সাংবাদিক, মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠক এবং চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)’র সাধারণ সম্পাদক, নাগরিক অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (নাপসা-বাংলাদেশ) এর চেয়ারম্যান, দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য, আলমগীর নূর এর উপর শতাধিক অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা করে অপহরন ও হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ভুক্তিভোগির ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম নগরীর কেসিদে রোডস্থ ইসলামিয়া সিটি কনভেনশন হল ও তৎ অধীন ব্যাবসায়ীক কার্যালয়ে অবস্থানাকলে গত ২৪ তারিখে রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটে কমিনিউনিটি সেন্টারের কিছু গ্রাহকের অনুষ্ঠান বুকিং নেওয়ার সময়ে অতর্কিতভাবে অনিক দাশ নামক একজন কিশোর গ্যাং লিডারের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ও পেশাদার মাদক কারবারী চক্রের সদস্য ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। অহরণ ও হত্যা প্রচেষ্টার এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা অনিক দাস নামীয় সন্ত্রাসী আলমগীর নূর এর পেন্টের পকেটে থাকা ২৯,৭০০/- টাকা জোরপূর্বক ছিনতাই করে নিয়ে নেয় এবং ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ভিকটিমের দু’হাত-পা চেপে ধরে অনিক দাশ নামক অজ্ঞাত সন্ত্রাসী ভিকটিমকে অপহরণ ও মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে ও গলাটিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রচেস্টা চালায়। এর পূর্বে সন্ত্রাসীরা ভবনের নিচের প্রধান ফটক কলাপসিবল গেইট বন্ধ করে দেয় বাহির থেকে কেউ প্রিিতষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারার জন্য । প্রতিষ্ঠানে অবস্থানরত কর্মচারী ও ব্যাবসা সংশ্লিষ্ট লোকজন পরিস্থিতিতি মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে আলমগীর নূর আতংকিত হয়ে ৯৯৯-এ কল দিয়ে সাহায্য চাইলে ঘটনাস্থলে দ্রুত কোতোয়ালী থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চালালে সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।
যাওয়ার সময়ে সন্ত্রাসীরা ভিকটিমকে তার নিজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া সিটি কনভেনশন হল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য শাসিয়ে যায় অন্যতায় তাকে জীবননাশের হুমকি দেয় এবং এ বিষয়ে কোন মামলা করলে ভিকটিমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রদান করে। প্রসঙ্গতঃ ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও কোতোয়ালী থানার পুলিশ উক্ত বিষয়ে এখনো কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে না পারায় চরম হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ন্যায় বিচার বঞ্চিত হচ্ছেন মর্মে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক আলমগীর নূর। এদিকে চট্টগ্রামের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, সুধিসমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠসহ ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত সকল কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ও মাদককারবারীসহ ঘটনার পিছনে মদতদানকারী গডফাদারদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কমিশনার ও ওসি কোতোয়ালীর প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ সদস্যবৃন্দ ঘটনার সকল ভিডিও ও অডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে সনাক্ত করেছেন বলে সংবাদ সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন। সর্বশেষ তথ্য মতে, এ বিষয়ে শতাধিক সন্ত্রাসীর বিরুরদ্ধ অপহরণ, হত্যা প্রচেষ্টা ও ছিনতাই মামলার প্রস্তুতি প্রক্রীয়াধীন বলে ভিকটিন আলমগীর নূর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।