জামালপুরের মাদারগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসচাপায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলো- জুয়েল ও জাহিদুল।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাদারগঞ্জ সড়কে মাদারগঞ্জ পৌরসভার বালিজুড়ী পূর্বপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো বালিজুড়ী পূর্বপাড়ার রুহুল আমীনের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী জুয়েল রানা ও খোর্দ্দজোনাইল গ্রামের গোদা মিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলাম আকাশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাদারগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী মাদারগঞ্জ স্পেশাল সার্ভিসের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৬৭৮) পৌর এলাকার বালিজুড়ী বাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এর ৫ মিনিট পরই বাসটি মাদারগঞ্জ পৌরসভার বালিজুড়ী পূর্বপাড়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জুয়েল রানা ও আকাশ মারা যায়।
পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গাংনী তহ বাজারে খাজনার নামে চলছে চাঁদাবাজির নৈরাজ্য। এতে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাছাড়াও খাজনার রশীদও তাদের দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন খাজনার রশীদ চাইতে গেলে ইজারাদারদের হুমকিধামকি শুনতে হয়।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, খাজনার রশীদতো দেবেই না আবার রশীদের জন্য কথা বললেই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপরও ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই খাজনা দিয়ে আসছে। এদিকে খাজনার মাত্রাও অতিরিক্ত বলে তারা অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা জানান, এখানেপাকা দোকান ঘর রয়েছে ১৩টি আগে একই জায়গার উপর দোকান ঘর ছিল ১০টি। বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম ১০টি ঘরের জায়গায় ১৩টি ঘর নির্মান করেছেন আগের দোকান ঘর ছিল ১০/১২ ফুট এখন তা ছোট করে করা হয়েছে ৮/১২ ফুট। ঘরগুলিও আগের চেয়ে ছোট হয়েছে এবং এই ছোট ঘরে সকল ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে প্রতি ঘর বাবদ ১লক্ষ টাকা সিকিউরিটি নিয়েছে মাসিক ২শ’ টাকা করে ভাড়া। এতেও ব্যবসায়ীদের তেমন কোন আপত্তিনা থাকলেও মেয়র আশরাফুল ইসলামের নির্দেশে ভাড়া বাদেও প্রতিদিন দোকান ঘরপ্রতি ৩০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। ফলে মাসে খাজনা সহ ভাড়া পড়ছে ১১শ’ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলেন এখানে ব্যবসায়ীদের কাছে খাজনার নামে রিতিমত চাঁদাবাজির নৈরাজ্য চলছে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগকরেন পাকা দোকান এর আগেও আমরা চুক্তিপত্র’র মাধ্যমে ভাড়া নিয়েছিলাম তখন থেকে বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম আসার আগ পর্যন্ত কোন দিন মাসিক ভাড়া ছাড়া খাজনার নামে অতিরিক্ত টাকা তারা দাবি করেনি। অথচ এখন সিকিউরিটিও বেশি আবার দোকান ঘর ভাড়ার সাথে অতিরিক্ত খাজনাও তারা জোর করে আদায় করছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন এটা রিতিমত খাজনার নামে চাঁদাবাজির নৈরাজ্য চলছে । দোকান ঘরের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৮৪ সালে গাংনী উপজেলা পরিষদ থেকে গাংনী তহ বাজারে ১০টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। তৎকালিন সময় ১২ হাজার টাকা এককালিন ও মাসিক ২শ’ টাকা হারে পাকা দোকান ঘরে ব্যবসা করে আসছে ব্যবসায়ীরা। সে সময় পর থেকে গাংনী পৌরসভার অন্তুর্ভুক্ত হলে প্রথমের মেয়র হিসেবে দ্বায়িত্ব পান প্রয়াত আমিরুল ইসলাম পরে সাবেক মেয়র আহম্মেদ আলি। তারা কোন দিন নতুন করে ভাড়া বাড়ায়নি এমনকি ভাড়া ছাড়া অতিরিক্ত খাজনাও গ্রহন করেননি। অথচ বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম আসার পর থেকে গাংনী তহ বাজারে ব্যবসায়ীরা খাজানার নামে চাঁদা আদায়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা যদি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যাই তাহলে তারা আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ নিয়ম গুলি কে করেছে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন মেয়র করেছে তাই মানতে হবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, লক্ষ টাকা খাজনা দিয়ে দোকান ঘর নিয়েছি মাসিক ভাড়াও দেয়া হয় তারপরও কেন আমাদের দোকান ঘর থেকে খাজনা দিতে হবে? এমন ভাবেই তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কার কথাতে ইজারাদাররা চুক্তি ভিত্তিক দোকানের খাজনা আদায় করে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন মেয়র আশরাফুল ইসলামের কথাতে তারা আমাদের কাছে খাজনা দাবি করে তাও আবার বিনা রশীদে।
ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু আমাদের সাথেই অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করেনা ইজারাদারদের লোকজন মেয়র আশরাফুল ইসলামের কথা মতো বিনা রশীদে মাছ ব্যবয়ায়ীদের একটি কড়াই প্রতি ৬০ টাকা করে আদায় করে। একটি কড়াইতে যদি ২ কেজি মাছও থাকে তারপরও তাকে ৬০ টাকা খাজনা দেওয়া লাগে। যদি ২টি মাছের তাওয়া থাকে তাহলে ৬০ টাকা হিসেবে ১শ’২০ টাকা দিতে হয়। এতে মাছ ব্যবসায়ীরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিনা রশীদে খাজনা দিয়ে থাকেন। অথচ এর আগে একজন ব্যবসায়ী প্রতি ৪০ টাকা করে দিত এক্ষেত্রে একাধিক তাওয়া থাকলেও অতিরিক্ত খাজনা দেওয়া লাগেনি। এখন না দিলে সেখানে ব্যবসা করা যাবে না।
মুরগি ব্যবসায়ীরাও বর্তমান ইজারাদারদের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এখানে মুরগীর ব্যবসার জন্য আলাদা জায়গা করে দিয়েছে অথচা সেখানে না গিয়েও ঐ স্থানের বাইরে নিজেস্ব সাইকেলে একটি খাচি নিয়ে ব্যবসা করলেও সাইকেল প্রতি ৪০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। এদিকে যারা মুরগির ঘরে ব্যবসা করেন তাদের খাজনা ধার্য করা হয়েছে ৮০ টাকা। খাজনার বাইরেও তাদের পানি ও ঝাড়– দেওয়া বাবদ ২০ টাকা করে দিতে হয়। একজন মুরগী ব্যবসায়ীর নিকট থেকে সব মিলিয়ে ১শ’ টাকা করে খাজনা আদায় করেন ইজারাদারের লোকজন। ব্যবসায়ীরা জানান, ইজারাদাররা যেহেতু ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা নেন হাট পরিচ্ছন্ন রাখার দ্বায়িত্বও তাদের ঐ টাকার ভিতর থেকেই করতে হবে। এখানেও তারা জোর করে টাকা আদায় করে নেয়।
নির্ধারিত ৮০ টাকার বাইরে অতিরিক্ত টাকা তাদের না দিলেতারা তো এখানে কাজ করবে না তাহলে তাদের টাকা কেন দেন। এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা বলেন এটা মেয়রের নির্দেশ। আমাদের সাথে টাকা নিয়ে পানি ও ঝাড়ের দ্বায়িত্বে যারা রয়েছে তাদেরকে মেয়র আশরাফুল ইসলাম বেতন দেন। এরপরও হাটের দিন অতিরিক্ত কয়েকজন পানি দেওয়া বাবদ টাকা নিয়ে যায়।
মাংসের বাজারের ব্যবসায়ীদেরও একই অভিযোগ। তারা জানান, প্রতিটি গরুতে পৌরট্যাক্স দেওয়ালাগে ৫০ টাকা করে খাজনা দেওয়া লাগে ৫০ টাকা পানি বাবদ ও সুইপার বাবদ দেওয়া লাগে ৪০ টাকা করে। ফলে প্রতিটি গরুতে ১শ’৪০ টাকা করে দিতে বাধ্য করা হয়।
গাংনীর তরকারি বাজারে খাজনার নামেই জারা দার সাহাজুল ইসলাম মেয়র আশরাফুলই সলামের নির্দেশে ইজারার নামে বিনা রশীদে চাঁদাবাজির নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, পাকা দোকানে যারা চুক্তি করে ব্যবসা করছেন তাদের অতিরিক্ত খাজনা দিতে নিষেধ করা হয়েছে তারপরও তারা খাজনা দেয় দোকান বন্ধ করে দেবে এই ভয়ে। এবিষয়ে তাদের বাজার কমিটির পক্ষ থেকে অভয় দেওয়া হয়েছে তারপরও তারা ভয় পেলে আমাদের কিছু করার থাকে না।
জানতে চাওয়া হলে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গাংনী বাজারে ১লক্ষ টাকাতে মাসিক ২শ’ টাকা দিয়ে কোন জায়গায় পাকা দোকান ঘর পাওয়া যাবে না। নাম মাত্র ভাড়া দিয়ে খাজনা দেবেনা কেন। হাটের ভিতর ব্যবসা করতে হলে সকলকেই খাজনা দিতে হবে। এতে যদি তাদের পড়তা না হয় তাহলে ঘর ছেড়ে দিয়ে চলে যাক।
খাজনার রশীদ প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন সবজি হাটে একজন ব্যবসায়ী নানান রকম সবজি নিয়ে বসে তাদের সবজির প্রকারভেদে আলাদা খাজনা করতে হবে তার জন্য আলাদা আলাদা রশীদ করতে হবে এটা কোন জায়গায় কার হয় না তাছাড়া কোন হাটেই রশীদ দিয়ে খাজনা আদায় করা হয় না।
এক প্রশ্নের জবাবে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, খাজনার আদায়ের কারণে পণ্যের দাম অতিরিক্ত হয় না ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে।
