ভোলা সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে রোগীর দালাল চক্রের হোতা মো. আমির হোসেন সেন্টুসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-৮। মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালিত হয়।

দুপুরে র‌্যাব-৮ প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোলা সদর হাসপাতালে দালাল চক্রের উৎপাতের খবর পেয়ে তাদের একটি বিশেষ দল সকালে হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় রোগীর সাথে প্রতারণা করার অভিযোগে দালাল চক্রের হোতা আমির হোসেন সেন্টু (৫০), তার সহযোগী মো. আবুল কাশেম (৬০), মো. আক্তার (৪৫), মো. আহাদ (২৪) ও মো. হোসেনকে (২৮) হাতেনাতে ধরে ফেলেন তারা।
পরে তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিদওয়ানুল ইসলামের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক মো. হোসেনকে ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং অপর ৪ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দালাল চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও ফার্মেসির এজেন্ট। তারা হাসপাতালে আগত রোগীদের বিপদের সময়ের দুর্বলতার সুযোগে ভুল বুঝিয়ে নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে নিয়ে যায়। পরে নিদিষ্ট ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করে। এভাবে সহজ-সরল রোগীদের একটি চক্রের মধ্যে ফেলে তাদের প্রত্যাশিত সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে এবং বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উচ্চ মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে তাদের আর্থিক ক্ষতি সাধন করে। বিনিময়ে দালালরা ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে কমিশন পায়।

র‌্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ভোলা সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানে ৫ দালাল আটক, কারাদণ্ড

10 December 2019 22:08
মনোয়ার হোসেন লিটন  প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’ এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে সারাদেশের মত “বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০১৯” উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষে একটি র্যালী পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলহাজ্ব মোবারক হোসেন অর্নিবান বিদ্যাতীর্থ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মিলিত হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা সুজা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম ফেরদৌস, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আহমেদ হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ, সহকারী শিক্ষা অফিসার ওসমান গনি, জলঢাকা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির হুকুম আলী, ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাদিকুল সিদ্দিক সাদেক সহ প্রমূখ।

জলঢাকায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস 2019 উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 

 

ঢাকা, ২৯ নভেম্বর- শিক্ষার্থীদের অহংকার পরিহার করে ভালো মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এ দেশের প্রত্যেকটা জায়গায় দুর্নীতি। দেশ এত উন্নত হচ্ছে, পদ্মা সেতু হচ্ছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। যদি মানুষকে নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলা না যায়, তাহলে সেই উন্নয়ন টেকসই হবে না।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে ‘মেধাবী সন্তান সংবর্ধনা-২০১৯’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অহংকার পরিহার করে ভালো মানুষ হতে হবে। মূল্যবোধ, নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। এ দেশের প্রত্যেকটা জায়গায় দুর্নীতি। দেশ এত উন্নত হচ্ছে, পদ্মা সেতু হচ্ছে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। যদি মানুষকে নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলা না যায়, তাহলে সেই উন্নয়ন টেকসই হবে না।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জীবনের লক্ষ্য থাকতে হবে। আত্মতুষ্টি থাকলে হবে না, আমি কিছু করতে পারছি কী না, সেটা দেখতে হবে। তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এদেশ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরাও তাকিয়ে আছি। এদেশ গড়ার দায়িত্ব তোমাদেরই। এখন মেধাবী ও দক্ষ লোক পাওয়া কঠিন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অফিসার্স ক্লাবের চেয়ারম্যান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তোমরা যে সফলতা লাভ করেছ, সেটা নিয়ে বসে থাকলে হবে না। লক্ষ্য থাকতে হবে পরবর্তীতে আরও ভালো কিছু করার। একাডেমিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি খেলাধুলাসহ সব কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে।

সূত্র: কালের কন্ঠ

এ দেশের প্রত্যেকটা জায়গায় দুর্নীতি : দুদক চেয়ারম্যান

 

টানা তৃতীয় মেয়াদে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের ১১ মাস পূর্ণ হলো আজ। এ বছরের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করেছিল। সেই মন্ত্রিসভায় ছোট খাটো কয়েকটি পরিবর্তন ছাড়া পুরো মন্ত্রিসভাই এগারো মাস পার করলো। এগারো মাস বয়সী এই মন্ত্রিসভা নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত। আর এই এগারো মাসের মন্ত্রিসভায় এগারো জন মন্ত্রীকে ব্যর্থ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এরা মন্ত্রী কিন্তু তাদের দায়িত্ব কি সেটা হয়তো তাদের জানা নাই। শেখ হাসিনা স্বপ্ন ম্লান করা হয়তো এদের হাতেই। জনগনের টাকায় বেতন নিয়ে জনগনকে ভোগান্তীতে ফেলে এরা মজা নিচ্ছে । ভাবটা যেন এমনি।

