-ফাইল ফটো

 

নতুন  সড়ক আইন সংশোধনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করছে চালক ও শ্রমিকরা। অঘোষিত এই ধর্মঘটে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ বেশিরভাগ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।

এদিকে ৯ দফা দাবিতে আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। পরিবহন শ্রমিকদের এ ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পুরো দেশ।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহন নেই বললেই চলে। এছাড়াও চলছে অঞ্চলভিত্তিক ধর্মঘট। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। ঢাকার প্রধান প্রধান বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের অপেক্ষারত দেখা গেছে। একই ভোগান্তি ভোগ করছেন ঢাকামুখী যাত্রীরাও।

টাঙ্গাইল: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক প‌রিবহন শূন্য হয়ে পড়েছে। উত্তর ও দ‌ক্ষিণবঙ্গ ছাড়াও টাঙ্গাইল হ‌তে জামালপুর-ময়মন‌সিংহসহ বি‌ভিন্ন রু‌টে যানবাহন চলাচল বন্ধ র‌য়ে‌ছে সকাল থে‌কে। বুধবার সকালে এই মহাসড়‌কে গি‌য়ে এমন চিত্র দেখা গে‌ছে। এতে চরম ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়ে‌ছেন যাত্রীরা। এছাড়াও গত সোমবার থে‌কে টাঙ্গাই‌লে প‌রিবহন ধর্মঘট শুরু ক‌রে প‌রিবহন শ্র‌মিকরা। বুধবার টাঙ্গাই‌লে প‌রিবহন চলাচল পু‌রোপু‌রি বন্ধু ক‌রে দেয়া হয়। এতে দূরপাল্লার কোনো প‌রিবহন টাঙ্গাইল থে‌কে ছে‌ড়ে যায়‌নি। উত্তর ও দ‌ক্ষিণবঙ্গ থে‌কে সকাল থে‌কে এ পর্যন্ত ২০ ভাগ প‌রিবহন সেতু পাড় হয়‌নি। যা স্বাভা‌বি‌কের তুলনায় খুবই সামান্য ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের মাসকান্দা আন্তজেলা বাস টার্মিনাল, পাটগুদাম ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড ও উত্তরবঙ্গ বাসস্ট্যান্ড থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। অন্য কোনো গন্তব্য থেকে ময়মনসিংহে কোনো বাস আসেনি। তবে বিআরটিসি বাসগুলো নিয়মিত চলাচল করেছে। ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা সীমিত সংখ্যায় চলাচল করতে দেখা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পরিবহনশ্রমিকেরা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট পালন করছেন। এ কারণে সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ আশপাশের সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোথাও ভাঙচুর বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকাল ৭টা থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহনশ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নেন। পরে তাঁরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ডে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। যানবাহন থেকে চালকদের নামিয়ে দেওয়া হয়। পরিবহনশ্রমিকেরা মহাসড়কে এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে দেন।

খুলনা: খুলনায় সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। বুধবার তৃতীয় দিনের মতো খুলনার সোনাডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাসহ দেশের কোনো রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার খুলনা সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বৈঠকে বুধবার সকাল থেকে বাস চালানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার সকালেও বাস চলাচল শুরু হয়নি।

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম বেবি জানান, নতুন সড়ক পরিবহন আইনের ভয়ে সাধারণ চালকরা বাস চালাতে রাজি হচ্ছেন না।

এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ট্রেনগুলোতে। তবে সীমিত আকারে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল করছে।

বগুড়াঃ বগুড়ার সব রুটে সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে মঙ্গলবার শুধু অভ্যন্তরীণ ছয় রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক-মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলেও বাধা দিচ্ছে। ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল দাবি করেছেন, তাদের কোনো শ্রমিক ধর্মঘটে নেই।

তার দাবি, সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনার ওপর দিয়ে কোনো বাস চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে বগুড়ার কোনো যানবাহন রাজধানী ঢাকাসহ দূরপাল্লার রুটগুলোতে চলাচল করতে পারছে না।

সকালে বগুড়ার টার্মিনালগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো বাসই চলাচল করছে না।