তিনি বলেন,খাজনা নেওয়া হবে না ব্যবসায়ীরা যদি প্রতিটি পণ্যে ২ থেকে ৫ টাকা কেজি প্রতি লাভ রেখে ব্যবসা করে। তহ বাজারে ব্যবসায়ীরা একেক টি পণ্য দ্বিগুণ মুনাফায় বিক্রি করে যে কারণে পণ্যের দাম অতিরিক্ত হয়ে যায়।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন, হাট বাজারের খাজনা রশীদের মাধ্যমেই তুলতে হয়। রশীদ ছাড়া খাজনা তোলার বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র-মেহেরপুর প্রতিদিন, সিদ্দিকী শাহীন,গাংনী
ব্যবস্হাপনা সম্পাদকঃ আমার প্রাণপ্রিয় বাল্যবন্ধু , গাংনীর কৃতি সন্তান আজিজুল হক আজিজ, মেহেরপুর জেলা কমিউনিটি ক্লাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ায় অপরাধ টিভি’র পক্ষ থেকে শুভকামনা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন।
-ব্যবস্হাপনা সম্পাদকঃ
মোঃ রফিকুল ইসলাম
অপরাধ টিভি
নড়াইল জেলা মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রশাসন জানে কোথায় মাদক ব্যবসা হয়, কারা মাদক ব্যবসা করে। নড়াইল জেলা মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চাইলেই মাদক বন্ধ করতে পারে। নড়াইলের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মাদকবিরোধী কনসার্টে এসব কথা বলেন নড়াইলের সংসদ সদস্য ও জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, তিনি বলেন, আমি জানি নড়াইল জেলা মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রশাসন মাদক আটকাতে পারে। আমি আশা করব যাতে নড়াইল জেলা মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রশাসন আরো শক্ত হয়। মাশরাফি আরো বলেন, ‘মাদকবিরোধী আন্দোলন করাটা কঠিন চ্যালেঞ্জ । যত বড় শক্ত হাত হোক না কেন তাদের আটকাতে হবে। একা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আপনাদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আপনারা সবাই চেষ্টা করবেন। আমি বিশ্বাস করি প্রশাসন চাইলে এটা সম্ভব। অপরদিকে মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ইন্সপেক্টর হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া মদের বার চালান নিজের ভাইয়ের নামে: কেচো খুরতে কেওটে রাখে আলা মারে কে অনুসন্ধানে মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ইন্সপেক্টর হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা সিকদার ওরফে মাহমুদা হেলালসহ নিক আত্মীয়দের বি’রুদ্ধে শত কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে গত বছর। একই বছরের ২৯ জুলাই শুদকে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে এবার সন্ধান পেলো দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও ত’দন্ত শাখা-২ জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে হেলাল ও তার স্ত্রীর বি’রুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। গত ২৮ আগস্ট দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন তাদের নোটিশ পাঠিয়েছেন।
২১ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে বলা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে, আপনি জ্ঞাত আয়ের বাইরে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। হেলাল ও তার স্ত্রীর বি’রুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদক উপপরিচালক একেএম মাহবুবুর রহমান। অনুসন্ধান শেষ না হওয়ায় এ বি’ষয়ে তিনিসহ দুদক কর্মকর্তারা তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। নামে-বেনামে সম্পদ গড়ার তথ্য-দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানের তথ্য বলছে, হেলাল তার স্ত্রী মাহমুদা, বড় ভাই বেলাল হোসেন ভূইয়া, ছোট ভাই আজাদ হোসেন, ভাগ্নে মো. জায়েদ প্যারিন ও ফুপাতো ভাই মুশফিকুর রহমানের নামে সম্পদ গড়েছেন। সন্দেহে ৩ ব্যাংক হিসাব-হেলালের অর্থের উৎস সন্ধানে নেমে ব্যাংক এশিয়া, ওয়ান ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংকের তিনটি হিসাব গুরুত্ব পাচ্ছে। ‘স্মার্ট অ্যাড’-এর নামে ব্যাংক এশিয়ায়, ‘সৌরভ ক্রাফট লিমিটেড’-এর নামে ওয়ান ব্যাংকে এবং ‘জামিল ফ্যাশন’-এর নামে এনসিসি ব্যাংকের হিসাবগুলো বিভিন্ন সময়ে খোলা হয় বলে জানিয়েছে দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র।
