শীতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে গত ৭২ ঘণ্টায় এক অন্তঃসত্ত্বাসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছে। অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে ১ জন মারা গেছেন। মুমূর্ষ ২ জনকে ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি কর্মরত চিকিৎসক ডা. সোহানুর রহমান শুভ জানান, শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধদের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গির সাদেকুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৬০) মারা গেছেন শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টায়। এছাড়াও আরও ১০ জন ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এরা হলেন নীলফামারীর আরিফা (৭) লালমনিরহাটের পাটগ্রামের রসুলপুরের জয়নব বেওয়া(৬৫)।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা.এমএ হামিদ জানান, শীত নিবারণের জন্য আগুন তাপাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এপর্যন্ত ৮ জন নারী রমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা খারাপ। তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার রংপুরে সর্ব নিম্ম তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই আবহাওয়া আরও ৫-৭ দিন অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর : জামালপুরে দৈনিক বাংলাবাজার ও পল্লীকন্ঠ প্রতিদিনের সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর বর্বরোচিত হামলা করে দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী রকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।
বুধবার রাত ১১টায় শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকায় পুরাতন এসডিওর বাড়ির পিছনে শহর বাইপাস রোডে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত শেলু আকন্দকে স্বজন ও সাংবাদিকরা উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত শেলু আকন্দ বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী। প্রতিদিন সকাল ও রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে শহর বাইপাস রোডে হাটাহাটি করি। বুধবার রাতে হেঁটে যাওয়ার সময় পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাকিব খান, তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ১০/১২ জন আমার উপর হামলা চালায়। তারা লোহার জিআই পাইপ দিয়ে আমার দুই পায়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। পেটানোর সময় তারা বলে মামলার সাক্ষী হইছস না, সাক্ষী দিবি, তর সাক্ষীর হওয়ার স্বাদ মিটাইতাছি। লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে পেটাতে আমার দুই পা গুড়িয়ে দিয়েছে।
এর ৬ মাস আগে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে দৈনিক কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর উপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করেছিল কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে রাকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জামালপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলার ২নং সাক্ষী ছিল সাংবাদিক শেলু আকন্দ। সাংবাদিকের উপর হামলার মামলায় সাক্ষী হওয়ায় সাংবাদিক শেলু আকন্দ হামলার শিকার হয়েছেন।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো: সালেমুজ্জামান জানিয়েছে, সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমান সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলার নির্দেশদাতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও হামলাকারী রকিব খানসহ হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।
নিখোঁজের ৪ দিন পর ঠাকুরগাঁও শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় ইয়াসিন আলীর বাসা থেকে ঘরের মেঝে খুরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী সুমনার মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত দশটায় এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র রিয়াজ আহমেদ কাননকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানিয়েছেন। আটক আহমেদ কানন ওই বাসার মালিক ইয়াসিন আলীর ছেলে।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনির ছাত্রী সুমনা। পরিবারের লোকজন তাকে খুজে না পেয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর সুমনার বাবা জুয়েল বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় সাধারণ ডাইরী করেন।
সাধারণ ডাইরী করার পর সদর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে আহমেদ কাননকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্কুলছাত্রীকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।
স্কুলছাত্রী সুমনার বাবা জুয়েল বলেন, আমার মেয়ে একজন মেধাবী ছাত্রী ছিল। বার্ষিক পরীক্ষাও দিয়েছে, এবার চতুর্থ শ্রেণি উঠবে। আমি আমার মেয়ের হত্যার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি জানান, স্কুলছাত্রীর হত্যাকাণ্ডের কারণ এখন বলা যাচ্ছে না। মরদেহটির ময়না তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
রাজাকারের তালিকায় নাম আসায় বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় দেশের নাগরিক হিসেবেও আমি লজ্জিত। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে যার ভূমিকা ছিল তাকে কারা কেন এই তালিকায় এনেছে, এর তদন্ত হওয়া উচিত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে গত রোববার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে রাজশাহী বিভাগের ৮৯ নম্বর তালিকায় (ক্রমিক নম্বর ৬০৬) আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুসহ ৫ জনের নাম রয়েছে ।
এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট মহসিন আলীর নামও রয়েছে তালিকায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের পরিবারের ৫ সদস্য নিহত হন। ওই সময় আবদুস সালাম ভারতে অবস্থান করছিলেন। অথচ তার নামটিও রয়েছে রাজাকারের তালিকায়। এছাড়া তালিকায় আছে রাজশাহীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবদুর রউফ ও পুলিশ কর্মকর্তা এসএস আবু তালেব।
রাজাকারের তালিকায় এসব ব্যক্তির নাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের পরিবারের সদস্য আরিফুল হক কুমার।
তিনি বলেন, এই তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যারা ছিলেন, তাদের নাম এসেছে। এমনকি যারা পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকারদের হাতে নিহত হয়েছেন, তাদের নামও এসেছে। আবার যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, তাদের নাম রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, যিনি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর, তার নামও আছে এতে। বিষয়টি বড়ই বেদনাদায়ক। আমরা কোনোভাবেই এটি মানতে পারছি না।
মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ওয়ালিউর রহমান বাবু বলেন, তালিকায় রাজশাহীর অন্যতম রাজাকার তৎকালীন জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট আফাজ উদ্দিন, শান্তি কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন এবং ওয়াহেদ আলী মোল্লার নাম নেই। অথচ এই তিনজনই রাজশাহীর রাজাকারদের শীর্ষস্থানীয়। তাদের নাম এ তালিকায় না থাকা খুবই দুঃখজনক। অন্যদিকে যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তাদের নাম তালিকায় আসাটা চরম লজ্জার।
তথ্য-যুগান্তর
মেহেরপুরের গাংনীতে শিশুর যৌণ নিপীড়নের অভিযোগে সৎ পিতা আবু তাহের (৪০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতরাতে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করে। আজ সকালে তাকে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আবু তাহের গাংনীর ধানখোলা গ্রামের মৃত সামসুল ইসলামের ছেলে।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, আবু তাহের তার দ্বিতীয় স্ত্রীর শিশু কন্যাকে একা পেয়ে যৌণ নিপীড়ন করে। শিশুটির চিৎকারে তার মা এগিয়ে আসলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় তাহের। এ বিষয়ে শিশুটির মা বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ গোপন সংবাদে আবু তাহেরের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা করেছে। জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম ( সেলিম)।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মোঃ খাইরুল ইসলাম, আঃ বাকী, জেলা জাতীয় পার্টির যুব সংহতির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সাইদুর রহমান মিলন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা জাতীয় পার্টির তথ্য সম্পাদক মোঃ শফিউল ইসলাম, গাংনী পৌর শাখার সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজু আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরজ আলী, জাতীয় পার্টির নেতা মোঃ সেলিম আহম্মেদ, মোঃ কুমকুম হোসেন, মোঃ এমদাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে একটি র্যালী গাংনী শহর প্রদক্ষিন শেষে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
মেহেরপুর গাংনীতে মহান বিজয় দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন,গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুন্তাজ আলী প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবউদ্দীন আহমেদ, সাবেক পৌর মেয়র আহমেদ আলী প্রমুখ। পরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রজনী গন্ধা ফুলের ষ্টিক দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। সাথে সাথে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে।
16 December 2019
19:45
মনোয়ার হোসেন লিটন লিটন জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্ম-সূচীর মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর ৪৮তম মহান বিজয় দিবস উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে উত্তরাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা সুজা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দিবসের দিনব্যাপী কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) গোলাম ফেরদৌস, থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার হামিদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, শিক্ষাবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফফার ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ সহ প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক।
এরপর একে একে সহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক প্রদান করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, থানা পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বাংলাদেশ স্কাউটস জলঢাকা উপজেলা কমিটি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
পরে স্থানীয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এবং সন্ধায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উন্মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক মঞ্চস্থ করা হয়।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিক্ষোভের আগুন ক্রমেই বেড়ে চলেছে ভারতে। আইন বাতিলের দাবিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংস বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। আসামে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৬ জন মারা গেছেন। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছে বিজেপি।
বিক্ষোভের আগুন ক্রমেই বেড়ে চলেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। কারফিউ উপেক্ষা করে আসামের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ হয়। আইন বাতিলের দাবিতে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের জেরে বাতিল করা হয় গুয়াহাটি বিমানবন্দরের বেশ কিছু ফ্লাইট। তবে আসামের সব নাগরিকের অধিকার নিশ্চিতের দাবি করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়াল।
রাজ্যসভায় পাসের আগে বিলে সমর্থন দেয়া অসম গণপরিষদ ভোল পাল্টে এবার আইনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে দলটি। শনিবার দলের এক জরুরি বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে সহিংস আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, হাওড়া, চব্বিশ পরগনাসহ বিভিন্ন জেলায়। গণপরিবহনে আগুন দেয়ার পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ। এসময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গের অস্থিরতার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছে বিজেপি। দলটির অফিসিয়াল টুইটার একাউন্টে বলা হয়, মমতা যেদিন থেকে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সেদিন থেকেই জ্বালাও পোড়াও শুরু হয়েছে রাজ্যে।
রাজনৈতিক দলগুলো পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুললেও চলমান পরিস্থিতি শান্ত করতে একসূরে কথা বলছেন বেশিরভাগ নেতা-নেত্রী।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, সম্প্রীতি ভাঙার চেষ্টা করবেন না। কোনো উস্কানিতে নিজেদের খুনি প্রতিপন্ন করবেন না। হামলাকারী প্রতিপন্ন করবেন না।
কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, হিন্দু বলেন আর মুসলমান বলেন, ভারতবর্ষের যারা প্রকৃত নাগরিক এ দেশ তাদের। আমরা হিন্দু-মুসলমান মিলেমিশে এদেশ করেছি। আজও আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে দেশকে রক্ষা করছি।
বিক্ষোভ অব্যাহত আছে নয়াদিল্লি, মহারাষ্ট্রেও।
আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বলিউড তারকারাও।
বলিউড তারকারা বলছেন, কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে নয় আমরা আসামের নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। ইতোমধ্যে অনেক অবৈধ অভিবাসী আমাদের এখানে আছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে আমাদের অঞ্চলে বিদেশিদের ঠেলে দিচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টাঃ রিন্টু চৌধুরী
সম্পাদক- মোঃ আজিজুল ইসলাম আজিজ 01719-076924,
নির্বাহি সম্পাদক -মোঃ রফিকুল ইসলাম 01717-656705fÐd¡e L¡k¡Ñmu
¢jlf¤l-13,Y¡L¡
ফোনঃ 01827-656705 ইমেইলঃ anusondan2@gmail.com