বলেন, আমি সকল নিয়ম-কানুন মেনেই স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছি। আমি আমার স্ব-পক্ষের নথিপত্র দেখানোর জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দপ্তরে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করেই এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান জানান, পৌরসভা বা ইউনিয়নের হাটবাজারের স্থাপনার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা হলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তিনি জানেন না অথচ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে কিভাবে এটা আমার বোধগম্য না। উচ্ছেদের নোটিশ প্রাপ্ত কয়েকজন দোকানদার তাদেরকে উচ্ছেদ না করার আবেদন করে ইতিমধ্যেই তাঁর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
দেশে সর্বপ্রথম খাদ্যনালী ক্যানসারের সফল অস্ত্রোপচার করেছেন অ্যাডভান্সড ল্যাপারোস্কপিক সার্জারির অগ্রদূত অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন।
সিলেটের নাজার বেগমের (৩৮) গলার খাদ্যনালীর ক্যানসার (Esophegus Cancer) ধরা পরে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। শুরুতে তিনি ডা. বিশ্বজিত ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে কেমো রেডিয়েশন গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে স্বনামধন্য ডা. মোহাম্মদ ফরিদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেন।
ডা. ফরিদ ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে (পেট না কেটে ছিদ্রের মাধ্যমে) প্রথমে পেটে ক্যানসারের বিস্তৃতি পরীক্ষা করেন। এরপর লিভারের সন্দেহজনক কিছুটা অংশ কেটে হিস্ট্রোপ্যাথোলজি ল্যাবে পাঠিয়ে দেন। ক্যানসার ছড়িয়ে না যাওয়ায় হিস্ট্রোপ্যাথোলজি ফলাফল পাওয়ার পর পুরো পাকস্থলী এবং গলার খাদ্যনালীর নীচের অর্ধেকের বেশি অংশ পুরোপুরি মোবালাইজ (Stomach Esophegus কে তার অবস্থান থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া) করেন। এরপর ক্যানসারে আক্রান্ত অংশ কেটে ফেলে দিয়ে খাদ্যথলির বাকি অংশটুকু দিয়ে টিউবের মতো করে নতুন খাদ্যনালি এবং খাদ্যথলি তৈরি করে তা বুকের মধ্যে দিয়ে গলার দিকে টেনে নিয়ে এসে গলার মাঝামাঝি অংশের মূল খাদ্যনালীর (Esophegus) সাথে জুড়ে দেন। রোগী বড় কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
গলার খাদ্যনালীর ক্যানসার অন্যান্য ক্যানসারের তুলনায় অত্যন্ত ভয়াবহ। এই রোগের সার্জারির ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই পেটের সাথে বুকও কাটতে হয়, যা রোগীর জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং রোগীদের সার্জারির পরবর্তী অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়, এমনকি অনেকে মারাও যান।
ল্যাপারোস্কপির সহায়তায় খাদ্যনালী, খাদ্যথলি এবং পরিপাকনালির বিভিন্ন অংশ অতিসহজেই বড় কোনো জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন করা যায়।
দেশে সর্বপ্রথম ডা. মোহাম্মদ ফরিদ হোসেনেই ল্যাপারোস্কপির সহায়তায় এই ধরনের অ্যাডভান্সড ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সমপন্ন করছেন। তিনি কিছুদিন পূর্বেও ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে খাদ্যথলি ক্যানসারের (Stomach Cancer) সফল সার্জারি করেন। বিদেশের তুলনায় অ্যাপোলো হাসপাতাল, ঢাকায় এই ধরনের অ্যাডভান্সড ল্যাপারোস্কপিক সার্জারির খরচ কম করেও ৩/৪ গুণ কম।
তথ্য: কালের কন্ঠ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৮৯৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ কাকলী আক্তার (৩৫) নামে এক নারী ইউপি সদস্যকে আটক করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রামরাইল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। কাকলী বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি ওই ইউনিয়নের মনির হোসেনের স্ত্রী।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানান তিনি।
রংপুরের পীরগাছায় অপহরণের ১০ ঘণ্টা পর বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রংপুরের শালবন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মীকুন্ডা বাজারের পাশে ইটভাটা সংলগ্ন স্থানে।অপহৃতরা হলেন- উপজেলার কাশিম মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে বাতেন মন্ডল (৫৫) ও তার ছেলে রিপন মন্ডল (২৫)।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ব্রাক্ষ্মীকুন্ডা ইটভাটা সংলগ্ন স্থানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা দুইটি মাইক্রোবাসসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল বাবা ও ছেলের পথরোধ করে।