এসব ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেনের তথ্য আছে।মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক হেলালউদ্দিন ভূঁইয়াভাইয়ের নামে বার (মদের দোকান) চালানোর অভিযোগ উঠেছে মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তার বি’রুদ্ধে। নিজেকে বাঁচাতে সেই ভাইকেও অস্বীকার করেছেন তিনি। এই কর্মকর্তা হলেন পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া। কর্মস্থল যশোর হলেও মাসের ২৫ দিনই রাজধানীতে থাকেন। মোহাম্মদপুরে নবোদয় হাউজিংয়ে তার বাসা। অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) সম্প্রতি হেলাল ও তার স্ত্রী মাহমুদা সিকদারের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ‘ধনকুবের’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এই দম্পতিকে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকলেও নেপথ্যে থেকে ‘লেক ভিউ রিক্রিয়েশন ক্লাব লিমিটেড’ পরিচালনায় আরও ৫ জনের সঙ্গে যুক্ত আছেন হেলাল। রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের ৩০ নম্বর রোডের ৬০সি নম্বর বাসার ৫তলা ভবনজুড়ে পরিচালিত এই বার ‘টপ রেটেড’ হিসেবে পরিচিত। শুরুতে গুলশান-১ নম্বরের একটি ভবনের ১৯তলায় ছিল এটি। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় বারটির মালিকানায় সরাসরি যুক্ত হতে পারেননি হেলাল।
তাই যুক্ত করেছেন ছোট ভাইকে। তার নাম মো. আজাদ হোসেন।তবে হেলালের দাবি, আজাদ নামে তার কোনও ভাই নেই। এর বিপরীতে আজাদ অবশ্য জানান, হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া তার আপন ভাই। আজাদ নিজেকে রেডিও স্টেশন স্পাইস এফএম’র মেইনটেনেন্টস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে ৩ বছর ধরে কর্মরত আছেন বলে জানান তিনি। জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া তথ্য বলছে, আজাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বড়কান্দি (মধ্যাংশ)। বাড়ির নাম ‘ভূঁইয়া বাড়ি’। বাবা আলী আহম্মদ ভূঁইয়া এবং মা মোসাম্মৎ সামছুন নাহার। জাতীয় পরিচয়পত্রে আজাদের পেশা ‘ছাত্র’ উল্লেখ আছে। এই একই ঠিকানার আলী আহম্মদ ভূঁইয়া ও সামছুন নাহার দম্পতির ছেলে হেলাল। জানা গেছে, ৬ ভাইবোনের মধ্যে হেলাল চতুর্থ।
আজাদ সবার ছোট। অন্য ভাইবোনেরা হলেন আমিনুর রসুল ভূঁইয়া, ইফাত আরা হাসি, বেলাল হোসেন ভূঁইয়া ও বায়েজীদ আহমেদ ভূঁইয়া। লেক ভিউ রিক্রিয়েশন ক্লাবটি পরিচালনা করেন ৬ সদস্যদের পরিচালনা পর্ষদ। এতে আজাদ ছাড়া বাকি ৫ জন হলেন সাখাওয়াৎ হোসেন, মো. শমসের হোসেন টিপু, মুক্তার হোসেন, ফারহানা হোসেন ও মো. আসাদুজ্জামান খান। রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস-এর তথ্য বলছে, লেক ভিউ রিক্রিয়েশন ক্লাব লিমিটেডের অথরাইজড শেয়ার ক্যা’পিটাল হলো ১ কোটি টাকা। এর ডিভিডেন্ড শেয়ারের প্রতিটির দাম ১ লাখ টাকা। সাধারণ শেয়ারের প্রতিটির দাম ১০০ টাকা করে। ক্লাবের ৪ জন শেয়ারহোল্ডারের মধ্যে শমসের হোসেন টিপু ২ হাজার ৫০০, আজাদ হোসেন ২ হাজার, মুক্তার হোসেন ৫ হাজার এবং ফারহানা হোসেন ৫০০ ডিভিডেন্ড শেয়ারের মালিক। হেলালের ভাইয়ের বক্তব্য-আজাদের স’ঙ্গে কথা বলে অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি। ক্লাবের ২ হাজার ডিভিডেন্ড শেয়ারের টাকা কোথা থেকে এসেছে, জানা যায়নি। টাকার উৎস তার বড় ভাই হেলাল কিনা, এরও জবাব পাওয়া যায়নি তার কাছ থেকে। তবে আজাদ তার ভাই হেলালকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদে ছিলাম।
সম্প্রতি একটি কাগজ এনে সই দিতে বলা হয়। তবে সেখানে কী লেখা ছিল, জানা নেই।’ হেলালের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক-মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ইন্সপেক্টর হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা সিকদার ওরফে মাহমুদা হেলালসহ নিকটাত্মীয়দের বি’রুদ্ধে শত কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে গত বছর। একই বছরের ২৯ জুলাই দুদকে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ে। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও ত’দন্ত শাখা-২ জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে হেলাল ও তার স্ত্রীর বি’রুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। গত ২৮ আগস্ট দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন তাদের নোটিশ পাঠিয়েছেন। ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে বলা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে, আপনি জ্ঞাত আয়ের বাইরে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। হেলাল ও তার স্ত্রীর বি’রুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদক উপপরিচালক একেএম মাহবুবুর রহমান। অনুসন্ধান শেষ না হওয়ায় এ বি’ষয়ে তিনিসহ দুদক কর্মকর্তারা তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