চট্টগ্রাম: নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের অংশ হিসেবে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান চালাচ্ছে না চালক ও শ্রমিকরা।

আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মনির আহমদ বলেন, ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি মানা না হলে চালক ও শ্রমিকরা গাড়ি চালাবে না বলে জানিয়েছেন।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে মাদারবাড়ী, কদমতলী, নিমতলাসহ চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টার্মিনালে অলস বসিয়ে রাখা হয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। ফলে বুধবার সকাল থেকে সড়কে কোনও ট্রাক কাভার্ডভ্যান দেখা যাচ্ছে না। তবে বন্দর থেকে কনটেইনার পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইম মুভার বা ট্রেইলার চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

পরিবহন ধর্মঘটে অচল দেশ,সীমাহীন ভোগান্তি

 

আলমডাঙ্গায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় হাসান আলী নামের ইট ভাটা মালিক নিহত হয়েছেন।
গতকাল সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের রোয়াকুলি গ্রামের এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

একটি চলন্ত ট্রাকের নিচে পড়ে মোটরবাইকে থাকা হাসান ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘনটাস্থল থেকে হাসানের লাশ উদ্ধার করে।

নিহত হাসান নওদাবন্ডবিল গ্রামের মৃত রহিম মন্ডলের ছেলে এবং ফরিদপুরের দোয়াপাড়ায় অবস্থিত এনআরবি ইট ভাটার মালিক।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, উপজেলা রোয়াকুলি গ্রামে সন্ধ্যা রাতে একটি চলন্ত ট্রাকের নিচে পড়ে একজন নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। তবে তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, নিহত হাসান মোটরবাইকে করে চুয়াডাঙ্গা থেকে আলমডাঙ্গায় বাড়ি ফিরছিলেন। মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক কলেজ পার হয়ে রোয়াকুলি গ্রামে ঢুকতে তার সামনে একটি ট্রাক পড়ে। হাসান ট্রাকটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে না পেরে ট্রাকের নিচে পড়ে যান। এবং ট্রাকের নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

পরে খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে নিহত হাসানের মরদেহ ট্রাকের নিচ থেকে টেনে বের করেন।

সড়ক দূর্ঘটনায় হাসানের মর্মান্তিক নিহতের ঘটনায় তার বাড়ি নওদাবন্ডবিল গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আলমডাঙ্গায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ইট ভাটা মালিক নিহত

-প্রতিকি ছবি

চট্টগ্রাম, ২০ নভেম্বর – বন্দর নগরী চট্টগ্রামের রাউজানে দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা আবিষ্কার করেছে জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল। অভিযানে ওই কারখানা থেকে অন্তত ২০টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিনগত গভীর রাতে পূর্ব রাউজনের ঘেড়া সামশু টিলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। জেলা পুলিশের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাতে এক বিশেষ অভিযানে পূর্ব রাউজনের ঘেড়া সামশু টিলা এলাকায় একটি তৈরির অস্ত্র কারখানা আবিষ্কার করা হয়। সেখান থেকে ডাকাত সর্দার জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে।

সূত্র : জাগো নিউজ

চট্টগ্রাম,দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা আবিষ্কার

সারাদেশের মতো মেহেরপুরের গাংনীতেও লবণ সংকটের গুজব তুলে খুচরা দোকান থেকে লবণ উধাও হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গাংনী বাজার সহ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের দোকান গুলোতেও লবণের দাম বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়।

খবর পেয়ে গাংনী উপজেলার প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা লবণ সংকটের গুজর ঠেকাতে বাজার মনিটরিং করা শুরু করে। এসময় তারা বেশি দামে লবণ বিক্রয় না করতে কঠোরভাবে সতর্ক করেন।

এদিকে লবণ সংকটের গুজবকে কাজে লাগিয়ে উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামের এক অসাধু ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে অর্থদন্ড করা হয়।

দন্ডিত ব্যবসায়ী উপজেলার কেশবনগর গ্রামের হাজি দিদার আলির ছেলে মজিবর রহমান। ৩৫ টাকার লবন ৬৫ টাকায় বিক্রয় করায় তাকে ৫ হাজার টাকা জারিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান।

