ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু উপজেলাতে ৩৩ টি মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরী ও রং এর কাজ কিছু কিছু যায়গায় প্রায় শেষের পথে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা মন্ডপে এবারের শারদীয় দুর্গা উৎসবের আয়োজনে থাকছে উৎসবের আমেজ। ৫ দিনব্যাপী বাঙ্গালী হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা। আনন্দময়ীর আগমনে ধনী-গরিব আবালবৃদ্ধ সকল পূজারী ও ভক্তবৃন্দের মাঝে যেন আনন্দের কমতি নেই কোন অংশেই। গতবারের চেয়ে এবারের মন্ডপের সংখ্যা দু-একটি বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। আগামী ১লা অক্টোবর থেকে পূজা শুরু এবং অক্টোবরের ৫ তারিখ বিজয়া দশমী। দুর্গাপূজা কে কেন্দ্র করে মণ্ডপে মণ্ডপে শিল্পীরা কাজে ব্যস্ত। গত দু’বছর করোনা মহামারীর কারণে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না। হরিণাকুণ্ডু শহরের পৌর চিথলিয়া মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পন্ন করে রংয়ের কাজে ব্যস্ত কারিগরেরা জানান, আমাদের প্রতিমা তৈরীতে কিছুটা ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই দিন কাটছে। মন্দিরেও বাঁশ,খড় ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে কারিগররা তৌরি করছে পূজা মন্ডপ।

উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু বিশ্ব নাথ কুমার সাধুখাঁ সাংবাদিকদের জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় সহ প্রশাসনের সকল বিধি নিষেধ মেনেই, স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে আমরা এবার শারদীয় দুর্গা উৎসবের আয়োজন করেছি। ইতিমধ্যেই সকল তথ্যাদি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে সিমিত আলোকসজ্জার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্ডপ এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবী করা হয়েছে।

হরিণাকুণ্ড থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃআক্তারুজ্জামান লিটন জানান,আমরা মোটামুটি খোঁজ-খবর রাখছি। সরকারি ভাবে নির্দেশনা আসলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে। তাছাড়া স্বেচ্ছাসেবকরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছেন। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠ্যু,সুন্দর এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।