নামে-বেনামে সম্পদ গড়ার তথ্য-দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানের তথ্য বলছে, হেলাল তার স্ত্রী মাহমুদা, বড় ভাই বেলাল হোসেন ভূইয়া, ছোট ভাই আজাদ হোসেন, ভাগ্নে মো. জায়েদ প্যারিন ও ফুপাতো ভাই মুশফিকুর রহমানের নামে সম্পদ গড়েছেন। সন্দেহে ৩ ব্যাংক হিসাব-হেলালের অর্থের উৎস সন্ধানে নেমে ব্যাংক এশিয়া, ওয়ান ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংকের তিনটি হিসাব গুরুত্ব পাচ্ছে। ‘স্মার্ট অ্যাড’-এর নামে ব্যাংক এশিয়ায়, ‘সৌরভ ক্রাফট লিমিটেড’-এর নামে ওয়ান ব্যাংকে এবং ‘জামিল ফ্যাশন’-এর নামে এনসিসি ব্যাংকের হিসাবগুলো বিভিন্ন সময়ে খোলা হয় বলে জানিয়েছে দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র। এসব ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেনের তথ্য আছে।হেলালের বক্তব্য-গত ২৮ আগস্ট দেওয়া দুদকের নোটিশ পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে হেলাল বলেন, ‘নোটিশের কথা শুনেছি। তবে হাতে আসেনি।’ দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান বলছে বিপুল পরিমাণ অ’বৈধ সম্পদের মালিক আপনি—এমন প্রশ্নের জবাবে হেলাল বলেন, ‘মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আছে। আর ওই দ্বন্দ্বের কারণেই কিছু লোক দুদকে অভিযোগ জমা দিয়েছে। আর এই অভিযোগকে ভিত্তি করেই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।’ দুদকের অনুসন্ধান মিথ্যা প্রমাণিত হবে বলে দাবি করেন তিনি। তবে নড়াইল জেলা ‘মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের রাতের অভিযানে সফল তারা।
নামে-বেনামে হেলালের যত সম্পদ ১. রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার সাঈদ নগরে ২৬৮২ দাগে ৫ কাঠার প্লট; ২. ফার্মগেটের (ইন্দিরা রোডে) পার্ক ভিউ রেস্টুরেন্টের মালিকানা (শেয়ার); ৩. কারওয়ান বাজারে (৩৩ নং) আবাসন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কাদামাটি প্রপার্টিজ লিমিটেডের মালিকানা; ৪. বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘বি’ ব্লকে ৫ কাঠার প্লট; ৫. ইস্টার্ন হাউজিংয়ে (আফতাব নগর) ৫ কাঠার প্লট; ৬. মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে (বাড়ি-২৪, সড়ক-১এ, ব্লক-বি) ৪ হাজার বর্গফুটের ২টি ফ্ল্যাট; ৭. মিরপুর ডিওএইচএস শপিং কমপ্লেক্সে ৭টি দোকান; ৮. কুমিল্লার কাঠেরপুল, উত্তর বেইস কোর্স, ক্যামেলিয়া হাউজে স্বপ্ন মা’দকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র; ৯. কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার লুটেরচরে তিতাস ফিশিং প্রজেক্ট (হেলালের ফিশিং প্রজেক্ট নামে পরিচিত); ১০. লুটেরচরে ১৫ বিঘা জমি (বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা); ১১. লুটেরচরে একটি ইটভাটা এবং ১২. ব্যক্তিগত গাড়ি টয়োটা প্রিমিও-এফ (ঢাকা মেট্রো-গ-২৭-৭২৫০)। মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রশাসন জানে কোথায় মাদক ব্যবসা হয়।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের ফেসবুক আই ডি থেকে- তিনি লিখেছেন,
মাঝের গ্রামের ছোট্ট ছেলে তাজমিনের বাবা- মা দুজনেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। বৃদ্ধ, অসহায় নানী দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার একমাত্র নাতির শীত নিবারণের বস্ত্র সংগ্রহের আশায়। ছোট্ট তাজের নতুন শীতের পোশাক দেওয়া হলো। শীতের কষ্ট লাঘবের জন্য দেওয়া হলো লেপ।
আজ থেকে আর খড় দিয়ে লেপ বানিয়ে শীতকে হার মানাতে হবে না। আল্লাহ সকল শিশুকে শীতের নির্মমতা থেকে রক্ষা করুন। তাজ তুমি ভালো থেকো সবসময়।