এছাড়াও গাংনী থেকে লবন পাচারকালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালি গ্রামের মোঃ মতিয়ার রহমানের ছেলে রাশেদুজ্জামান কে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

এর আগে লবণ সংকটের গুজব ছড়িয়ে পড়ায় বাজার মনিটরিং শুরু করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা সাধারণ ভোক্তা ও জনগণকে গুজবে কান না দিয়ে স্বাভাবিক দামে লবণ ক্রয় করার পরামর্শ দেন সাথে সাথে যদি কোন ব্যবসায়ী যদি অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রয় করে তাহলে সেই ব্যবসায়ীকে সর্বচ্চো শাস্তি প্রয়োগ করা হবে বলে সতর্ক করেন।

গাংনীতে লবণ সংকটের গুজবে লবণ উধাও, বেশি দামে বিক্রয়ের দায়ে ব্যবসায়ীর জরিমানা

মঙ্গলবার কালাই পৌর শহরের পাঁচশিরা-মাত্রাই সড়কের দুরঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত চালকল শ্রকিমরা হলেন কালাই উপজেলার সিতাহার গ্রামের বাসিন্দ আব্দুল লতিফ (৪৫), তার স্ত্রী ছালমা খাতুন (৩৮), ওসনা বেগম (৩৬) এবং ওসনার ছেলে সাগর হোসেন (৩)।

আহতদের প্রথমে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পেরে দুইজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কালাই থানার ওসি আব্দুল লতিফ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পাঁচশিরা-মাত্রাই সড়কের দুরঞ্জ এলাকায় শামিম হোসেনের চাতালে ওই শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে ধান সিদ্ধ ও শুকানোর কাজ করে আসছিলেন।

“মঙ্গলবার সকালে তারা ড্রামে ধান সিদ্ধ করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে ওই ড্রামটি বিস্ফোরিত হলে গরম পানিতে শ্রমিকদের শরীর ঝলসে যায়।”

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিক আহমেদ জেবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আহতদের মধ্যে আব্দুল লতিফ ও তার স্ত্রী ছালমার শরীরের বেশি ভাগ ঝলসে গেছে। তাই তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

চালকলের বয়লার বিস্ফোরণে,জয়পুরহাটে আহত ৪

-ফাইল ফটো

সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তোলা যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে চরম মাত্রার অপরাধ। বাংলাদেশের ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী এটিকে ধরা হয় লেভেল-৪ মাত্রা অপরাধ। যার ন্যূনতম শাস্তি ১ থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা।

ঠিক এমন শাস্তিই পেলেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব। জাতীয় ক্রিকেট লিগে ম্যাচ চলাকালীন সতীর্থ খেলোয়াড় আরাফাত সানির (জুনিয়র) গায়ে হাত তোলার অপরাধে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে।

তবে এই পাঁচ বছরের শাস্তির মধ্যে আবার দুই বছর স্থগিত রাখা হয়েছে। যার মানে দাঁড়ায় মূল শাস্তি পাঁচ বছর হলেও আগামী তিন বছর বিসিবির অধীনে কোনো ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না শাহাদাত হোসেন রাজিব। এদিন তাকে নিষিদ্ধের পাশাপাশি ৩ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে শাহাদাতের শাস্তির ব্যাপারটি নিশ্চিত করা হয়। আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন শাহাদাত।

খুলনায় জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে, গত রোববার সতীর্থ অফ স্পিনার আরাফাত সানি জুনিয়রকে মারধর করেন ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যায়, বল ঘষে উজ্জ্বল করা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আরাফাতের উপর ক্ষিপ্ত হন শাহাদাত। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে সতীর্থ এই ক্রিকেটারকে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন শাহাদাত। আম্পায়ার এসে সরিয়ে দেওয়ার পরও শাহাদাত আবার গিয়ে মারতে থাকেন। পরে সতীর্থরা তাকে একরকম জোর করেই নিয়ে যায় মাঠের বাইরে।

