ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর – ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরের উদযাপনে (থার্টিফার্স্ট নাইটে) ঢাকাসহ সারাদেশের কোথাও উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আসন্ন বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বর বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট খুব কাছাকাছি। খ্রিস্টান ভাইয়েরা যাতে সুন্দরভাবে বড়দিন উদযাপন করতে পারেন এবং থার্টিফার্স্ট নাইটে যাতে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা না হয় সেজন্য এই সভা করেছি।’
ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় ৩ হাজার ৫০০টি চার্চের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিস্টানদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কাজ করবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কাকরাইল, মিরপুর, বনানীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চার্চে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সিসি ক্যামেরাসহ বিশেষ প্রয়োজনে প্রবেশ মুখে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকবে।’
‘বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থাকবে। চার্চের একজন করে ফোকাল পয়েন্টে যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে সব চার্চগুলোতে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।’
থার্টিফাস্ট নাইটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘খ্রিস্ট্রীয় নববর্ষ কেন্দ্র করে রাস্তায়, ফ্লাইওভারে কনসার্ট, নাচ-গানের আয়োজন করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে উন্মুক্ত স্থানে কোন ধরনের গান-বাজনার আয়োজন করা যাবে না। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে সব বার বন্ধ থাকবে। এরই মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চলবে।’
তিনি বলেন, ‘বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ভুভুজেলা বাজানো, পটকা ফোটানো এবং আতশবাজি ফোটানো যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা থেকে ১ জানুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না।’
‘৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার থাকা গাড়িগুলো ভেতরে ঢুকতে পারবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সুন্দরভাবে হবে। সুশৃঙ্খল অবস্থায় থাকবে এটাই আমরা আশা করি।’
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্টনাইট নিয়ে কোন ধরনের আশঙ্কা আছে কি না- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কোনো আশঙ্কা নেই, আমি আগেই বলেছি আমরা প্রতিটি বিশেষ দিনে কিংবা জাতীয় দিবসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে সভা করে থাকি। যাতে সবাই নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন।
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারারা সহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : জাগো নিউজ
-ফাইল ছবি
বহুল আলোচিত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন কিছু শর্তসাপেক্ষে খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তার জামিনের বিষয়ে হাইকোর্টের খারিজ আদেশ বহাল রইলো। খালেদা জিয়া রাজি থাকলে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত।
এর ফলে এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়ার আর কার্যত কোনো সুযোগ থাকল না। খালেদা জিয়া কেবল আপিলের রায় রিভিউ করতে পারবেন। আইনজীবীরা বলছেন, রিভিউয়ে আপিলের রায়ে কোনো পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
এদিন সকাল ১০টার দিকে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের মাধ্যমে শুরু হয় শুনানি কার্যক্রম। রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়ার ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড মনে করছে, খালেদা জিয়া রাজি না হওয়ার কারণেই তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া যায়নি।
শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রপার চিকিৎসা হচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। তিনি দিন দিন পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। তার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ভালো মানুষ কারাগারে গিয়েই তিনি পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন। আর ছয় মাস গেলে তিনি লাশ হয়ে ফিরবেন।’
খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী আরও বলেন, মানবিক কারণে আমরা জামিনের আবেদন করেছি। আমরা তো আপনাদের কাছেই আসব। আপনারা সর্বোচ্চ আদালত। আপনাদের পরে আর কেউ নেই আল্লাহ ছাড়া। তাছাড়া নারী, বয়স্ক, অসুস্থ— এসব বিবেচনায় জামিনের বিষয়ে আপনাদের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আপনারা জামিন দেবেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো দরকার। তার উন্নত চিকিৎসা রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব। তিনি জামিন পেলে তো পালিয়ে যাবেন না।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারিক আদালতের রায়ের নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৩১ জুলাই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকেই রাজধানীর নয়া পল্টনে দলটির কার্যালয়ের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ, যাদের সঙ্গে সাদা পোশাকের পুলিশও রয়েছেন।