কিছু মানুষ মানুষের মনে জায়গা করে নেয় তা যুগ যুগ ধরে মানুষ স্বরণ করে। গাংনীর মানুষ আপনাকে ভুলবে না। ভালো কাজের অসংখ্য অবদানে আপনি চির স্বরণীয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, দুর্নীতিবাজ এবং অসৎ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তার সরকারের কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি এবং মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যদি কেউ অসৎ পথে অর্থ উপার্জন করে, তার এই অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা বা অসৎ উপায় ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। সে যেই হোক না কেন, আমার দলের হলেও তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
এখন আমাদের খুঁজে বের করতে হবে কোথায় ফাঁক-ফোকর রয়েছে, কারা এই কাজগুলো করছে এবং কিভাবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আরেকটা জিনিস আমি দেখতে বলে দিয়েছি-সেটা হলো কার আয়-উপার্জন কত? কীভাবে জীবন-যাপন করে? সেগুলো আমাদের বের করতে হবে।’
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে নিউইয়র্কের ম্যারিয়ট মারকুইজ হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সমাজে অসৎ পথে অর্থ উপার্জনের হার বেড়ে গেলে যেসব ব্যক্তি বা তাদের সন্তানেরা সৎ পথে জীবন নির্বাহ করতে চায়, তাদের জন্য সেটা কঠিন হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘একজন সৎভাবে চলতে গেলে তাকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলতে হয়, আর অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এই ব্র্যান্ড, ওই ব্র্যান্ড, এটা সেটা হৈ চৈ, খুব দেখাতে পারে।’
‘ফলাফলটা এই দাঁড়ায় একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্মে যারা সৎ জীবন-যাপন করতে চায় তাদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৎ মানুষের ছেলে-মেয়েদের মনে সহসাই একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে, কেন তাদের পরিবার বিলাসবহুল জীবন-যাপন করতে পারে না। বাস্তবিকভাবেই এই চিন্তা লোকজনকে অসৎ পথে ঠেলে দেয়।’
উন্নয়ন প্রকল্পসমূহে অনিয়মের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার উন্নয়নের জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ আরো বেশি উন্নত হতে পারতো যদি প্রকল্পের প্রত্যেকটি টাকা যথাযথভাবে ব্যয় করা হতো।
তিনি বলেন, ’তাহলে আমরা সমাজ থেকে এই ব্যাধিটা, একটা অসম প্রতিযোগিতার হাত থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে পারবো, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারবো।’
সূত্র : বাসস।
মেহেরপুর জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে প্রায় সাড়ে ৫শ বোতল ফেন্সিডিল এবং ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার এর পর এ বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করেছে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, মাদক মুক্ত মেহেরপুরে গড়ার লক্ষ্যে মেহেরপুরের পুলিশ কাজ করে চলেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দিবাগত রাতে পুলিশ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চোখতোলা মাঠ থেকে ৫৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা পর আবারও গাংনী থানার পুলিশ গাংনী উপজেলার সাহেবনগর এলাকা থেকে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে মেহেরপুরে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের অংশ। প্রেসব্রিফিং এ অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, হাসিবুল আলম, গাংনী থানার ওসি রবিউল ইসলাম, ডি আই ও ওয়ান ফারুক হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
রংপুরে নেশাগ্রস্ত স্বামীর হাতে খুন হয়েছে গর্ভবতী স্ত্রীসহ দুই সন্তান। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর বাহার কাছনা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গলা কেটে তার স্ত্রীকে এবং দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ রাজ্জাককে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাহার কাছনা কাকিনা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাক। আজ সকালে স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রী তাসনিয়া আক্তার রত্নার (৩৫) গলা কাটে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই রত্নার মৃত্যু হয়। রত্না সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এরপর তার দেড় বছর বয়সী শিশু সন্তান রেহান ও সাত মাসের