এ সময় তারা বাবা ও ছেলেকে বেধড়ক মারপিট করে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। বাবা ছেলের এমন অপহরণের দৃশ্য দেখে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করতে না পারলেও দুই অপহরণকারীকে ধরে ফেলে। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার হাছনা গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে এনামুল হক ও জাদুলস্কর গ্রামের এন্তাজ মিয়ার ছেলে শহর আলী।পীরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপহরণের অভিযোগে আটক এনামুল ও শহর আলীকে উদ্ধার করে। পুলিশ আটককৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অপহৃতদের উদ্ধারে দিনব্যাপী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রংপুরের শালবন নামক স্থান থেকে বাবা ও ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে বাবা ও ছেলে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেওয়া পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাঈদুল ইসলাম বলেন, জনতার হাতে আটক হওয়া অপহরণকারী দলের দুই সদস্যের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাতেন ও তার ছেলে রিপনকে রংপুরের শালবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। আহত বাবা ও ছেলেকে চিকিৎসার জন্য পীরগাছা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের গোয়ালপাড়ায় চাঞ্চল্যকর চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী প্রতিবাদে রংপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্তরে রংপুরস্থ ঠাকুরগাও জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন চতুর্থ শ্রেণীর শিশুকে হত্যা করা পশুর থেকেও নিকৃষ্ট কেউ করতে পারে। অবুঝ শিশুও আজ কারও কাছে নিরাপদ নয়। চাঞ্চল্যকর এরকম হত্যাকান্ডে প্রশাসনের নিরবতাকে দায়িত্বহীনতা বলে মত দেন তারা। এতে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর একই এলাকার একটি বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক কাননের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাসেল রানা, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থী অনিক, জিনিয়াসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর তারিখ সুমনা নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের গোয়ালপাড়া কানুনের বাড়ির বাথরুম থেকে সুমনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে প্রায় কাননদের বাসায় খেলতে যেত। নিখোঁজের পরদিন সুমনার বাবা জুয়েল বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। আটক কানন শহরের গোয়ালপাড়ার গিয়াস মাহমুদ কনকের ছেলে। সে ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশ কর্তৃক হারাগাছ থানাধীন গুলাল বুদাই সাকিনস্থ জনৈক মোঃ শরিফুল ইসলাম এর বসত ঘরের পিছন থেকে ৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ আসামী ১। মোঃ শরিফুল ইসলাম(২৬), পিতা-মোঃ এমারত আলী, মাতা-মোছাঃ দুলালী বেগম, সাং-গুলাল বুদাই (জমচওড়া), আরপিএমপি, রংপুর-কে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে এ সংক্রান্তে মাহিগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণী ১৪(ক) ধারায় রুজু করা হয়।
বিএনপি-জামায়াত করলে কেউ মুক্তিযোদ্ধা থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সাতোর ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া মাঝাপাড়া এবং নিজপাড়া ইউনিয়নের দামাইক্ষেত্র গণহত্যার স্মৃতিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুনতাসীর মামুন বলেন, বাংলাদেশ একটি অদ্ভুত দেশ। যেখানে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আছে। আবার স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিও আছে। পৃথিবীর কোথাও এরকম নেই। কারণ কোনো দেশ স্বাধীন হয়ে গেলে সেখানে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আর থাকে না।
তিনি বলেন, বিএনপি করলে বা জামায়াত করলে কেউ মুক্তিযোদ্ধা থাকে না। যদি আপনি বলেন আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম; কিন্তু আপনি মুক্তিযোদ্ধা থাকলে তো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল ছাড়া অন্য দল করতে পারেন না। তাহলে মুক্তিযোদ্ধা থাকলেন কোথায়?