এই সমস্ত ব্যর্থ মন্ত্রীদের কারণে এক বছরের কম বয়সী আওয়ামী লীগ সরকার নানা টানাপোড়েন এবং জন অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

টিপু মুনশি

ব্যর্থ মন্ত্রীদের তালিকায় যে ১১ জন রয়েছে তাদের মধ্যে সবার আগে রয়েছে টিপু মুনশির নাম। পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং পেঁয়াজের দামের বিশ্বরেকর্ড টিপু মুনশিকে ব্যর্থতার তালিকায় শীর্ষে রেখেছে। টিপু মুনশি নিজেও তার ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, পদত্যাগ ১ সেকেন্ডের বিষয়। তিনি পদত্যাগ করুন বা না করুন তবে মন্ত্রী হিসেবে যে তিনি ব্যর্থ সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের ভেতরে বাইরে কারোরই কোনো সন্দেহ নেই।

মোঃ শাহাব উদ্দিন

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন। বাংলাদেশ এখন বায়ুদূষনে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ। বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে নানা রকম কথা বার্তা হলেও তিনি কিছু্ই করেননি। মন্ত্রী হিসেবে তাকে এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো বক্তব্য, বিবৃত্তি বা কোনো উদ্যেগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

নুরুল ইসলাম সুজন

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ব্যর্থ মন্ত্রীদের তালিকায় আরেকজন। একের পর এক রেল দূর্ঘটনা, রেল নিয়ে নানান নৈরাজ্য এবং নজিরবিহীন সময় বিভ্রাট রেলকে এক নতুন সঙ্কটের মুখে ফেলেছে এবং এইক্ষেত্রে রেলমন্ত্রী ব্যর্থ মন্ত্রী হিসেবেই পরিচিত পেয়েছে।

আরও পড়ুন:  দলীয় কোন্দলের পেছনে রয়েছে দলের হেভিওয়েট ও গুরুত্বপূর্ণ নেতারা

ড. এ কে আব্দুল মোমেন

ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরেক জন ব্যর্থ মন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে না পারছেন কিছু করতে আবার ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক তার সময়ে নতুন টানাপোড়েনের সামনে পড়েছে। আর এসব বিষয়ে তিনে বক্তব্য ও বিবৃত্তি দেওয়া ছাড়া তেমন কিছু করতেও পারছেন না।

সাধন চন্দ্র মজুমদার

খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আরেক ব্যর্থ মন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তিনি খাদ্য পরিস্থিতি বাজার পরিস্থিতি তার কোনো উদ্বেগ বা উৎকন্ঠা জনগণের চোখে পড়েনি। খাদ্য মজুদ এবং সরবারহের বিষয় নিয়েও তার মন্ত্রণালয়ের কোন রকম দায়িত্বপূর্ণ আচরণ জনগন দেখেনি।

ইমরান আহমেদ

প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেও বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যানের ক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি হয়নি। বরং সৌদি আরব থেকে নারী কর্মীদের বারবার দেশে ফেরা বাংলাদেশকে এক নতুন সমস্যার মধ্যে ফেলেছে। এ কারণে অভিবাসীদের মধ্যে নতুন আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। অভিবাসন নিয়ে বাংলাদেশের যে গর্বের জায়গা ছিল সেই জায়গাগুলো ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে।

শ ম রেজাউল করিম

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীও ব্যর্থদের তালিকায় থাকবেন। তিনি এফ আর টাওয়ারের পরে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, সমস্ত ত্রুটিপূর্ণ এবং নকশাবহির্ভুত ভবন চিহ্নিত করবেন। তাঁর সেই বক্তব্য শুধু বক্তব্যই রয়ে গেছে। এফআর টাওয়ারের তদন্ত রিপোর্ট নিয়েও বাস্তবে কোন কাজ হয়নি। তিনি বিজেএমই ভবন ভেঙে ফেলার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেই ভবনও এখন বহাল তবিয়তে রয়েছে। বাংলাদেশে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের কোন নতুন অবয়ব বা নতুন সম্ভাবনা নিয়ে জনগণের সামনে উদ্ভাসিত হয়নি।

আ হ ম মুস্তাফা কামাল

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালও একজন ব্যর্থ মন্ত্রী। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ঋণ খেলাপীর সংখ্যা আর বাড়বে না, তবে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং মন্ত্রীও নানা ধরণের বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

আরও পড়ুন:  মন্ত্রিসভায় প্রথম পরিবর্তন,শপথ নিলেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