অন্যদিন এই সময়ে অফিসে নেতা-কর্মীদের ভিড় থাকলে এদিন পুলিশের বেষ্টনী ভেদ করে নেতা-কর্মীদের কাউকে কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যাচ্ছে না।
তবে সকাল ১০টার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে নিজের চেম্বারে অবস্থান করছেন।
দলের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ মহিলা দলের ২০/২২ জন সদস্য ও অফিস কর্মীরা কার্যালয়ে রয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে। গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি অফিসের সামনে অতিরিক্ত পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে।
কার্যালয়ের নেতারা জানান, তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দিকে নজর রাখছেন। তারা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে মহাসচিবকে শুনানির সর্বশেষ অবস্থা জানাচ্ছেন।
মহেশপুর থেকে ৫০৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক।
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলাই আজ ১১/১২/২০১৯ইং তারিখে বিশেষ অভিযান চালিয়ে
ঝিনাইদহ র্যাবের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে মহেশপুর উপজেলার পুড়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে শুকুর আলী নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
পরে তার কাছ থেকে উদ্ধার করে ৫’শ ৭ বোতল ফেন্সিডিল। শুকুর আলী যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার শুকপুকুড়িয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ আলীর ছেলে।আসামি শুকুর আলীর নামে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হচ্ছে।
চেক বিতরন করছেন গাংনী উপজেলার নির্বাহী অফিসারঃ দিলারা রহমান
প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ও কল্যান তহবিল থেকে প্রাপ্ত চেকের মাধ্যমে ১০ জন ব্যক্তি কে মোট চার লক্ষ আশি হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, অনুদান প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নামে চেকসমূহ মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি ডিসি অফিসে আসার পর জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে উক্ত ব্যক্তিদের মাঝে ইউ.এন.ও অফিস থেকে চেক বিতরণ করা হয়।
তথ্যঃ নির্বাহী অফিসারঃ দিলারা রহমান মহদয়ের ফেসবুক আই ডি থেকে সংগৃহীত ১০/১২/২০১৯ ১৮ঃ২০
ভারতের পার্লামেন্টে দেয়া বিজেপির বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার সকালে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ ডাক বাংলো মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা তুলে ধরে নানক বলেন, হিন্দুদের ওপর বর্বর নির্যাতন করা হয়েছিল, পূর্ণিমার মতো মেয়েকে গ্যাং রেপ (গণধর্ষণ) করা হয়েছিল– ভুলে গেছেন। সংখ্যালঘু হিন্দুদের জীবনকে অতিষ্ঠ করেছিল বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, নাইমুজ্জামান মুক্তা। সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নবম জাতীয় কাউন্সিল। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের খোলা চত্বরে কাউন্সিলের প্রথম পর্ব হবে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে জি এম কাদের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। মহাসচিব পদে পরিবর্তন আসতে পারে এমন আলোচনা রয়েছে।
মহাসচিব পদে আসতে পারেন যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তারা হলেন- বর্তমান মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু। এ ছাড়া পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং রওশন এরশাদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমামের নামও শোনা যায়।
সারা দেশ থেকে কাউন্সিলর ও ডেলিগেট মিলিয়ে ৫০ হাজার প্রতিনিধির মিলনমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় পদে আসতে আগ্রহী নেতারা সম্মেলনের মূল প্যান্ডেলসহ বাইরের সড়কে নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে ব্যাপক শোডাউন করে শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সব মিলিয়ে সম্মেলনকে ঘিরে ব্যস্ত নেতা-কর্মীরা। জানতে চাইলে পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, কাউন্সিলের আয়োজন দ্রুত এগিয়ে চলছে। টিমওয়ার্ক চেতনায় কাজ চলছে। আশা করি জাতিকে একটি বর্ণাঢ্য সম্মেলন উপহার দিতে পারবে জাতীয় পার্টি। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হবে। নেতৃত্ব প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় পার্টি কারও একক সম্পদ নয়। পার্টির চেয়ারম্যান মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে আহ্বায়ক এবং মহাসচিব মসিউর রহমানকে সদস্যসচিব করে ১০১ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। সম্মেলনে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বিদেশি প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সমাজের বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এদিকে দল পরিচালনায় ভাই এইচ এম এরশাদের পথেই হাঁটতে যাচ্ছেন নতুন চেয়ারম্যান। গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জাপার গঠনতন্ত্রে বিতর্কিত ধারা বলে পরিচিত ২০-এর ক ও খ উপধারা সম্মেলনে সংশোধন হচ্ছে না। ২০-এর ক ও খ উপধারায় চেয়ারম্যানের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা আছে, ‘… চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির যে কোনো পদে যে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ, যে কোনো পদ হইতে যে কোনো ব্যক্তিকে অপসারণ ও যে কোনো ব্যক্তিকে তাঁহার স্থলাভিষিক্ত করিতে পারিবেন।’ সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরই নির্বাচিত হচ্ছেন প্রায় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতিম লীর সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা জি এম কাদেরের প্রতি আস্থাশীল। আর সিনিয়র কো. চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন বেগম রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, এবারের সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক। এদিকে মহাসচিব পদে পরিবর্তন নিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর মধ্যে বেশ গুঞ্জন রয়েছে। জাপার একটি অংশ বর্তমান মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে মানতে নারাজ। অপর একটি অংশ সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে পদে ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে। আরেক সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুও মহাসচিব হতে চান বলে গুঞ্জন রয়েছে। এদিকে কাউন্সিলের মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখনো বাকি রয়েছে অনেক জেলা সম্মেলন।
সুত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজশাহীর বোয়ালিয়ার মো. আবদুস সাত্তার ওরফে টিপু সুলতানের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন, বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।
এর আগে ১৭ই অক্টোবর এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষে যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে সিএভি (রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ) রাখেন আদালত। পরে সোমবার রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ২৭শে মার্চ এ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরে একই বছরের ৮ই আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
অভিযোগ চূড়ান্তের পর তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান বলেছিলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজশাহীর বোয়ালীয়ায় দশজনকে হত্যা, দু’জনকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে নির্যাতন, ১২ থেকে ১৩টি বাড়ির মালামাল লুট করে আগুন দেয়ার অপরাধ ওঠে এসেছে তদন্তে। এসব অপরাধে এ আসামির বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।।
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর- নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও পরিবহন নেতা শাজাহান খানকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছেন, ‘সৎ সাহস থাকলে সামনে এসে প্রমাণ নিয়ে বসুন। প্রয়োজনে লাইভ টক শো হবে। পুরো জাতি দেখবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে আমাকে ও নিরাপদ সড়ক চাইসহ আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচারের মাধ্যমে অসত্য, বানোয়াট ও উদ্ভট কিছু প্রসঙ্গে টেনে চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালিয়েছেন। তার (শাজাহান খান) এমন মিথ্যাচার শুধুমাত্র নিজের দুর্বলতা ঢাকার জন্যই বলেছেন। জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য তিনি এসব মানহানিকর কথা বলেছেন। সেই সাথে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-কে বাধাগ্রস্ত করতেই উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে অবান্তর প্রশ্নের অবতারণা করেছেন।’
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিসচা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘নিসচার পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে বলা হয়েছিল। না পারলে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল।’
শাজাহান খান ওই সময় দেশের বাইরে ছিলেন জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি (শাজাহান খান) তথ্যপ্রমাণ হাজির করেননি, এমনকি ক্ষমাও চাননি।
সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ব্যক্তিগতভাবে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে তথ্যপ্রমাণ থাকলে হাজির করতে কিংবা না পারলে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নের নেতৃত্ব দানকারী নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে ‘জ্ঞানপাপী’ আখ্যা দেন সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান।
রূপগঞ্জের পূর্বাচল ১৩ নং সেক্টর এলাকায় ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে ডাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের (ডিটিসি) এক কোর্সের উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আপনি (ইলিয়াস কাঞ্চন) যে বিদেশিদের কাছ থেকে নিরাপদ সড়ক চাই এনজিওর নামে কোটি কোটি টাকা নিয়ে আসছেন, আপনি কয়টি প্রতিষ্ঠান করেছেন, কয়টি স্কুল করেছেন, ক’জন মানুষকে ট্রেনিং দিয়েছেন- আমি তার তথ্য বের করতেছি।’
সূত্র: জাগো নিউজ
এবার সুদখোরদের ধরতে মাঠে নামছে প্রশাসন। পুলিশ হেড কোয়াটার্সের নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার ও থানা অফিসার ইনচার্জারা এব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে তদারকিও শুরু করেছেন। সরকারকে ফাঁকি দিয়ে চলা সারা দেশের সুদখোরদের মূলোৎপাঠনের যে তালিকা শুরু হয়েছে তা যশোর সদরেও এগিয়ে চলেছে।