স্বাধীনতা যুদ্ধে ৫ লাখ নারীর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মন্তব্য করে মুনতাসীর মামুন বলেন, আমরা যখন স্বাধীন হই, তখন বলা হতো নারী ধর্ষিত হয়েছে আট থেকে ১০ লাখ। এটি আমি রেডিওতে শুনেছি। দিনে দিনে এটি দুই লাখে নেমে আসে। অথচ গবেষণায় এসেছে, নারী ধর্ষিত হয়েছে ৫ লাখের বেশি, হাইকোর্টের রায়ে এ সংখ্যাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুরের সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক ছায়েদ আলী, গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের কোর্স পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান প্রমুখ।
বর্তমানে বাংলাদেশের টক অফ দা টাউন ডাকসু। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ডাকসু নিয়ে চলছে নানা ধরনের সহিংসতা আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি কে নিয়ে কেন্দ্র করে নানা ধরনের জল ঘোলা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছে ডাকসু ভিপি।সম্প্রতি এ নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করে বেশ সমালোচনার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী। ডাকসু ভিপির ঘটনায় তিনি বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে জনরোষে পরিণত হয়েছেন।এবার তাকে নিয়ে কথা বললেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক হাবিবুর রহমান। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার লেখনি তুলে ধরা হলো:-
ডাকসু নির্বাচন ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারিত্তের নেতৃত্ব উপহার দেয়া দূরে থাক, যেমন দেশের দেউলিয়া রাজনীতি, যেমন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন,তেমন ছাত্ররাজনীতির করুণ রুগ্নদশাই তুলে ধরেছে। এখন ভিক্ষে চাই না কুত্তা সামলাও অবস্থা।
ডাকসু ভিপি নুরকে আমার কখনোই অতীতে যারা এই পদে এসেছেন তাদের ধারাবাহিকতার সাথে তাল লয় রেখে উঠে আসা কেউ মনে হয়নি। আনকোড়া অনভিজ্ঞ এক ছাত্ররাজনীতির প্রতি অনাগ্রহ সময়ের ফসল মনে হয়েছে। ডাকসু সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তো ছাত্রলীগের মতোন এদেশের রাষ্ট্র নির্মাণের ইতিহাসের আবেগে মোড়া গৌরবের ছাত্রলীগের নষ্ট রাজনীতির সর্বশেষ ভয়ংকর কলংকের উন্মোচিত বেয়াদব মুখ, যে চাঁদাবাজির জন্য বহিস্কৃত হয়েছে। সাহসী আর বেয়াদব এতটাই বিপরীতমুখী যে প্রথমটার কষ্ট নির্যাতন ভোগ করতে হলেও বেঁচে থাকে সম্মানে প্রেমে, শেষেরটা ঘৃণিত ধ্বংস হয়।
রাব্বানী যে অভিযোগে বহিষ্কার তাতে, সে ফৌজদারি মামলায় থাকবে জেলে। এখনো উগ্র দম্ভ নিয়ে কিভাবে ডাকসু জিএস থাকে? কিভাবে বলে ’ডাকসু ভিপি নুর বাঁচলো না মরলো ডাজ নট ম্যাটার’! মেরুদণ্ডহীন দলকানাই নয় দলদাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর এমন ব্যক্তিত্বহীন ভিসি এদেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে আসেনি। এমন আদর্শহীন জাতীয় রাজনীতির ছায়ায় অসুস্থ ছাত্ররাজনীতির এই জমানায় এমন পরিবেশ দেখে আমি আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচন চাইছি না।
কিন্তু যে প্রতিকূল পরিবেশে ক্ষমতা নির্ভর রাজনীতির ছায়ায় সকল শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের মুখে, ভোটের পাহারা নিশ্চিত করে নুর ডাকসু ভিপির বিজয় ছিনিয়ে এনেছে সেটা চমকে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ তাকে নির্বাচিত করেছেন। এ কালের নির্বাচনের এমন যুগে ব্যালট বিপ্লবের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হয়। গণতন্ত্রের প্রতি প্রবল আবেগ অনুভূতি থাকার কারণে ডাকসুর ভিপিসহ নির্বাচিতদের সম্মান দিতে হয়, যে তবু তারা বদ্ধ দুয়ার খুলেছে বলে।
কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী গোলাম রব্বানী যখন চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের মত ইতিহাসের মহান ছাত্র সংগঠনের সাধারন সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি পেয়েছে, সেখানে তার ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকার নৈতিক দায়িত্ব আর আছে কিনা সেটা ছাত্র সমাজ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু ভবন ঘিরে যে রক্তপাত ঘটছে, যে সহিংতা তা,কখনোই গ্রহণ যোগ্য হতে পারে না। সরকারবিরোধী ছাত্র সংগঠন, ছাত্রদল যেখানে দাঁড়াতে পারছে না সেখানে ডাকসু ভিপি নূরের ওপর একের পর এক হামলা ঘটিয়ে যারা বীরত্বের দম্ভ করছে তারা তাকে নেতা হিসেবেই তৈরি করছে না, প্রশাসনের দেউলিয়াত্ব উন্মুক্ত করেছে। তারা কার হয়ে খেলছে জানি না। তবে সরকারের পক্ষে নয়। এরা দেশকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সমাজকে অশান্ত করে কী যেনো ঘাটাতে চায়!
মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় বীর, বীরযোদ্ধা ও শহীদদের সন্তানরা বিনয়ী হয়ে সমাজে চলে, উন্নাসিক দম্ভ, ক্ষমতানির্ভর বাড়াবাড়ি করে না। সমাজ দেশ আবেগ অনুভূতিতে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতায় থাকে। অথচ বীরদের নামে একদল নব্য সুবিধাবাদীরা তাদের মহান বীরযোদ্ধা পিতাদের অহংকারকে ধুলোয় মিশিয়ে,তাদের নামে যে সন্ত্রাস অরাজকতা করছে তা চরম আইনের লংঘন। শাহবাগের গণজাগরন ছিলো দেশবাসীর আবেগ অনুভূতি প্রতিবাদের নাম। সেখানেও মতলববাজরা অতিবিপ্লবী হয়ে কেউ বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে, কেউবা দেশে শেষ। এবার এক নতুন দোকানের নামে ছাত্রদের সাথে, ভিপির উপর হামলায় নেতৃত্ব দেয় ঢাবি শিক্ষক! নুর অপরাধী হলে ডাকসু, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবে। আইন শৃংখলাবাহিনী দেখবে! এদের ঔদ্ধত্য ও আইন হাতে তুলে নেবার সাহস কে দিলো?
প্রধানমন্ত্রী আহত নুরসহ রক্তাক্তদের দেখতে দলের নেতাদের পাঠালে ভিসিও পরে যান! তিনি তো আগেই ছুটে যাবেন! প্রধানমন্ত্রী নড়লে সবাই নড়েন। তাছাড়া কারো বোধোদয় হয় না। রোজ ঘটনা ঘটছে, ডাকসু ভিপি হামলার শিকার হচ্ছে,অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ উঠছে,পরিস্থিতি অশান্ত হচ্ছে, তবু কেনো সবাইকে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করেননি? ভিসি ও তার প্রশাসন কি ক্যাম্পাসে লাশ দেখতে চেয়েছিলেন?
সরকার অভিযুক্তদের আটক করেছে। চিকিৎসার জন্য মেডিকেলবোর্ড গঠন করেছে। ডাকসুর নায়ক জীবন্ত কিংবদন্তী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন,সবাইকে দায়িত্বশীল ও সতর্ক হতে হবে কথায়,চলাফেরায়।ঢাবি থেকে ওঠে আসা সরকারের মুখপাত্র ওবায়দুল কাদেরও হামলার নিন্দা করে বলেছেন,ভিন্নমত হলেও হামলা জঘন্ন নিন্দার,তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে।মুক্তিযুদ্ধের নামেই হোক, আর যে কোন নামে অন্য পক্ষই হোক,ক্যাম্পাস রাজনীতির সমস্যার সমাধান ডাকসু,সব ছাত্র সংগঠন,ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বের সাথে আলোচনা করে সমাধান করাই উত্তম।
জাতীয় রাজনীতিকে আদর্শিক গণতান্ত্রীক ধারায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে, ছাত্ররাজনীতি থেকে কিছু আশা করা যায় না। ছাত্রসংসদ নির্বাচনও সমস্যার সমাধান আনবে না, বিশ্ববিদ্যালয়ও দায়িত্বশীল প্রশাসন পাবে না। আর জাতীয় রাজনীতির দেউলিয়াত্ব থাকলে যে কোনো সময়, যে কোনো ঘটনায় গণবিক্ষোভ ও ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠতে পারে।রাজনীতিবিদ ও সরকারকে এটা ভাবতেই হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ কিছুদিন আগে নিজ ঘর থেকে শুরু করেছিল একটি শুদ্ধি অভিযান।শুদ্ধি অভিযানে মূলত দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের নানা ধরনের নেতিবাচক সমালোচনা মূলক কর্মকান্ড যারা জড়িত রয়েছেন তাদেরকে শাস্তি দেওয়া মূল লক্ষ্য ছিল। আরে শুদ্ধি অভিযানের প্রথম শুরু হয় ছাত্রলীগকে নিয়ে। সে সময় ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত দুইজন সভাপতি ও সম্পাদককে চারিদিকে শুরু হয় নানা সমালোচনা। তাদের নামে দীর্ঘদিন ধরে আসতে থাকে নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কথা।এছাড়াও গোলাম রব্বানীর ক্ষমতা আমলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।এরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং ছাত্রলীগের দায়িত্বে থেকে তাদের দুজনকে অব্যাহতি দিয়ে দেন।
তথ্য: bd kotha