ঘটনার পর ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ আইন অনুযায়ী ম্যাচের শেষ দুই দিনের জন্য বহিষ্কার করেন শাহাদাতকে। মঙ্গলবার টেকনিক্যাল কমিটির সভায় তাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।

ক্রিকেটার শাহাদাত ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

ফাইল ছবি-

বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এমনি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। জয়া নাকি প্রেম্ও করছেন।

গতকাল ছবি মুক্তি প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জয়া আহসানের ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা হয়। কলকাতার এক তারকার বরাত দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, জয়া নাকি বাংলাদেশের একজনের সঙ্গে প্রেম করছেন। এছাড়া আগামী বছর নাকি বিয়েও করবেন?

এদিকে, সম্প্রতি বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত কলকাতার ছবি ‘কণ্ঠ’। নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের যৌথ পরিচালনায় ছবিটি গত মে মাসে ভারতে মুক্তি পায়। সাফটা চুক্তির আওতায় ‘কণ্ঠ’ দেশে পরিবেশন করছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি।

বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন জয়া আহসান

বাস বন্ধের পর ট্রাকেও ধর্মঘট

নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের পর দেশের বিভিন্ন জেলায় বাস চলাচল বন্ধের পর এবার সারাদেশে ট্রাক ধর্মঘটের ডাক এসেছে।

সড়কে বাস নামছে না, দুর্ভোগও কাটছে না

বাংলাদেশ ট্রাক-কভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন আইন স্থগিত রাখাসহ নয় দফা দাবিতে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ডেকেছেন।

শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের শুরু থেকে তার বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

সোমবার থেকে আইনটি কার্যকর শুরু পর কোনো চাপে পিছু হটবেন না বলে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেওয়ার পর পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা দৃশ্যত চাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী খান বলেন, সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত করে মালিক শ্রমিকদের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিমানার বিধান ও দণ্ড উল্লেখ করে একটি ‘যুগোপযোগী বাস্তবসম্মত ও বিজ্ঞান ভিত্তিক’ সঠিক আইন প্রণয়ন করতে হবে।

ফাইল ছবিফাইল ছবিট্রাক মালিক-শ্রমিকরা সড়ক পরিবহন আইন প্রত্যাখ্যান করছে কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা পুরো আইন প্রত্যাখ্যান করছেন না। কিছু ধারার সংশোধন চান।
“আইনের সব ধারা নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। কিছু বিষয় নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়েছি। কিন্তু সরকার আশ্বস্ত করলেও পরে সেগুলো বাস্তবায়ন করেনি। এ কারণেই কর্মসূচি।”

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল আহমদ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. মনিরসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্রাক ধর্মঘট শুরু হলে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়ে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।

এবার সারাদেশে ট্রাকেও ধর্মঘট

বিস্ফোরণের পর কারখানাটি
সোমবার হায়দরাবাদ শিল্পাঞ্চলের একটি রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন সেখানকার আরও ৪ শ্রমিক। তাঁর মধ্যে ২ মহিলাও রয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ বালানগর কে পুরুষোত্তম জানান, নিহতদের নাম অবরীশ ও আনোয়ার। দুই শ্রমিকের বাড়িই বিহারে। কী করে এদিন বিস্ফোরণ ঘটল, তার বিশদ এখনও জানা যায়নি বলে দাবি করেন পুলিশকর্তা। তবে, অন্য একটি সূত্র দাবি করে, কারখানার রিঅ্যাক্টরেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটেছে হায়দরাবাদের জীবিকা লাইফ সায়েন্সেস প্রাইভেট লিমিটেডের কারখানায়।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় সেখানে ২০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণের পর ওই ইউনিটের ছাদ উড়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল, ৫০০ মিটার দূর থেকেও তাঁর আঁচ পাওয়া যায়। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। ভয়ে কারখানা চত্বর ছেড়ে পালিয়ে যান কর্মরত শ্রমিকেরা। রাজ্য বিপর্যয় টিম ও দমকলের যৌথ প্রয়াসে চার ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ২ হায়দরাবাদে