নবজাতক শিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাক প্রায় নেশাগ্রস্ত হয়ে স্ত্রীকে ধরে মারপিট করত অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এঘটনার পর রাজ্জাক তার গলা কেটে নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এদিকে খবর পেয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী, মাহিগঞ্জ ও হারাগাছ থানার পুলিশ এবং র্যাব-১৩ এর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। ঘটনাস্থল থেকে রিকশাচালক আবদুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালী থানার পুলিশের জোন প্রধান জমির উদ্দিন।
তিনি জানান, দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় ওই রিকশাচালককে গ্রেফতার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নেশাগ্রস্ত রিকশাচালক পারিবারিক কলহের জের ধরে এঘটনা ঘটাতে পারে।
৯০ সালের আগে ও পরে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেছে তাদের সবাইকেই স্বৈরাচার নামে অভিহিত করা হয়েছে- গোলাম মোহাম্মদ কাদের
ঢাকা, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর-২০১৯ : জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ’৯০ সালের আগে ও পরে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেছে তাদের সবাইকেই স্বৈরাচার নামে অভিহিত করা হয়েছে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ গ্রহণ করা সম্ভব নয়। এই সংবিধান অনুযায়ী সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক চর্চা আমরা করতে পারছিনা। তিনি বলেন, আমরা সংসদীয় পদ্ধতির মূল স্পিরিট বা আসল ধারণা গ্রহণ করতে পারিনি। ৭০ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা নিজেদের বিবেক বুদ্ধি বা বিবেচনার ওপরে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। দলের সঙ্গেই তাদের থাকতে হবে, দলের বাইরে তারা যেতে পারেনা। সংসদকে সকল কর্মকান্ডের আসল কেন্দ্রবিন্দু করা আমাদের সংবিধান এ্যালাও করেনা এবং সংসদের কাছে মন্ত্রীদের জবাবদিহিতা এটাও আমাদের সংবিধান এ্যালাও করেনা। সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা মন্ত্রীদের কর্মকান্ডের বিরোধীতা করতে পারেনা। তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সরকার প্রধান সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দু থাকেন। এই কারণে, আমাদের দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারা অর্জিত হচ্ছেনা। আর এ কারণেই আগে পিছে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন তাদের সবাইকে স্বৈরাচার বলা হয়েছে। কিন্তু সবাই মিলে দোষ দিয়েছেন শুধু একজনকে তিনি হচ্ছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এই অপবাদ দিয়েই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জাতীয় পার্টির ওপর চরম অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে।
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর-এর সভাপতি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম. ফয়সাল চিশতীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, যদি সংবিধানের ৭০ ধারা উঠিয়ে দেয়া হয় এবং এমপিরা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারে তাহলে সরকারের স্থায়ীত্ব কম হবে। এতে প্রতি মাসেও সরকার পরিবর্তন হতে পারে, কোন বিল পাস করতেও সমস্যা হবে সরকারের। এমন আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে আমরা পূর্ণ গণতন্ত্র চর্চার জন্য উপযুক্ত হতে পেরেছি কিনা তাও বিবেচনা করতে হবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কারণে যে কোন রাজনৈতিক দলও প্রকৃত গণতান্ত্রিক চর্চা করতে পারেনা। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সংবিধান সংরক্ষণ করতে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আমরা আজীবন কাজ করে যাবো। জাতীয় পার্টির বড় অর্জন অন্য কোন কায়দায় ক্ষমতায় থাকতে না চেয়ে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্ষমতা হস্থান্তর করেছেন। অন্যায়-অবিচারের মধ্যেও জাতীয় পার্টি সংবিধান সমুন্নত রাখতে রাজনীতি করে যাচ্ছে। জাতীয় পার্টি কাজ করছে গণতন্ত্র বজায় রাখতে এবং গণতন্ত্র বিকশিত করতে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময় দেশে তুলনা মূলক ভাবে বেশি সুশাসন বজায় ছিলো। জনগণের কল্যাণের কাজে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলের তুলনা হয়না। কিন্তু এখনো জাতীয় পার্টির শাসনামলের কুৎসা রটনো হচ্ছে, যেটা সম্পর্ণ অন্যায়। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে নব-জাগরণ শুরু হয়েছে। দেশ ও জাতির প্রত্যাশিত দেশ উপহার দেবে জাতীয় পার্টি।
সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বলেন, দেশে বিশ^জিৎ হত্যা হয়, আবরার হত্যা হয়। সারের জন্য কৃষককে হত্যা হতে হয়, এটাকে আমরা গণতন্ত্র বলতে পারিনা। এরশাদকে যারা স্বৈরাচার বলেন, তাদের লজ্জা করা উচিৎ কারণ, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য তাদের সবাইকে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাছে যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের ৮৯ ভাগ উন্নয়ন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে হয়েছে। জেলখানায় থেকে ৫টি করে আসনে নির্বাচিত হয়ে প্রমাণ করেছেন পল্লীবন্ধু কতটা জনপ্রিয় ছিলেন।
বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য- জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান- নুরুল ইসলাম নুরু, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, রামপুরা থানা সভাপতি- কাজী আবুল খায়ের, যুগ্ম মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক- আল মামুন।
উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, সৈয়দ দিদার বখ্ত, নাজমা আখতার এমপি, উপদেষ্টা- নুরুল আজহার, যুগ্ম-মহাসচিব- শেখ আলমগীর হোসেন, আশরাফ সিদ্দিকী, আমির উদ্দিন ডালু, সুলতান আহমেদ সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সম্পাদকমন্ডলী- দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, যুগ্ম দফতর সম্পাদক এম.এ. রাজ্জাক, আনিস উর রহমান খোকন, শারমিন পারভীন লিজা, ডাঃ সেলিমা খান, হাফেজ ক্বারী মোঃ ইসাহরুহল্লাহ আসিফ, রেজাউল করিম।
কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ মোহিবুল্লাহ, নাজমুল খান, এ্যাড. আবু তৈয়ব, তাসলিমা আকবর রুনা, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা, মিনি খান, আব্দুস সাত্তার, মামুনুর রহমান, ফারুক শেঠ, সোলায়মান সামী, জি.এম. বাবু, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, দ্বীন ইসলাম শেখ, ফারুক আহমেদ, মাহফুজ মোল্লাহ, হাজী সিরাজ, আনোয়ার হোসেন তোতা, নুরুল ইসলাম নুরু, আরিফুল ইসলাম রুবেল।
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সম্মেলন
আগামীকাল বেলা ১১টায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।
বার্তা প্রেরক,
মিঠু বিশ্বাস
ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক জাতীয় সাইবার পার্টি।
০১৭৬৮৯০৮১৯১
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রাম থেকে ৮ কেজি গাঁজা সহ দু’ মাদক পাচারকারিকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাজিপুর গোলাম বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো গাইবান্ধার গোবিন্দঞ্জ উপজেলার শ্রীতিপুর ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোঃ ওয়ারেস মন্ডলের ছেলে মোঃ নয়ন মন্ডল (২৩) ও একই জেলার কয়া পাড়ার দক্ষিন ঘলিয়া এলাকার মো: শাহ জামালের ছেলে শাহ মুসলিম ওরফে তামিম (২৪)।
গাংনী থানা সুত্রে প্রকাশ, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিরতলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই অজয় কুমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাজিপুর গ্রামের গোলামবাজার এলাকায় দুজন মাদক পাচার কারি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে এমন সংবাদে তাদের আটক করে।
এ সময় পাচারকারিদের নিকট থাকা ২টি ট্রাভেল ব্যাগে প্রতিটিতে ৪ কেজি করে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, আটককৃতরা ঢাকায় মাদক পাচারের উদ্দেশ্যে অপেক্ষা করছিল। এমন সয়ম আমাদের পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে মেহেরপুর কোর্টে প্রেরণ করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টাঃ রিন্টু চৌধুরী
সম্পাদক- মোঃ আজিজুল ইসলাম আজিজ 01719-076924,
নির্বাহি সম্পাদক -মোঃ রফিকুল ইসলাম 01717-656705fÐd¡e L¡k¡Ñmu
¢jlf¤l-13,Y¡L¡
ফোনঃ 01827-656705 ইমেইলঃ anusondan2@gmail.com