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বাজারে মরা গরু জবাই করে গোশত বিক্রির অভিযোগে ফয়সাল মিয়া (২২) নামে এক গোশত বিক্রেতাকে বুধবার সকালে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন করেছে পুলিশ। ফয়সাল মিয়া নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি গ্রামের বুলু কসাইয়ের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গোশত বিক্রেতা ফয়সাল মিয়া উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন বাড়াইল গ্রাম থেকে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে গত শুক্রবার রাতে একটি অসুস্থ গরু ক্রয় করেন। গরুটি গাড়ি থেকে নামানো সময় মারা গেলে তাৎক্ষণিক জবাই করে ফেলেন, জবাইকৃত ওই গরুর গোশত শনিবার সকালে সলিমগঞ্জ বাজারে তার দোকানে বিক্রি করেন। মরা গরুর গোশত বিক্রির সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুমের নজরে এলে তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ প্রধান করেন।
সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইহসানুল হাসান বলেন, মরা গরুর গোশত বিক্রি করার অভিযোগে বুধবার সকালে সলিমগঞ্জ বাজার থেকে ফয়সাল মিয়াকে আটক জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নোয়াখালীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে শরীর ঝলসে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সৌদি প্রবাসী মোশাররফ হোসেন উজ্জল (৩৫) দেশ ছেড়ে পালানোর সময় ঢাকায় বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো: আবদুর রহীম জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিনামবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
যৌতুক চেয়ে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে দেহে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধা দেয়ার বিষয়টি সোমবার প্রকাশ পাওয়ার পর পুলিশ তাকে খুঁজছিল। নির্যাতিত নারীর বাবা বাদী হয়ে জামাতাকে আসামি করে মঙ্গলবার সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সোমবার সকাল থেকে উজ্জলকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে পুলিশ। সে যাতে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিমান বন্দর ও স্থলবন্দরে তার পাসপোর্টের ছায়া কপি ও ছবি পাঠানো হয়।
গত ১ অক্টোবর দেশে ফেরার পর জেলা শহরের বছিরার দোকান এলাকায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠেন উজ্জল। বুধবার রাতে ওই বাসায় ছেলেকে বেঁধে রেখে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে দেন উজ্জল। এরপর সারা শরীরে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়া হয়। এ সময় স্ত্রী চিৎকার করলে ছেলের গলায় চুরি ধরে তাকে হত্যার হুমকিও দেন উজ্জল।
এক পর্যায়ে পালিয়ে বাবার বাড়িতে উঠেন স্ত্রী। সেখান থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালান উজ্জল। সোমবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার সময় আবারো ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন উজ্জল। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুধারাম থানার ওসি নবির হোসেন জানান, মামলায় নির্যাতিতার স্বামী মোশাররফ হোসেন উজ্জলকে একমাত্র আসামি করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টাঃ রিন্টু চৌধুরী
সম্পাদক- মোঃ আজিজুল ইসলাম আজিজ 01719-076924,
নির্বাহি সম্পাদক -মোঃ রফিকুল ইসলাম 01717-656705fÐd¡e L¡k¡Ñmu
¢jlf¤l-13,Y¡L¡
ফোনঃ 01827-656705 ইমেইলঃ anusondan2@gmail.com