মাহবুব আলী

বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাহবুব আলী আরেক ব্যর্থ মন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত হবেন। তিনি বিমানের নানা রকম উন্নয়ন এবং উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য কথাবার্তা বলছেন, তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বিমানের যে খারাপ অবস্থা, সেই খারাপ অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় মন্ত্রণালয়ের একটি। এবং সেখানে এবারের সবথেকে বড় চমক ছিল তাজুল ইসলামের মতো অপেক্ষাকৃত অরাজনৈতিক ব্যবসায়ীকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বভার তুলে দেয়া। মন্ত্রী হিসেবে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের জন্য কিছুই করতে পারেনি। বরঞ্চ এই মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি শ্লথ হয়েছে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এখানে এসে সুবিধা পাচ্ছেনা বলেই তাঁরা অভিযোগ করছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি স্থানীয় রাজনীতিবিদরা যুক্ত এবং সেখানে এসে এই মন্ত্রণালয় কতটুকু সফল হয়েছে- তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।

শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ

গত ১১ মাসের মন্ত্রিসভায় ১১ তম ব্যর্থ মন্ত্রীর তালিকায় অবশ্যই থাকবেন ধর্মমন্ত্রী। রোজার ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে তিনি যে কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন সেজন্য তার নাম ব্যর্থতার তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে।

এই ১১ জন ব্যর্থ মন্ত্রীর নানা ব্যর্থতার কারণে সরকার গত দুই মেয়াদে যেরকম সাফল্য অর্জন করেছিল এবং উন্নয়নের যে গতির সূচনা হয়েছিল তৃতীয় মেয়াদে এসে সেই গতিধারা ধরে রাখতে পারেনি এবং সাফল্যগুলো অনেকক্ষেত্রে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও মনে করেন এই সাফল্য ম্লান হওয়ার পেছনে এই ১১ মন্ত্রীর ব্যর্থতা এক বড় কারণ।

বাংলা ম্যাগাজিন /এসপি

প্রধানমন্ত্রী বিচক্ষণ তায় হয়তো দেশটা চলছে।১১ মাসে ১১ ব্যর্থ মন্ত্রী

 

মার্কিন এই কমিশন ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে ‘ভুল দিকে বিপজ্জনক মোড় নেওয়া’ বলে মন্তব্য করেছে বলে জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) ।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যেসব সদস্য ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের অবৈধ অভিবাসী বিবেচনা না করে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতীয় লোকসভায় পাস হওয়া বিলটির এই অনুচ্ছেদ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউসিআইআরএফ) সোমবার দেওয়া বিবৃতিতে বলেছে, “যদি পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে সিএবি পাস হয় তাহলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করতে পারে মার্কিন সরকার।

“ইউএসসিআইআরএফ সিএবির ওই অনুচ্ছেদটি নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’, লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের তোলা এই বিলটিতে ধর্মকেই মানদণ্ড করা হয়েছে।”

সোমবার ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় অমিত শাহের তোলা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ৩১১-৮০ ভোটে পাস হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া বিলটি বুধবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় তোলার কথা রয়েছে।

অমিত শাহের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আর্জি জানাতে পারে মার্কিন কমিশন

 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা চৌগাছা খিষ্ট্রানপাড়ার জপ মালা রানীর গীর্জা প্রধান আব্রাহাম ও তার স্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে গীর্জা প্রধান আব্রাহাম গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

হামলার শিকার গীর্জা প্রধান চৌগাছা গ্রামের শতিশ মন্ডলের ছেলে আব্রাহাম মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, চৌগাছা খিষ্ট্রান পাড়ায় বসবাসরত গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত হারিয়াদহ গ্রামের মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে আলীম হোসেন ও তার ছেলে রাজ হোসেন তুচ্ছ ঘটনায় আমার উপর হামলা করে।

আমাদের সীমানা পাচিল ডেঙ্গিয়ে প্রাণে মেরে দেওয়া লক্ষে আমাকে ও আমার স্ত্রী মমিতা মন্ডলকে কিলঘুষি মারতে থাকে একপর্যায়ে আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে তারা চলে যায়।
পরে আমরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। পরে আবারো বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছে বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই আতঙ্কিত।

পরে স্থানীয়দের সাথে আলোচনার পর থানায় একটি অভিযোগ করেছি। এব্যাপারে রির্পোট লেখা পযর্ন্ত আলীমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মুঠোফোন বন্ধ দেখায়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কোন অপরাধী আইনের উর্ধে নয়।

সুত্র-মেহেরপুর প্রতিদিন

গাংনীর চৌগাছায় গীর্জা প্রধানের উপর হামলা