যশোর কোতোয়ালির ইন্সপেক্টর ইন্টেলিজেন্স ও কমিউনিটি পুলিশিং সুমন ভক্ত এই নির্দেশনা কার্যকর করছেন। সুদখোরের তালিকায় ব্যক্তি কেন্দ্রিক সুদে কারবারি, মাল বাকিতে দিয়ে অতিরিক্ত সুদ আদায়কারী ব্যবসায়ী, অনুমোদনহীন এনজিও সমবায় সমিতি রয়েছে। এছাড়া সরকার অনুমোদিত ব্যাংকিং সিস্টেম ছাড়া পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও পরিচালনা কারীরা সুদখোরদের আওতায় পড়বে। যে কারণে মাথায় হাত উঠতে শুরু করেছে চিহ্নিত ও আলোচিত সব সুদে কারবারিদের। সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস ফাঁকি দিয়ে গোপনে চড়া সুদ (মুল টাকার চেয়েও কয়েকগুনের বেশি আদায়) আদায় করা চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই সরকারের এই প্রয়াস।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, সরকার অনুমোদন ছাড়াই দেশে হাজার হাজার অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান, অনুমোদনহীন শ’শ’ এনজিও, সমবায় সমিতি সুদ আদায় করছে। এমনকি অসাধু অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে সুদে কারবার চলাচ্ছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে হাজার হাজার সুদখোর মাথা চাড়া দিয়ে দরিদ্রকে আরো দরিদ্র করছে, করছে ভূমিহীন। সুদের সুদ তার সুদ আদায় করে ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করছে এমন চিত্র চোখে পড়ছে হরহামেশাই। সরকার বা ও সকারের চেকপোস্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনুমোদন না নেয়ায় কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আবার কোনো জবাবদিহিতার আওতায় আসছেনা তারা। যে কারণে দেশে সরকারের নির্দেশনায় গত নভেম্বর মাসে পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে সুদখোরদের তালিকা করার নির্দেশনা এসেছে পুলিশ স্টেশনগুলোতে।
সূত্রটি দাবি করেছে বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ সুদে কারবারি সিন্ডিকেটের তৎপতা ও অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। সিন্ডিকেটটি দাদন ব্যবসার নামে দরিদ্র লোকজনেকে শোষণ করছে। অবস্থা এতটাই বেগতিক যে ২০ হাজার টাকা সুদে লাগিয়ে এক লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়েছে, আরও ত্রিশ হাজার টাকা না দেয়া এক দরিদ্রের ভিটেবাড়ি লিখে নেয়ার নজির রয়েছে।
যশোর সদর উপজেলার ইছালী, নওয়াপাড়া, কাশিমপুর, চুড়ামনকাটি ও হৈবতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠেছে সুদের রমরমা ব্যবসা। সুদে ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় দু’শতাধিক। আর তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী রয়েছে আরো শতাধিক। তাদের টার্গেট স্থানীয় হতদরিদ্র লোকজন। শতকরা ৩০ টাকা হারে সুদে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে আসছে। প্রতি মাসের সুদের কিস্তি দিতে ব্যর্থ হলেই সুদে কারবারিরা মোটরসাইকেলে দল বেঁধে ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে চড়াও হচ্ছে। সুদ ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিনিয়িত বাড়ছে ব্যবসায়ীর সংখ্যা।
যশোরের একটি এলাকায় অভাবের সংসারে কিছুটা স্বস্তি পেতে একজন কৃষক দু’দফায় সুদে টাকা নেন। এক লাখ ১৫ হাজার টাকা সুদ নিয়ে ধরাশায়ী হওয়ার চিত্রও মিলেছে যশোরে। যশোর সদর উপজেলার বারীনগর বাজারের এক সুদে কারবারির এক লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়েই শেষ রক্ষা হয়নি। এক লাখ ১৫ হাজার টাকায় সুদ বাড়তে বাড়তে তিন লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়।
সুদে ব্যবসায়ীরা চুক্তি ভিত্তিক, দিন কিস্তি, সাপ্তাহিক কিস্তি ও মাসিক কিস্তিতে টাকা দিয়ে থাকেন। তবে মাসিক কিস্তির চাইতে চুক্তি ভিত্তিক ও দিন কিস্তিতে সুদের হার বেশি। চুক্তি ভিত্তিতে সকালে কেউ এক লাখ টাকা নিলে বিকেলে বা রাতে এক লাখে ২/৩ হাজার টাকা দিতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে সুদের হার দ্বিগুণ দিতে হচ্ছে। দিন কিস্তিতে সর্বমোট মাসিক সুদের হার লাখে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। লাখে মাসিক কিস্তিতে সুদের হার ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হচ্ছে। এছাড়া অনুমোদনহীন সমবায় সমিতি, সমাজ কল্যাণ সংস্থাসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান যথেচ্ছা করছে।
এব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর ইন্টেলিজেন্স ও কমিউনিটি পুলিশ গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন পুলিশ হেড কোয়াটার্সের নির্দেশনায় সুদখোরদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। গত নভেম্বরে মাসে এ সংক্রান্ত তাগিদপত্র এসেছে পুলিশের কাছে। সুদখোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুমোদনহীন সকল অর্থ লেনদেন প্রতিষ্ঠান, অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে নীতি নৈতিকতা ভুলে সুদে কারবার চালিয়ে যাওয়া চক্রের বিরুদ্ধে জোরেসোরে এগুচ্ছে। সুদে কারবার সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য গ্রহণ করবেন বলেও জানান ইন্সপেক্টর সুমন ভক্ত।
প্রধান উপদেষ্টাঃ রিন্টু চৌধুরী
সম্পাদক- মোঃ আজিজুল ইসলাম আজিজ 01719-076924,
নির্বাহি সম্পাদক -মোঃ রফিকুল ইসলাম 01717-656705fÐd¡e L¡k¡Ñmu
¢jlf¤l-13,Y¡L¡
ফোনঃ 01827-656705 ইমেইলঃ anusondan2@gmail.com